১। কোন কিছু না জানলে সেই না জানা আমি স্বীকার করতে রাজী আছি।
২। আমি অন্যদের বুদ্ধিবৃত্তিক শক্তিকে প্রশংসা করতে পছন্দ করি।
৩। নিজের বুদ্ধিবৃত্তিকে আরো উন্নত করতে নিজের দূর্বলতা গুলি নিয়ে আমি ভাবতে চেষ্টা করি।
৪। আমি আমার চিন্তার ব্যাপারে অন্যের মতামত চাই সক্রিয়ভাবে, তা সমালোচনামূলক হলেও।
৫। কোন বিষয়ে কেউ আমার চাইতে বেশী জানলে আমি তা স্বীকার করি।
৬। কেউ যদি আমার চিন্তা বুঝতে না পারে তাহলে সম্ভবত সে অল্পবুদ্ধি। (আর)
৭। মাঝে মাঝে আমি অন্যদের বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষমতা দেখে অবাক হই।
৮। কেউ আমার বুদ্ধিবৃত্তি দূর্বলতা দেখিয়ে দিলে আমি অস্বস্থি বোধ করি। (আর)
৯। কেউ আমার বুদ্ধিবৃত্তিক ভ্রান্তি ধরিয়ে দিলে আমি তা পছন্দ করি না। (আর)
এই নয়টি প্রশ্নের উত্তরের উপর ভিত্তি করে গবেষক পর্টার ও শুম্যান ইন্টেলেকচুয়াল হিউমিলিটি মেপেছেন।
এগুলির সাথে যিনি বেশী একমত তিনি ইন্টেলেকচুয়ালি বেশি হিউমিলিটির অধিকারী। তবে যেগুলির সাথে (আর) আছে সেসব প্রশ্নের সাথে একমত মানে ইন্টেলেকচুয়াল হিউমিলিটি কম।
ইন্টেলেকচুয়াল হিউমিলিটি কী?
ইন্টেলেকচুয়াল হিউমিলিটি হচ্ছে নিজের চিন্তার সীমাবদ্বতা সম্পর্কে সচেতনতা। বিভিন্ন সাইকোলজিক্যাল বায়াস থাকে একজনের চিন্তায়, পরিবেশ পরিস্থিতি দ্বারাও চিন্তা প্রভাবিত হয়, সীমাবদ্বতা থাকে নিজের জানার। এসব বিষয়ে সচেতন থাকাকে ইন্টেলেকচুয়াল হিউমিলিটি বলে। ইন্টেলেকচুয়াল হিউমিলিটি ক্রিটিক্যাল থিংকিং এর ফাউন্ডেশনের অংশ।
তবে এর মানে কখনোই ইন্টেলেকচুয়ালি অতি বিনয়ী, অতি পলিটিক্যাল কারেক্টনেস বুঝায় না। ইন্টেলেকচুয়াল কারেজ, ইন্টেলেকচুয়াল এম্প্যাথি এগুলিও ক্রিটিক্যাল থিংকিং এর ফাউন্ডেশন এর অংশ।
সাম্প্রতিক পর্টার ও শুম্যানের রিসার্চে দেখা গেছে যাদের ইন্টেলেকচুয়াল হিউমিলিটি বেশী, অর্থাৎ ঐ প্রশ্নগুলির স্কেলে ভালো করেছেন, তারা বেশী পরমত সহিষ্ণু ও উদার।
ইন্টেলেকচুয়াল হিউমিলিটির জন্য চার্লি মাঙ্গারের একটি কথাও কার্যকরী। কোন কিছুতে আপনার মতামত আছে তা ততক্ষণ বলা যায় না যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি বিরোধী মতের সবচাইতে শক্ত যুক্তিটি তাদের চাইতে ভালোভাবে দিতে পারেন।
অর্থাৎ, বিরোধী মতকে যারা সেই মত অনুসরন করে তাদের চাইতেও বেশী জানতে হবে। এই চর্চা নিজের জানার সীমাবদ্বতা দেখায়, ও অহেতুক ইন্টেলেকচুয়াল গর্ব থেকে বাঁচায়।
এছাড়াও, নিজের প্রিয় আইডিয়াকে হত্যার চর্চা চিন্তাকে উদার রাখে।
অন্যের ভ্রান্ত যুক্তিকে আক্রমণ করা কি যাবে না তাহলে?
যাবে, এবং তা ইন্টেলেকচুয়াল কারেজেরই অংশ। কিন্তু এর সাথে সাথে মানুষের সাইকোলজিক্যাল সীমাবদ্বতা, যার সাথে তর্ক করছেন তার পড়ালেখা ও আপব্রিঙ্গিং বা কীভাবে কোন পরিবেশে সে বড় হয়েছে, এগুলিও বিবেচনায় নেয়া বুদ্ধিমানের লক্ষণ। সব সময় এসব মনে রাখা যদিও দুরূহ কাজ।
নিচে দেখার বায়াস কীভাবে কাজ করে তার এক সুন্দর উদাহরণ দেখা যাক, এটা চাঁদের ছবি।
বিভিন্ন এলাকার মানুষ বিভিন্ন ভাবে তাদের ধারণা মতো চাঁদে মানুষের মুখ দেখে থাকেন। আমাদের কালচারে, আমরা দেখি চাঁদের বুড়ি।