মাসকুলিনিটিরে ডিফাইন করার চেষ্টা

আপনে যদি ছেলে হয়ে থাকেন, এবং কীভাবে একজন ম্যান হইয়া উঠতে হয় তা জানেন না, এবং ২৫ বছরের পর থেকে ম্যান হইয়া উঠতে পারেন না, তাহলে আপনে সাফার করবেন। লাইফের সর্বক্ষেত্রে আপনারে এর জন্য ভুগতে হবে।

ম্যান হইয়া উঠা মানে নিজের মাসকুলিনিটিরে ডিফাইন করা এবং সেইটা অর্জন করা।

দুনিয়াতে বেশিরভাগ ক্রুয়েলটির কারণ হইল মাস্কুলিনিটির সমস্যা, ইভেন যেগুলারে আমরা টক্সিক মাসকুলিনিটি বলি, এটাও কিন্তু এই মাস্কুলিনিটিরই সমস্যা। অর্থাৎ, সে ম্যান হইয়া উঠতে পারে নাই। ম্যান হইয়া উঠারে ভুল ভাবে নিছে, এবং নিজের জন্য ও অন্যদের জন্য একটা ক্রুয়েল বাস্তবতা নিয়া আসছে।

এই লেখায় আমি হেলদি মাস্কুনিলিটি কী ও কেমনে একজন ম্যান হইয়া উঠা যায় সে নিয়া আমার চিন্তা শেয়ার করব, এগুলি আপনারে সাহায্য করতে পারে।

প্রথমত, ম্যান হইয়া উঠার প্রক্রিয়ায় হইল দুনিয়াতে ম্যান হিসাবে আপনার অবস্থান কী তা বুঝতে পারা। প্রকৃতিগত ভাবে মেইল এবং ফিমেইল আলাদা। যদিও এখনকার যেই মাসকুলিন ও ফেমিনিন এর ধারণা এর বেশিরভাগই সামাজিক নির্মান। কিন্তু এর মধ্য থেকেও, ম্যান হিসাবে একজনের কিছু আলাদা দায়িত্ব কর্তব্য এবং সর্বোপরি একটা অবস্থান আছে।

মহাভারত পুরুষের কর্তব্য সম্পর্কে বলতে গিয়া বলে, পুরুষের দুনিয়াতে কাজ চারটা। ধর্ম, অর্থ কাম ও মোক্ষ।

ধর্ম মানে নৈতিক বা ন্যায়পরায়ণ থাকা।

অর্থ মানে অর্থ বিত্ত, অর্থাৎ টাকা পয়সার দিকে স্বাবলম্বী থাকা।

কাম মানে আকাঙ্খা, চাওয়া।

মোক্ষ মানে স্বাধীনতা।

আরো ভিন্ন ভাবে অর্থ করা যেতে পারে, বিশেষত ধর্মীয় দিক থেকে। কিন্তু এভাবেও করা যায়।

এই চারটি জিনিসের ভারসাম্যই পুরুষার্থ।

এই চারটা জিনিস নিয়া ভাবলে দেখা যাবে, এগুলির গভীরে মিল আছে। একটার দিকে একজন ধাবিত হয়ে গেলে বেশি এবং অন্যগুলা ছেড়ে দিলে তার লাইফ সুখকর হবে না। এবং তার অসুখকর লাইফ সামাজিক অসুখ বাড়াবে। কারণ একজন ব্যক্তি সমাজের থেকে আলাদা না।

নৈতিক বা ন্যায়পরায়ণ থাকতে গেলে একজনরে এইটা বিচার করার ক্ষমতা থাকতে হবে, কোনটা রাইট আর কোনটা রং। এই বিচার কোন সহজ কাজ নয়। এর জন্য নানা বিষয়ে একজনের জ্ঞানের দরকার হয়। বোধ এবং উপলব্ধির দরকার।

বিত্তের জন্যও জ্ঞানের দরকার হয়। এবং কাজের দরকার হয়।

এবং আকাঙ্খা, সেটি কতটুকু হবে, এবং তার উপর কতটুকু নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে, এগুলিও দরকারী বিষয়।

