মুরাদুল ইসলাম » লেখাগুলি শেয়ারের দর্শন

লেখাগুলি শেয়ারের দর্শন

এই সাইটে আমি পিডিএফ এবং প্রিন্ট বাটন যুক্ত করেছি আজ। লেখাগুলি পড়া ও শেয়ারের সুবিধার্থে এই কাজটি করেছি।

এই সাইটের লেখাগুলির মূল উদ্দেশ্য যদি ধরতে যাই, তাহলে সেটি হবে মানুষকে ভালোভাবে চিন্তা করতে সাহায্য করা। ভালোভাবে চিন্তা করা একজন মানুষের জন্য দরকারী। এবং বেটার চিন্তা করা মানুষেরা দরকার সমাজের সামগ্রিক ভালোর জন্য।

খুবই প্র্যাক্টিক্যাল এবং সিম্পল এই ভ্যালুর দিকে লক্ষ রেখেই এর কন্টেন্টগুলি।

কিন্তু, আমি বলি না যে এই ৫০০/৬০০ লেখাগুলির মধ্যে সকল লাইনই ভালো, বা সব লেখা আমি নিজে মানি। এমন অনেক লেখা হয়ত আছে যেগুলি আমি আগে লিখেছিলাম, পরে অবস্থান পরিবর্তন করেছি। আরেকটি লেখাতে অন্যভাবে লিখেছি। এমন কিছু জিনিস হয়ে থাকবে, যেটি স্বাভাবিক। তাই আমি প্রতিটি লেখাকে নিজের বিবেচনাবোধ প্রয়োগ করে পড়তে উৎসাহিত করি সবাইকে।

আমার অবস্থান পরিবর্তনের একটা উদাহরণ দেই। প্রথম কয়েক বছর এই সাইটের লেখা কপি করা যেত না, অফ করে রেখেছিলাম। পরে কপি করার সুযোগ দেই, আর এখন পিডিএফসহ ওপেন করে দিচ্ছি।

এই সাইটটি হলো আমার বিভিন্ন পড়ালেখা থেকে অর্জিত জ্ঞান নোট করে রাখার একটা প্রয়াস। এই লেখাগুলি আমি আমার প্রফেশনাল ও ব্যক্তিগত অন্যান্য কাজে প্রায়ই ব্যবহার করে থাকি।

নোট করে আমি একটা নোটবুকে বা এভারনোটে রাখতে পারতাম নিজের জন্য। তার চাইতে আরেকটু বিস্তারিত করে সাইটে প্রকাশ করলাম, যাতে আরো অনেকে পড়তে পারেন।

জ্ঞান অর্জনের এটি ইউটিলিটারিয়ান এপ্রোচ বলা যায়।

স্ট্যান্ডিং অন দি শোল্ডার অব জায়ান্ট নামে একটা মেটাফোর আছে। বার্নার্ড অব শাত্রা নামক একজন দার্শনিক এটি ব্যবহার করেন একসময় এবং একে বিখ্যাত করেন আইজাক নিউটন। নিউটন বলেছিলেন, আমি কিছু বেশি দেখে থাকলে এটি কেবল জায়ান্টদের কাঁধে দাঁড়িয়েছিলাম তাই।

এই ফিলোসফি এই সাইটের লেখাগুলিতে নিহিত আছে।

বিভিন্ন ধরণের ইন্টারপ্রিটেশন হয় টেক্সট এর। স্ট্যান্ডিং ইন দ্য শোল্ডার অব জায়ান্টেরও এমন আছে। কিন্তু আমি, এই সাইটের লেখাগুলির ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করছি এই অর্থে যে, মানুষের ক্রিটিক্যাল থিংকিং বাড়ানোর জন্য নানা ইনসাইট, উপায় ও আইডিয়ার সম্মিলন ঘটেছে এখানে পৃথিবীর অনেক জ্ঞানীদের সাহায্যে।

জানুয়ারি ২০১৯ এর হিসাব মতে ৯১ মিলিয়ন মানুষ বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। এই সাইটের মান্থলি ইউনিক রিডার ১০-১৩ হাজার। অর্থাৎ, মোট সংখ্যা হিসাবে না নিলেও, আরো অনেক মানুষের কাছে লেখাগুলির পৌছানোর সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি।

এই লেখাগুলির যে প্রকৃতি তাতে ইমোশনাল ট্রিগার ব্যবহার করে ভাইরাল করার অবকাশ নেই। এতে লাভও নেই।

শেয়ারের ক্ষেত্রে পিডিএফ এবং প্রিন্ট বাটন চালু হলো এই দিকটা বিবেচনা করে যে, আরো মানুষের কাছে এই লেখাগুলি সহজে পৌছানো যাবে। যে দুই তিন হাজার রিডার আছেন এখানে, ৯১ মিলিয়ন হিসাবে নিলে একটা সিক্রেট সোসাইটির মত, তারা সহজে শেয়ার করতে পারবেন অন্যদের সাথে।

এবং, আমি কপিরাইটের ক্ষেত্রেও একটা এনার্কিস্ট অবস্থান নিতে চাই। যদিও এই লেখাগুলি তৈরি করতে আমার প্রচুর সময় যায় এবং লেখাগুলির স্টাইল, লেখা আমার ক্রিয়েশন-চিন্তা, তথাপি একে আমি ওপেন করতে চাই। স্টয়িক দার্শনিকদের প্র্যাক্টিস, ভিউ ফরম দি এভাব বা সকল কিছুকে উপর থেকে দেখা, বিগ পিকচারে দেখা, এই প্র্যাকটিসের অংশ এটাকে ধরে নিচ্ছি।

 

মানে এগুলি অবাণিজ্যিক স্বার্থে যে কেউ পিডিএফে শেয়ার করতে পারবেন বা প্রিন্টে শেয়ার করতে পারবেন। আমার অনুমতির দরকার হবে না। সাইটের লিংক বা লেখকের নামও চাইলে বাদ দিতে পারবেন। কিন্তু অনৈতিক স্বার্থে কেউ নিজ নামে ব্যবহার করতে পারবেন না, অবশ্যই।

[ কেবল এই সাইটে প্রকাশিত আমার ক্রিয়েটিভ ফিকশনগুলি অর্থাৎ গল্প উপন্যাস আপাতত এর বাইরে থাকবে। ]

×
গুরুত্বপূর্ণ
Scroll to Top
বই মডেলিং