অতি-পোলাবাদ কী, ও বাঁচার উপায়

আধুনিক পৃথিবীর এক ক্রাইসিস হইল আরো পোলা হইয়া উঠার ক্রাইসিস। এই অতি পোলাত্ব বা পুরুষত্বের আকাঙ্খা, ও পুরুষত্বরে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিয়া অন্য সব কিছুরে দেখতে থাকার প্রবণতা আধুনিক সমাজরে এক ভিন্ন জায়গায় নিয়া যাইতেছে। কিন্তু এই অতি পোলাত্বের আকাঙ্খার জনম হইল কেন, তা হয়ত সঠিক জানা যাবে না, কিন্তু পলানিউক-ফিঞ্চারের যৌথ উপস্থাপন ফাইট ক্লাব থেকে এর এক ব্যাখ্যা আমরা পাইতে পারি।

ফাইট ক্লাবে আমরা প্রথমে যে এডওয়ার্ড নর্টনরে দেখি সে হতাশ ও বিষন্ন। সে লাইফে কোন মজা পায় না। তার হতাশা ও বিষন্নতার কারণ তার স্বাভাবিক পুরুষত্বরে দমাইয়া রাখছিল ক্যাপিটালিজম ও কনজিউমারিজম। সাপ্রেস থাকতে থাকতে একসময় এই পুরুষত্ব তার শক্তি দিয়া অতি-পুরুষাত্বিক একটা রূপ তৈরী করে। সেই রূপই আমরা দেখি কাল্পনিক ব্র্যাড পিটের মধ্যে। ফাইট ক্লাবের ফাইট এবং যাবতীয় ক্রিয়াকর্ম এই অতি-পুরুষাত্বিক রূপেরই ক্রিয়া এবং এর প্রতিক্রিয়ায় লং রানে আমাদের নায়ক এডওয়ার্ড নর্টনের অবস্থা আরো কাহিল থেকে কাহিলতর হইতে থাকে।

পশ্চিমা সমাজে জর্দান পিটারসনের মতো লোক জনপ্রিয় হইতেছেন, সেলফ-হেল্প রাইটার বা একরকম বুদ্ধিজীবী হিসেবে, যারা পুরুষত্বরে বিশেষ গুরুত্ব দিয়া প্রচার করতে থাকেন। পিটারসনের জনপ্রিয়তা আধুনিক বিশ্বের সাম্প্রতিক ট্রেন্ডেরই একটা রূপ। {পিটারসন নট এন্টায়রালি ব্যাড, কিন্তু তাদের ফলোয়ারদের মধ্যে অনেক উগ্র পুরুষত্ববাদীরা আছে।}

যেমন ধরেন ইন্ডিয়ার হিন্দুত্ববাদের উত্থান। এইটাও অতি-পোলাত্ব নির্ভর। নটুরাম গডসে হইল হিন্দুত্ববাদীদের কাছে হিরো। গান্ধীরে একদিন এই গডসে গুলি কইরা মাইরা ফেললো। সে মাইরা আবার পালানোর চেষ্টাও করে নাই, দাঁড়াইয়া রইছে।

সে কোর্টে বলছিলো, গান্ধীরে মারা সে দায়িত্ব মনে করছে কারণ ভদ্রলোকের পলিটিক্স হইল ওমেনলি, মানে নারীদের মত উইক। আর তার মুসলিমদের প্রতি উদারতা হিন্দু জাতিরে ঐ উইকই করতেছে।

তো এই অতি পোলাত্ব দেখানি গডসে আবার জীবনের পয়লা বছরগুলাতে মাইয়া হিসেবে বড় হইহিল, তার নাকে রিং টিং পরানো হইছিল। এবং পরে সে অতি-পোলাত্ব হিন্দুত্ববাদী সুপ্রামেসিজমের দিকে যায়।

একইব্যাপার হেমিংওয়ের লিটারেচার নিয়া বলছেন তার এক বায়োগ্রাফার। হেমিংওয়ের ক্যারেক্টারগুলা খুবই মাসকুলিন বৈশিষ্ট্য ধারন করে। তিনি তার লাইফেও অতি পোলাত্ব দেখাইতে চাইতেন। একবার এক কুত্তারে এমন ভাবে গুল্লি মারছিলেন, যাতে খুব আস্তে আস্তে ব্লিডিং হইতে হইতে দীর্ঘ যন্ত্রণা পাইতে পাইতে কয়েকদিনে সে মারা যায়। এইটা আবার তিনি গর্ব কইরা বলতেন, এটারে  অতি-পোলাত্ব বা পারভার্স মাসকুলিনিটি আমরা বলতে পারি।

