মুরাদুল ইসলাম » গল্প » সায়েন্স ফিকশনঃ আল মজিদ রাশিমালা

সায়েন্স ফিকশনঃ আল মজিদ রাশিমালা

গ্রামের এক ভিক্ষুকের মুখে ফিবোনাক্কি রাশিমালা শুনলে চমকে উঠারই কথা। সাইফুর রহমান সাহেব চমকেই উঠলেন। তিনি চোখ বড় বড় করে বললেন, তুমি এগুলা কীভাবে জানলে?

মজিদ মিয়া অমায়িক ভঙ্গিতে হাসে। মাটির দিকে তাকিয়ে বলে, চিন্তায় পাইছি। জটিল চিন্তা। একবার শুরু হইলে শেষ হইতে চায় না।

রহমান সাহেবের খটকা লাগল। এতবড় গণীতের তথ্য চিন্তা করে বের করে ফেলেছে! বলে কি! নাকী মিথ্যা বলছে!

তিনি ভাবলেন এই লোক সম্পর্কে আরো জানা দরকার। তারপরে একে বিশ্বাস করা না করার ব্যাপার। কারো সম্পর্কে না জেনে বিশ্বাস করা ভালো কথা না। রহমান সাহেব স্বাভাবিক কন্ঠে বললেন, আচ্ছা ঠিক আছে মজিদ মিয়া। আপাতত তুমি যাও। কাল আবার এসো। আর আমি তোমার কথাগুলো নিয়ে চিন্তা করে দেখি। আমারো তো চিন্তার দরকার আছে, কি বলো?

মজিদ মিয়া মাথা তুলে বলল, জি স্যার। আজ আসি। কাল অবশ্যই আসব।

মজিদ মিয়া চলে গেল। রহমান সাহেব লক্ষ করলেন সে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাটে।

রহমান সাহেব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ছিলেন। ব্যস্ত ভাবেই পার করেছেন কর্মজীবন। অবসর নেয়ার পর তার ইচ্ছা হল গ্রামে আসতে। নিজেদের গ্রামের বাড়ি অবহেলায় পড়ে থেকে বাস অযোগ্য প্রায়। তাই খালাত ভাইয়ের বাড়ি এসেছেন বেড়াতে। মনে অবশ্য ছোট আরেকটা ইচ্ছাও আছে তার। গ্রামে শিক্ষাবিস্তারের জন্য কিছু করা।

এই গ্রামে এসেই মজিদ মিয়ার সাথে পরিচয়। মজিদ মিয়া ভিক্ষা করে। বয়স ষাটের মত হবে। কোকড়া সাদা চুল। গায়ে ময়লা ধূষর জামা। দেখে মনে হয় চটের বস্তা। তিনি গ্রামে এসেছেন শুনে বার বার দেখা করতে চাইল। কয়েকবার ফিরিয়ে দিয়েছে লোকজন। শেষে বাধ্য হয়েই রহমান সাহেবের খালাত ভাই লোকটাকে তার সামনে নিয়ে এসেছিলেন। প্রথম স্বাক্ষাতেই লোকটা রহমান সাহেবকে বিভ্রান্ত করে ফেলে।

 

মজিদ মিয়া সম্পর্কে রহমান সাহেব খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারলেন সে পাগল মত লোক। লোকালয়ের একটু বাইরে জঙ্গলে ছনের ঘর বানিয়ে থাকে। সপ্তাহে কয়েকদিন ভিক্ষা করে। বাকী সময় জঙ্গলেই কাটায়। সে কারো কোন ক্ষতি করে না বলে কেউ তাকে নিয়ে ভাবিত নয়।

তবে স্কুলের শিক্ষকেরা জানালেন লোকটা গণিত ভালো বুঝে। অনেক বড় বড় সমস্যা মুহুর্তেই সমাধান করে দেয় মুখে মুখেই। এজন্য ছোট ছেলেমেয়েদের কাছে তার জনপ্রিয়তা। ভিক্ষার জন্য বের হলে ছেলেমেয়েরা প্রায়ই তাকে ঘিরে ধরে। বিভিন্ন প্রশ্ন করে। সে উত্তর দিয়ে যায়।

রহমান সাহেব এসব শোনে আরো চিন্তিত হলেন। একটা লোক এই পাড়াগায়ে থেকে এত বড় বড় গাণিতিক রাশিমালা নিজে নিজেই বের করে ফেলেছে। একেবারে বিস্ময়কর!

তারপরদিন সকালে মজিদ মিয়া আবার এল। তার চোখ দুটি লাল। মনে হচ্ছে ঘুমায়নি সারা রাত।

রহমান সাহেব উঠানে বেতের চেয়ারে বসে চা খাচ্ছিলেন। তিনি উদ্ভ্রান্তের মত লোকটাকে দেখে বললেন, কি মজিদ মিয়া? তোমার চোখ লাল কেনো?? ঘুমাও নি নাকী?