এসবের মিশ্রণেই, একটা ভারসাম্য তৈরি হলে, স্বাধীনতা সম্ভব।

ম্যান হওয়া হইল এটাই।

একজন আমরা অনেক ছেলেদের দেখি, যারা বিনোদনধর্মী ফিল্ম দেখতেছে, ফেসবুকিং করতেছে ও খেলাধুলার ফ্যান, এগুলা নিয়া নিয়মিত দলাদলি করতেছে, কিন্তু লাইফে সে কী, তার উদ্দেশ্য কী, তার যে অর্থনৈতিক এবং অন্যান্য দিক দিয়ে একটা অবস্থান দরকার এগুলি নিয়ে ভাবে না, তবে অনেক দুশ্চিন্তা করে থাকে। তার লাইফের স্ট্রেস বাড়তে থাকে।

এরা লাইফ লিড করে, যেন অভিভাবক বা অন্য কেউ তাদের হাতে ধরে নিয়ে যাবে, এইরকম ভাবনায়। এরা নিজের দায়িত্ব নিজে নিতে পারে না। একসময় হতাশ হয় আর এখানেই বাজে মোটিভেশন ব্যবসায়ীদের ব্যবসার জায়গা তৈরি হয়। সব মোটিভেশনরে আমি খারাপ বলতেছিনা, কিন্তু ম্যাক্সিমামই অকার্যকর।

নিজের দায়িত্ব নিজে নিতে পারা থেকে শুরু হয়, একজন ছেলের ম্যান হইয়া উঠার প্রক্রিয়া। কারণ তারেই পরবর্তীতে তার ফ্যামিলির দায়িত্ব নিতে হবে।

নিজের দায়িত্ব আপনে নিতে শুরু করলে বুঝতে পারবেন কোন কোন জায়গায় আপনার উন্নতি করা দরকার। কী কী স্কিল আপনার শেখা দরকার। কীভাবে আপনার জ্ঞানের স্বল্পতা দূর করা যায়, ইত্যাদি নানা বিষয়। নিজের গরজেই শিখতে চাইবেন যা দরকারী।

যেই ফ্যান্টাসী ল্যান্ডে একটা শিশু থাকে, দেখা যায় পঁচিশ ত্রিশ বছরে এসেও অনেক মানুষ ওই ফ্যান্টাসী ল্যান্ডে রয়ে গেছে। এটাকে বলা হয় পিটার প্যান সিন্ড্রোম। কেউ লীগের ফুটবল খেলাধুলা নিয়া, কেউ আর্ট কালচার, কেউ রেভলুশন করে ফেলবে এমন সব রোমান্টিসিজমে ভুগে। কিন্তু সর্বক্ষেত্রেই এরা কর্পোরেট দুনিয়া দ্বারা ইউজড হয়।

কারণ দুনিয়া আপনার পক্ষে কাজ করছে এমন নয়। এখানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে আপনার কাছে পণ্য বিক্রি করতে, মিডিয়া আছে তার বিনোদন ও মতাদর্শ দিয়ে আপনার সময় তথা লাইফের অংশ নিয়ে নিতে। এরা কেউই আপনার পক্ষে নয়, তারা তাদের পক্ষে। সুতরাং, আপনাকে ভেসে যাওয়া ফেনার মত না হয়ে প্রথমত নিজের পক্ষে দাঁড়াতে হবে। যেটাকে বলা যায় একজন ব্যক্তি হয়ে ওঠা।

ব্যক্তি বা ইন্ডিভিজুয়াল হয়ে উঠতে না পারলে আর্ট কালচার, রাজনীতি কিছুই হবে না, এবং আপনার লাইফের কন্ট্রোলও আপনার হাতে থাকবে না।

নিজের দায়িত্ব নেয়ার প্রথম ধাপে বলা যায়, নিজের কাজ করা। নিজের বডি ও মাইন্ডের যত্ন নেয়া। নিজের খাবার দাবার সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করা।

এগুলি সিম্পল, আপনার হয়ত হাঁসি পাইতেছে যে ফুকো দেরিদা দেল্যুজ গাতারি না বলে এগুলি কেন বলতেছি, এতো সিম্পল!