তো, কেয়ারফুল বায়োগ্রাফার ম্যারি ভি ডিয়ারবর্ন হেমিংওয়ের লাইফ বিশ্লেষন কইরা দেখাইলেন, হেমিংওয়ের আম্মা ছোটবেলায় তারে মাইয়াদের ড্রেস পরাইতেন, মাইয়াদের মত কইরাও পালন করতেন ইচ্ছা হইলে, তিনি খুবই কন্ট্রোলিং ছিলেন, হেমিংওয়েরে কোলে নিয়া পিস্তলের গুল্লি ফুটাইতে লাইক করতেন। এইসবের জন্য হেমিংওয়ের ভিতরে তার মাসকুলিনিটি নিয়া এক ধরণের ইনসিকিউরিটি বা নিরাপত্তাহীনতা তৈরী হয়।

হেমিংওয়ে তার নারীসঙ্গীদের কাছে এইটাও বলতেন যে তিনি মাইয়ার রোল প্লে করতে চান সেক্সে। অর্থাৎ, একটা জটিলতা তার ভেতরে ছিল, ভেতরে ভেতরে একটা মাসকুলিনিটি নিয়া নিরাপত্তাহীনতা থাকার কারণেই তিনি অতি-পোলাত্ব দেখাইতেন বলে মত দিছেন বায়োগ্রাফার।

যাইহোক, হিটলারের মেইন ক্যাম্ফ বেস্টসেলার হওয়া দেশ ইন্ডিয়ার দিকে আমরা আবার ফিরে আসি। ইন্ডিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, যার উপরে গুজরাটে মুসলিম মারার অভিযোগ আছে, এই ভদ্রলোক কিন্তু ক্ষমতায় আসার কালে তার ৫৬ ইঞ্চি চেস্টের ব্যাপারে গর্ব ভরে প্রচার করছেন। রূপকে বলা হইল, এই চেস্ট দিয়া তিনি ইন্ডিয়ারে আবার পুরুষাত্বিক কইরা তুলবেন। অন্যদিকে কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী তো মহিলাই, আর রাহুল গান্ধীরে বাবু, বাচ্চা ইত্যাদি বলে গণহারে ফান করেন হিন্দুত্ববাদীরা। ফলে ৫৬ ইঞ্চি চেস্টের মোদিই হইলেন ম্যান, যিনি পাকিস্তানের সাথে উপযুক্ত জবাব দিবেন, ফগ গায়ে মাইখা।

ছবিঃ বিশ শতকের প্রথমদিকে আঁকা রামের ছবি।

বলিউডেও দেখেন, সিক্স প্যাক আর মাস্কুলার বডি ছাড়া নায়ক তো প্রায় নাইই। আগের যারা, বয়স্ক, তারাও নানা ধরণের সাপ্লেমেন্ট নিয়া টিয়া প্যাক ও মাসকুলার বডি নির্মান করতেছেন। জনগণের চাহিদা, জনগণ অতি-পোলা চায়। ফলে প্রতিযোগীতায় থাকতে হলে তা দেখাইতে হবে। বলিউডে এটা বেশ আগে থেকেই শুরু হইছে আস্তে আস্তে, যেমন অতি পোলাবাদী হিন্দুত্ববাদের শেকড় আস্তে আস্তেই শক্ত হইছে ভারতমাতার বক্ষে। রামের মতো চরিত্রের গায়েও এখন মাসল দেখা যায় নানাবিদ রাজনৈতিক ও অন্যান্য পোস্টারে।

ছবিঃ নতুন রাম
ছবিঃ নতুন রাম

 