মজিদ মিয়া মুখ কাচুমাচু করে বলল, ঘুমাইতে পারি নাই। আপনার এখান থেকে যাওয়ার পর চিন্তা মাথায় ঢুকে গেছে স্যার। ধোঁয়া খেয়েও যায় নাই। স্যার আমার ধোঁয়ার বদ অভ্যাস আছে একটু।

ঠিক আছে। তুমি বসো এখানে। চা খাবে?

জি না স্যার। চা খাই না।

রহমান সাহেব হঠাৎ কি মনে করে প্রশ্ন করে বসলেন, মজিদ মিয়া তুমি যা বলছিলে কাল অর্থাৎ সংখ্যাই ঈশ্বর, তা নিজে বিশ্বাস করো?

মজিদ মিয়া মুচকি হেসে বলল, স্যার ০ ১ ১ ২ ৩ ৫ ৮১৩ ২১ ৩৪ ৫৫ …এর উপর কিছু নাই। দুনিয়া এর উপরই চলতেছে। প্রথম দুইটা যোগ করে তিন নাম্বার। পরের দুইটা যোগ করে তার পরেরটা। ১ আর ১ এ ৩য় টা আবার দুই যোগ তিনে পাঁচ। এরকম করতে করতে শেষে থাকবেন তিনি। তিনি অসীম।

আবার দেখেন স্যার যেকোন তিনটা সংখ্যা ৩ ৫ ৮ এর মাঝের টার বর্গ ২৫

পাশের দুইটার গুনন ৩ * ৮ = ২৪

২৫ থেইকা ২৪ গেলে ১…এইরকম হইতেই থাকবে। এটাও হতে পারেন তিনি। তিনি হতে পারেন অসীম……তিনি হতে পারেন ১। এই দুই ভিন্ন অন্য কোথাও তার অস্তিত্ব নাই।

রহমান সাহেব প্রশ্ন করলেন, বুঝলাম। কিন্তু তুমি এগুলো পেলে কীভাবে? চিন্তাটা আসল কীভাবে?

মজিদ মিয়া মাটির দিকে তাকিয়ে রইল কিছুক্ষণ। একেবারে স্তব্দ হয়ে। রহমান সাহেব কিছুটা ভয় পেলেন। পাগলামি করবে না তো আবার!

তবে একটু পরেই মজিদ মিয়া স্বাভাবিক হয়ে উঠল। মাথা তুলে বলল, স্যার চিন্তা আসার একটা উপলক্ষ্য থাকে। আমার মাথায় শুরু থেকে এমন চিন্তা ছিল না। একবার কি একটা গাছ লাগাইলাম। গাছের পাতা উঠতে লাগল। তখনই আমি দেখতে পাইলাম এরা একটা জিনিস ঠিক রাইখা পাতা দেয়। এই জিনিসের ব্যতিক্রম হইলে সূর্যের আলো পাইবে না সব পাতায়। দেখলাম একটা ঘূর্নন আছে। চক্রাকার। ধরেন নয়টা পাতা। চক্র পাঁচ টা। তাইলে অবস্থান আট। এইখানে আপনি দেখেন পাঁচ রে আট দিয়া ভাগ দিয়া যা পাইবেন ওই রাশির প্রথম দুইটা বাদে যেকোন দুইটারে ভাগ দিলে যা বের হয় তার কাছাকাছি। এই জিনিস অবশ্য আমি হুট কইরা বুঝি নাই। মাথায় ঢুকছিল। শেষকালে মেলায় এক ফকির আমারে বুঝায়া দিলেন।

এইসব দেইখা আমার মাথা নষ্ট হইয়া গেল। আমি সবদিকে খুঁজতে লাগলাম। মেঘের দিনে যখন আকাশ থেইকা পানি পড়ত আমি মাঠে বের হইয়া পানির ফোঁটা গোনতাম। যখন দেখতাম এক পাল পাখি উড়তেছে, এক পাল হাঁস যাইতেছে মনের অজান্তেই আমি গোনা শুরু করতাম।। এই তো স্যার একটু আগে মাটিতে পিঁপড়ার দল সারি বাইন্ধা যাইতেছিল। এদের আমি আগেও গুনছি। আইজও গুইনা দেখলাম। কেউই এই রাশির বাইরে যাইতে পারে না।