কিন্তু এই সিম্পল জিনিসই, যেইগুলা প্রায় সবাই জানে, ঐগুলাই ঐ ফ্যান্টাসী ল্যান্ড থেকে আপনারে বের কইরা একটা বাস্তবতা দেখানো।

কর্মযোগী হওয়া মানুষের জন্য দরকারী।

আর নিজের বডি ও মাইন্ড আপনার নিজের। এদের দিয়াই আপনার সকল কাজের শুরু।

এগুলি দূর্বল থাকলে, ভালো চিন্তাও পারবেন না। মানুষ একটা সিস্টেম হিসেবে কাজ করে। ব্রেইন আলাদা হিসেবে কাজ করে না। অপুষ্ট ও দূর্বল হইয়া আপনে দূর্বল চিন্তাই করতে থাকবেন, ব্রেইন ঐভাবে আউটপুট দিবে।

অনেকে বলবেন তাহলে সব শক্তিমান লোকেরাই কি ভালো চিন্তা করে? না, এটা লজিক নয়। কারণ তারা সবাই হয়ত তাদের মাইন্ডের যত্ন নেয় নাই, নিজেদের ক্রিটিক্যাল চিন্তারে উন্নত করে নাই। একদিকে ফোকাস করছে, ফলে তারা ভালোভাবে চিন্তা করতে পারবে না।

এখন ভালোভাবে চিন্তা করাই বা কেন দরকারী?

মানুষের লাইফ বহুলাংশে তার সিদ্ধান্তের ফল। যার কাছে জ্ঞান ও প্রজ্ঞা নাই এবং ভালোভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা নাই, তাদের জন্য ভালো সিদ্ধান্ত নেয়া দুরূহ হয়ে উঠবে।

চিন্তা করতে পারার যে ক্ষমতা, এইটা হইল দুনিয়ার সবচাইতে বড় স্কিল। এবং এইটা একজন নিজের চেষ্টায় শিখে ফেলতে পারবেন।

ম্যান হইয়া উঠার প্রক্রিয়া হিসাবে আমি এই চিন্তা করতে পারার ক্ষমতারে ধরি।

এরপরে হইল দায়িত্ব নেয়া, নিজের লাইফের ও নিজের কাজের।

অনেকে আছে খালি দোষারূপ করে। নিজের ভুলের জন্য মা বাপরে, বা অন্য সব কিছুরে। এমন প্রবণতা নিজের ভুল দেখতে দেয় না।

তারপর হইল রিলায়েবল একজন মানুষ হইয়া উঠা। বিশ্বাসযোগ্য, যারে নির্ভর করা যায় এমন।

হিজরতের সময় নবী মুহাম্মদ (স) কে পথ দেখিয়ে ইয়াথরিব শহরে নিয়ে গেছিলেন যিনি, তিনি ছিলেন একজন ইহুদি। কুরাইশরা তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে ঘর ঘিরে রেখেছে, তিনি আলী (রা) কে তার বিছানায় শুইয়ে আবু বকর (রা) এর সাথে ইয়াথরিবের পথে বের হয়েছেন, আর এই অবস্থায় তাদের পথ দেখানোর জন্য নিযুক্ত ব্যক্তি একজন ইহুদী। অর্থাৎ লোকটি এতই নির্ভরযোগ্য ছিল যে মুসলিমরা অন্য ধর্মের হলেও তার উপর আস্থা রেখেছিলেন। এবং ইতিহাস স্বাক্ষী, তিনি তার দায়িত্ব ভালো ভাবেই পালন করেন।

মহাভারতে দেখা যায়, কৃষ্ণ যুধিষ্ঠিরকে বলছেন, বিপক্ষ কৌরব পক্ষের ভীষ্মের কাছ থেকে ধর্ম দর্শন ও জীবন নিয়ে জ্ঞান আহরণের জন্য যেতে, কারণ দুনিয়াতে তার চাইতে বেশি কেউ এসব বিষয়ে জানে না। এখানে ভীষ্ম এতোই নির্ভরযোগ্য এবং জ্ঞানী ছিলেন, যে বিপক্ষরাও তার কাছে এসেছিল জ্ঞানের জন্য।

