গল্প

রবিবার। সকাল দশটার মত বাজে। শহরের মিরপুর ডিওএইচেসে চাঞ্চল্যকর খুন। স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামী পলাতক। টিভি স্ক্রিণে এই খবর ভাসছে। একজন কমবয়েসী রিপোর্টার চ্যাটাং চ্যাটাং করে কথা বলছে। কথা আর কিছুই নয়, চিরাচরিত খুনের ভাষ্য। বলার ভঙ্গিতে সাসপেন্স রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। খুনির ভাইয়ের সাক্ষাৎকার নেয়া হচ্ছে। এই ভাইটি স্বামী স্ত্রী’র সাথে থাকত। ভয়ার্ত মুখে […]

এই গল্পটি আমাকে বলেছিলেন জুনেদ চাচা, এবং তিনি আমাকে ভালো করে বলে দিয়েছিলেন যে, যেন কখনো এই গল্পটি আমি কাউকে না বলি, কারণ তিনি যেখান থেকে তথা যে পরিবার থেকে গল্পটি শুনেছিলেন তারা এটি লুকিয়ে রাখতে চায়। কিন্তু আজ আমার মনে হচ্ছে গল্পটি আপনাদের সবাইকে বলা দরকার, এবং আমার অবস্থান ব্যাখ্যা দরকার।

এইরকম কথাবার্তা প্রায়ই হইত আমাদের অফিসের খাবার টেবিলে, লাঞ্চের টাইমে। সেদিনও এমন হইতেছিল। ঠিক এইরকম। তখন আমাদের মার্কেটিং টিমের গালিব ভাই তুললেন আলাউদ্দিনের কথাটা। তিনি সবার কথাবার্তা শুনে একসময় গলা খাকারি দিয়া বললেন, ভাইয়েরা, আমি একটা কথা কই শুনেন।আমরা তখন চুপ মাইরা গালিব ভাইয়ের কথা শোনার প্রস্তুতি নিলাম। গালিব ভাই ফালতু লোক না। সিনিয়র লোক। তিনি ভুং ভাং কথা বলেন না। কম কথা বলেন, কাজের কথা বলেন।

এক্ট-১ দৃশ্য-১ সময় রাত। বেডরুম। বিছানায় দুইটি মানুষ। তারা স্বামী ও স্ত্রী। স্বামীটির নাম হাসান। স্ত্রী’টির নাম অবন্তী। তাদের বয়স ত্রিশের নিচে। তারা বেশ রোমান্টিক আবহে কথাবার্তা বলছে। অবন্তীঃ আজ আপা ফোন দিয়েছিল। কাল তার বাসায় দাওয়াত দিয়েছে। হাসানঃ হুম… অবন্তীঃ হুম কী? যাবে নাকী না? হাসানঃ যাওয়া ঠিক হবে কি না ভাবছি। অবন্তীঃ কেন