মোদির হিরোদের মধ্যে থাকা বিবেকানন্দ হিন্দুদের বাইসেপ বাড়ানির কথা বলতেন। আর মোদির আরেক হিরো হইলেন শ্রীলঙ্কার বৌদ্ধ ধর্মতাত্ত্বিক আনাগারিকা ধর্মপালা। এই ভদ্রলোক শান্ত নিরীহ বৌদ্ধ ধর্মরেও এক অতি-পোলাত্বিক আগ্রাসী চেহারা দিতে সক্ষম হইছেন। তিনি মনে করতেন বিশুদ্ধ জাত আর্য-সিনহালিজদের দেশই শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার যাবতীয় প্রবলেমের কারণ ব্রিটিশ ও মুসলিমরা। তার দ্বারা প্রভাবিত শ্রীলঙ্কার বুদ্ধিস্ট পাওয়ার ফোর্স বা বদু বালা সেনা এবং মিয়ানমারের আগ্রাসী এন্টি-মুসলিম বৌদ্ধ ধর্মগুরু শিন রিথু, যার কারণেই মিয়ানমারের রোহিংগা মুসলিমরা মাইর খাইল। অতি-পোলাবাদী জাতিঘৃণার বিভীষিকা।

এইদিকে রাশায় অতি-পোলাবাদী ক্যারেক্টার নিয়া হাজির শ্রীমান পুতিন সাহেব। তার মাসকুলিনিটি বা যেভাবে তিনি নিজেরে উপস্থাপন করেন তা দেখার মতো এক জিনিস। এঞ্জেলা মার্কেলের সাথে কুত্তা নিয়া তার মিটিংটা এক্ষণে স্মরণ করা যায়। কেজিবির প্রাক্তন এজেন্ট, একসময় জর্মন দেশে কাজ করা ও জর্মন ভাষা জানা রাশার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানতেন এঞ্জেলা মার্কেল কুত্তারে ভয় পান, কারণ ছোটবেলায় তারে কুত্তা কামড়াইছিল। তাই মিটিং এ সেইদিন তিনি তার বিরাট কালা কুত্তারে নিয়া যান, এই সাইজের কুচকুচে কালা কুত্তা ধরেন আমাদের জিন্দাবাজার পয়েন্টে আইনা ছাইড়া দিলেই হুলস্থুল পইড়া যাবে। মার্কেল কুত্তা দেইখা একরকম ভীত হইয়া পড়েন। তার মুখ চোখে সেই ভাব ফুইটা উঠে। কিন্তু মুখে কিছু বলতেও পারতেছিলেন না।

ছবিঃ ভ্লাদিমির পুতিন, এঞ্জেলা মার্কেল ও পুতিনের কুত্তা কোনি

এইভাবে পুতিন অতি-পোলাবাদী মাইন্ডগেইম খেলে থাকেন। যেমন, উত্তর কোরিয়ার কিম জং উনের থ্রেটের উত্তরে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বলছিলেন আমারটা আরো বড়। ট্রাম্পের এই অতি-পোলাবাদি বয়ান কমেডিয়ান জর্জ কার্লিনের কথা মনে করাইয়া দেয়, যিনি ব্যাখ্যা দিছিলেন কেন মিসাইলের আকার পোলাদের বিশেষাঙ্গের মতো হয়।

ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসা ও প্রচারণা দৃশ্যতই অতি-পোলাবাদী ছিল। তার কথা ছিল আমি প্রটেক্ট করমু ও পুনর্জাগরণ হবে। আমেরিকার ৫৩ ভাগ শাদা মহিলা তারে ভোট দিছিলেন এবং নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাথে আলাপে তারা জানাইছিলেন তারা ভোট দিছেন কারণ ট্রাম্প একজন ভালো ফাদার। ভালো ফাদার ট্রাম্প ভালো দেশ চালাইতে পারবেন তাদের মনে হইছে।

হিলারি চাইছিলেন একটা মাদার ফিগার হইতে। মা দিবসে অন্যেরা যেখানে নিজেদের মায়ের স্মৃতিচারণ করতেছেন বা তাদের নিয়া পোস্ট দিতেছেন, হিলারির পেইজ থেকে পোস্ট দেয়া হয় তিনি কতো ভালো মা তা বর্ননা কইরা। কিন্তু অতি-পোলাবাদী আকাঙ্খা তৈরি হওয়া সমাজ তা নেয় নাই।