রহমান সাহেবের মুখ গম্ভীর হল। তিনি একটু ভারী গলায় বললেন, কিন্তু মজিদ মিয়া তুমি যেসব কথা বলছ সেগুলো অনেক আগে এই ধরো ১২০০ সালের দিকে ইতালির একজন বিজ্ঞানী বের করেছেন। উনার নাম লিওনার্দো বিগোলো ফিবোনাক্কি। তার এই রাশি যেটার কথা তুমি বলছ এর নাম দেয়া হয়েছে ফিবোনাক্কি রাশিমালা। তারো আগে মনে হয় সংস্কৃত পন্ডিতেরা এই রাশিমালা সম্পর্কে জানতেন।

মজিদ মিয়া মাথা নিচু করে বলল, এসব আমি জানি স্যার। উনার সাথে আমার যোগাযোগ হয়েছে। তিনি বলেছেন সব কথা।

রহমান সাহেব ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলেন, কার সাথে যোগাযোগ হয় বলচক

মজিদ মিয়া আবারো আগের মত বলল, স্যার উনার সাথে। ফিবোনাক্কি স্যার। আপনি এগুলো বিশ্বাস করবেন না জানি। তবুও বলি, এই যে রাশি এর মাঝে সব কিছু লুকায়িত। একজন মানুষ দুনিয়া থেকে চলে গেলেই শেষ না। প্রাণ কি কেউ বলতে পারে না। এই প্রাণের রহস্য এই রাশিতে। প্রাণ কখনো নিঃশেষ হয় না স্যার। তাই মানুষও থাকে। স্যার মানুষের কোন ধ্বংশ নাই। প্রাণ একটা শক্তি স্যার। শক্তি রুপ বদলায়। শক্তির বিনাশ নাই। এই রাশির ভিতরে প্রবেশ করতে পারলে যে কেউ যে কোন ভাষায় যে কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারে। মানবজাতির জ্ঞানের সর্বোচ্চ স্তর এই…

রহমান সাহেব অবিশ্বাসের ভঙ্গিতে তাকিয়ে রইলেন মজিদ মিয়ার দিকে। মজিদ মিয়ার মুখে শিশু সুলভ কোমলতা আছে। যা জানান দেয় মিথ্যা এবং জগতের কুটিলতার অনেক উর্ধ্বে চলে গিয়েছে সে।

সেদিন রহমান সাহেবের কাটল অস্বস্থিতে। তার বারবার মনে হতে লাগল মজিদ মিয়ার কথাগুলো। লোকটা কি পাগল? নাকী সত্যি বলছে সব! রহমান সাহেব ঠিক করলেন পরদিন তার ঘর দেখতে যাবেন। আশা করা যায় তাতে কিছু জানা যাবে।

পরদিন পরিচিত এক ছেলেকে নিয়ে গেলেন জঙ্গলে। গিয়ে দেখেন ছনের ঘরের সামনে ভাত রান্না করছে মজিদ মিয়া। তার হাতে কালো একটি সাপ।

রহমান সাহেবকে দেখে সে উৎফুল্ল হয়ে উঠল। বলল, স্যার আজ আপনার বাসায় আমি ই যেতাম। এই দেখেন স্যার কাল এইটাকে ধরছি। এর গায়ের হলুদ ফোঁটাগুলা দেখেন। একেবারে সংখ্যায় মিলে যায়।

রহমান সাহেব ভয় পাচ্ছেন দেখে সে সাপটা ছেড়ে দিল। বলল, স্যার প্রাণিরা কাউরে মিছামিছি আঘাত করে না। কোন কারন ছাড়াই প্রানী হত্যা করে একমাত্র মানুষ। আর আপনি রাশির রহস্য জেনে গেলে যেকোন প্রাণীকে নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন।

রহমান সাহেব মজিদ মিয়ার ঘরটাকে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখলেন। সাথের ছেলেটা চলে গেছে। মজিদ মিয়ার সাথে জঙ্গলের বিভিন্ন বিষয়, রাশির বিষয় নিয়ে অনেকক্ষণ কথা বললেন তিনি।

এক পর্যায়ে মজিদ মিয়া বলল, স্যার আমি সব জানি। আমি ক্ষমাপ্রার্থী স্যার। আপনাকে এটা জানাই নাই আগে। বললে আপনি আমাকে ভয় পাইতেন। আমি জানতাম আপনি এই গ্রামে আসবেন। আমি অতীতের মত ভবিষ্যত দেখতে পাই।

রহমান সাহেব ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করলেন, ভবিষ্যত দেখতে পাও?