তারপরে আছে, নিজেরে এন্টি-ফ্রাজাইল এবং একটা দূর্গের মত তৈরি করা। যারে নেগেটিভিটি দ্বারা দূর্বল করা যায় না, বরং, সে উলটা ওই নেগেটিভিটিতে তার স্বার্থেই ইউজ করে নেয়। সে প্রশংসা ও নিন্দারে একই নির্বিকারত্ব দিয়া দেখতে পারে।

দুনিয়া একটা গেইম, যেইখানে নানা ধরণের খেলা চলতেছে নিয়ত। এইগুলারে বুঝতে হবে, তখনই বুঝা যাবে, কোন খেলায় আপনি অংশ নিবেন কোন খেলায় নিবেন না।

এমনিতে মাস্কুলিনিটি হিসাবে যেগুলা পরিচিত, তার বেশিরভাগই টক্সিক মাস্কুলিনিটি বা বোকামি। চিল্লাইয়া কথা বলা, গালাগালি বা ধরেন রাফ বিহেভ করা। কিন্তু এগুলা জাস্ট ব্যাড আচরণ।

মাস্কুলিনিটির মধ্যে ফিটনেস যেমন আছে, তেমন আছে নলেজ, থিংকিং, মেন্টাল টাফনেস, রিস্ক নেয়ার সাহস, আপনার বিচারে যা রাইট জিনিস, যা মানবাধিকার-প্রাণ প্রকৃতির পক্ষে তার জন্য দাঁড়াবার সাহস, কূপমণ্ডূকতা পরিহার, এবং একটা সার্বিক বোল্ডনেস।

সব ক্ষেত্রে সাহস এইটা না যে, আগাইয়া গিয়া ফাইট করা। থিংকিং এইজন্য দরকার। কখন কী সিদ্ধান্ত নিতে হবে এটা বুঝার জন্য। এরিস্টটল যখন কারেজরে ডিফাইন করেন, তিনি বলেন নাই একেবারে ভয়ডরহীন অগ্র পশ্চাৎ না ভাইবা রিস্ক নেয়ারে, ওইটা বোকামি। কারেজরে তিনি বলছিলেন, যে পরিস্থিতি বাস্তবিক ভাবে বুঝে ও ঠিকঠাক ভয় এবং ঠিকঠাক কনফিডেন্স রাইখা কাজ করে।

এই পয়েন্ট ক্লিয়ার করতে দুইটা উদাহরণ দিয়া লেখা আজকের মত শেষ করি।

একটা মহাভারত থেকে।

যখন ব্যাস তার মা সত্যবতীরে নিয়া যাইতেছেন সন্ন্যাসে। বিদায়ের বেলা ভীষ্ম আইসা বলেন “মাতাশ্রী আমারেও সাথে নেন।

সত্যবতী বলেন, “না পুত্র, তোমার তো কাজ এইখানে। কুরু সিংহাসন দেইখা রাখা, প্রতীজ্ঞাবদ্ধ তুমি, আজীবন এই তোমার কাজ পুত্র, এই তোমার সন্ন্যাস, এই তোমার তপস্যা ।

ভীষ্ম বলেন, “পাড়ান্তু, মাতাশ্রী এখন তো সব ভালো, দেখেন সবই ভালো চলতেছে।

তখন ব্যাস একটা তীর্যক হাসি দিয়া বলেন, “গঙ্গাপুত্র তুমি কি ভবিষ্যতে গিয়া দেইখা আসছো সব ভালো থাকবে? এইটা না ভুলো, তোমারে ইচ্ছা মৃত্যুর বরদান দেয়া হইছে, ইচ্ছা জীবনের না। “

“মরার আগ পর্যন্ত এই সিংহাসনের লগেই বান্ধা থাকো।

“আর জিয়ে যাও। জীন্দেগি জিনা বাহত কাঠিন কাম হ্যায় বৃহাস্পতি শিষ্য ভীষ্ম।

এইখানে মহাভারতের সেরা মাস্কুলিন চরিত্র ভীষ্ম বুঝতে পারছিলেন যে, যুধিষ্ঠিরদের রাজত্ব না দিয়া দূর্যোধনকে রাজত্ব দিবেন রাজা ধৃতরাষ্ট্র। এইটা অন্যায় যেহেতু সে যোগ্য না, অধিকতর যোগ্য যুধিষ্ঠির। এই অন্যায় করা হলে ঝামেলা হবে এবং ভবিষ্যত বিপদ তিনি যে বুঝতে পারেন নি এমন নয়। কিন্তু তবুও শেষপর্যন্ত কুরু বংশ রক্ষা করে গেছেন।

মাঝে মাঝে এই যে, এইরকম কিছু অবস্থা আসে, যেখানে সহ্য কইরা যাইতে হয়, এটাও মাস্কুলিন বৈশিষ্ট্য।

দ্বিতীয় উদাহরণ ভিডিও ড্রামা সিরিজ পিকি ব্লাইন্ডার্স থেকে।

পিকি ব্লাইন্ডার্সের প্রথম সিজনের এক পর্বে কিম্বার বয়েজদের লিডার বিলি কিম্বারের সাথে টমি শেলভির একটা এনকাউন্টার আছে বারে। যেইখানে টমি প্রস্তাব দেয় ব্লাইন্ডার্সেরা কিম্বারের হয়ে কাজ করবে।

বিলি কিম্বার ওই সময় টমিরে অপমান করে। গুলি করে বারের একটা জিনিস ভাঙছিল, পরে কয়েন ছুইড়া দিয়া বলে এইটা তুইলা নে, ঠিক করবি ভাঙ্গা জায়গাটা।

টমির ভাইয়েরা রাইগা যাইতে চায়। কিন্তু টমি রাগে না। পরে ছোট ভাই কয়েন তুলতে গেলে ইশারা দিয়া টমি তারে বসায়। নিজেই নিচা হইয়া কয়েন তুলে।

টমি এই সিরিজে একটা মাস্কুলিন ক্যারেক্টার। পরিস্থিতির কারণে তারে এগ্রেসিভও হইতে হয়।

এই সিন এই জিনিসই দেখায় মাঝে মাঝে পরিস্থিতি যেমনে ডিমান্ড করে সেইভাবে চলা দরকার হয়, যদি আরো বড় কিছু মাথায় থাকে।

টমির শুরু থেকে প্লান ছিল মাথায়। সে কী করবে। কিম্বার বয়েজদের হয়ে সারাজীবন কাজ করা তার লক্ষ্য ছিল না। বরং, এইটা এক স্টেপ। যেইখানে সে পরিস্থিতির কারণে নিচু হইছে।

পরে, প্রথম সিজনের শেষের দিকেই টমি বিলি কিম্বারের মাথা ফুটা কইরা দেয় গুলি করে। কিম্বার বয়েজদের সাথে ব্লাইন্ডার্সদের যুদ্ধের সময়ে।

ঐ যুদ্ধে, যখন শক্তিশালী কিম্বার বয়েজরা আক্রমণে আসে, টমি তার অল্প লোকবল নিয়া কিন্তু ফাইটে যায়। তখন সে আর পিছাইয়া যায় না।

ওই সময় একটা ডায়লগ আছে, যুদ্ধের আগে আগে। বারটেন্ডার লোকটা টমিরে বলে, আজ তো যুদ্ধ, আর সবাই চাইতেছে তুমিই জিতো, যদিও তুমি খারাপ লোক, কিন্তু আমাদের খারাপ লোক।

এই দুই উদাহরণরে আমি একেবারে পারফেক্ট মাসকুলিনিটি বলে ধরতেছি না। এই দুইটা সিন আনার উদ্দেশ্য হইল এটা বুঝানো যে, সব সময় ফাইট করা, চিল্লাচিল্লি করাই মাস্কুলিন না। কখনো নিরব হওয়া, দেখা ও সহ্য করার মত মেন্টাল টাফনেসও জরুরী।