মজিদ মিয়া বলল, জি স্যার। এই যেমন ধরেন আজ আপনি আসবেন আমি জানতাম। তবে কোন কিছু পরিবর্তন করার ক্ষমতা আমার নেই। আমি একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে। সবে মাত্র ঢুকেছি রাশির মধ্যে। স্যার, রাশির মধ্যে যারা ঢুকে যান তারা বেশিদিন বাঁচে না। আমি শীঘ্রই মারা যাব। তাই আপনার মতো একজনের দরকার ছিল। যার কাছে সবকিছু বলা যায়। যে বুঝবে।

রহমান সাহেব কথাগুলো অবিশ্বাস করতে পারলেন না। তিনি একবার আকাশের দিকে চাইলেন। শরতের মেঘমুক্ত নীল আকাশ। মজিদ মিয়ার ঘরের পাশেই জঙ্গলের বিশাল জলাধার। তার ঠিক মাঝখানে পূর্ন শাপলা ফুল ফুটে আছে। রহমান সাহেবের চোখ আটকে গেল এর সৌন্দর্যে। তিনি বুকের মধ্যে অনুভব করলে চিনচিনে এক পুরনো ব্যথা।

মজিদ মিয়া গলার স্বর নামিয়ে বলল, স্যার শাপলা ফুল নিয়ে আপনার কষ্ট টা আমি বুঝি। আপনার প্রথম স্ত্রী এই ফুল পছন্দ করতেন। তবে আমি যা বলেছি তাই সত্য, তিনি আছেন। প্রাণের ধ্বংশ নেই। আর জাগতিক কষ্ট এসব তুচ্ছ জিনিস স্যার। এগুলো ভুলে যান। আমি আপনাকে বরং একটা জিনিস দেখাই। মজিদ মিয়া উঠে পানির উপর দিয়ে হেঁটে গেল। শাপলা ফুলের কাছাকাছি গিয়ে আবার ফিরে এল।

রহমান সাহেবের চোখ ছানাবড়া হওয়ার মত অবস্থা। তবুও তিনি সামলালেন নিজেকে।

সন্ধ্যার দিকে তিনি ফিরে এলেন মজিদ মিয়ার ওখান থেকে। মজিদ মিয়া কথা দিল পরদিন সে কীভাবে শুন্যে ভেসে থাকতে হয় তা দেখাবে।

রহমান সাহেব পুরো রাত তার পরিচিত বিভিন্ন অংকের অধ্যাপককে ফোন করে বিষয়টা নিয়ে বললেন। ফিবোনাক্কি রাশিমালা নিয়ে বুঝলেন আরো কিছু। তাদের সকলেই জানালেন রাশির ব্যাপারটা ঠিক আছে। তবে লোকটার কর্মকান্ড উদ্ভট। অবৈজ্ঞানিক। হয়ত ভাঁওতা। নিশ্চয়ই কোন কারসাজি করছে সে।

পরদিন সকালে চেঁচামেচিতে ঘুম ভাঙল রহমান সাহেবের। চেঁচামেচির কারন জানা গেল মজিদ মিয়া মারা গেছে। দীঘির ঠিক মাঝখানে শাপলা ফুলের কাছে ভাসছিল তার লাশ।

তার ঘরে ঢুকে রহমান সাহেব কোন বই বা খাতা পেলেন না। তবে একটা খাম পেলেন। উপরে লেখা

রহমান স্যার কে।

রহমান সাহেব দ্রুত খাম খুললেন। ভিতরে ছোট একটি কাগজ। লেখা,

স্যার বিদায়। চলে যাচ্ছি। আপনাকে উড়া দেখানো হল না বলে ক্ষমাপ্রার্থী। আরেকটা কথা বলে যাই, ফিবোনাক্কি স্যার আমি যার খোঁজ পাইছি, এই রাশিমালাকে মজা করে বলেন আল-মজিদ রাশিমালা।

বিদায় স্যার। আপনার স্কুলের জন্য শুভকামনা। আপনি কবিতা পছন্দ করেন। তাই একটা কবিতা দিয়েই শেষ করি। এটা লিখেছেন একজন কবি, তার নাম সৌমিত্র দেব।

সেও তখন হাসছিলো

মহাশূন্যে ভাসছিলো

চোখের কাচে ঘুম পাতানো

প্রিয়জনের লাশ ছিলো।

 

এর কয়েকবছর পর রহমান সাহেব তার সঞ্চিত অর্থ দিয়ে গ্রামে অত্যাধুনিক এক গণিতের স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। আধুনিক বিশ্বের অনেক সুযোগ সুবিধা নিয়ে আসেন। গণিতের গবেষনার সব রকমের সু ব্যবস্থা করেন। ছেলেমেয়েদের গণিতের প্রতি আকৃষ্ট করতে স্কুল বছরে আয়োজন করত গণিত মেলার। দেশের সব বড় অধ্যাপকেরা আসতেন। পরিপূর্ন এক গনিত গবেষনা কেন্দ্র ঘরে উঠল অনুন্নত এক গ্রামে। রহমান সাহেব স্কুলের নাম দেন মজিদ মিয়া গনিত স্কুল।

 

*ফিবোনাচ্চি

Leave a Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

×
গুরুত্বপূর্ণ
Scroll to Top
বই মডেলিং