ট্রাম্পের অতি-মাসকুলিনিটি বিষয়ে তার আর্ট অব দ্য ডিল বইয়ের সহ-লেখক বলছিলেন, ট্রাম্প হইল দুইটা। একটা যা আপনারা দেখেন, অতি আত্মবিশ্বাসী বকোয়াজি করে। আরেকটা ট্রাম্প আছে তার ভেতরে, যা তারে হন্ট কইরা বেড়ায়। এক ভীত নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা বালক, অতি-সমালোচনাকারী বাপের আক্রমণে সন্ত্রস্ত ও মায়ের সাহচর্য বঞ্চিত। দূরে থাকা মা তারে প্রটেক্ট করবেন না বা করতে পারবেন না সে জানতো।

পাকিস্তানেও ইমরান খান লিডার হিসেবে জনপ্রিয়। তার প্লেবয় ইমেজ  এক্ষেত্রে কোন বাঁধার সৃষ্টি করতেছে না বরং উলটা তার পক্ষে কাজ করতেছে বলা যায়। এরদোয়ান, রদরিগো দুয়ের্তে ইত্যাদি সম্পর্কেও একই কথা বলা যায়, তাদের অতি-মাসকুলিনিটি সমাজে জনপ্রিয়।

শেষকথায় হইল, এডওয়ার্ড নর্টন সমাজ মূলত একটা অতি-মাসকুলিন ব্র্যাড পিটরে তৈরী করে নিচ্ছে। অতি-পোলাবাদীদের দিকে তারা আকৃষ্ট হচ্ছে, কারণ তারা তাদের স্বাভাবিক মাসকুলিনিটি প্রকাশ করতে পারে নাই এবং তাদের মাসকুলিনিটির ব্যাপারে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে। ফলে দূর্বলতার বোধ থেকে দূর হতে তারা জাতিবাদী, ঘৃণাবাদী দল গোষ্ঠী বা ব্যক্তির দিকে ঝুঁকতেছে।

এই মাইরালামু, কাইট্টালামু টাইপ অতি-পোলাবাদী অবস্থার প্রধান ভিক্টিম হবে সংখ্যালঘু ও নারীরা। নারীদের উপর নির্যাতন ও আগ্রাসন বাড়ছে, বাড়বে এইসব প্রবণতায়। হেমিংওয়েরে দেখেন, বউরে ফিজিক্যাল, ভারবাল এবিউজ তো করতেনই।

দুনিয়ার শুরু থেকে কিছু কিছু জিনিস আলাদা ছিল নারী ও পুরুষের মধ্যে। কারণ পুনরোৎপাদন প্রক্রিয়ায় দুইজনের কাজ তো ভিন্ন। কিন্তু পরে কৃষিভিত্তিক সমাজ ডেভলাপের পর, শ্রমবিভাগের পর আরো অনেক ভাগ বিভাজন হইছে নারী ও পুরুষের মধ্যে, যার সবটা প্রাকৃতিক না। নারী যখন ঘরে থাকলো বাচ্চা লালন পালনের জন্য আর পুরুষ বাইরে গেল কাজে, তখন শস্যের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় পুরুষদিগের কাছে। শস্যের নিয়ন্ত্রণ চলে যাওয়া মানে সমাজের নিয়ন্ত্রণ চলে যাওয়া, রাইট রং ও আচার বিচারের নিয়ন্ত্রণ চলে যাওয়া।

নারীর নারীত্ব ও পুরুষের পুরুষত্ব স্বাভাবিক, এবং উভয়ের মধ্যই অন্যত্ব অর্থাৎ নারীর মধ্যে কিছু পুরুষত্ব বা পুরুষের মধ্যে কিছু নারীত্ব থাকে সাবকনশাস লেভেলে। এইটা স্বাভাবিক, গুস্তাব জাং এর এই ব্যাপারে একটা ব্যাখ্যাও আছে। মূলত এর মাধ্যমে একটা ব্যালেন্স থাকে ও পুরুষ অতি আগ্রাসী পোলাবাদ থেকে বিরত থাকে।

অতি-আগ্রাসী পোলাবাদ একটা সিরিয়াস সাইকো-সোশ্যাল সমস্যা। এর থেকে নিরাপদ থাকতে কী কী করা দরকার এ ব্যাপারে ভাবা দরকার। এইসব পয়েন্ট ভাবা যায়ঃ

১। স্বাভাবিক পুরুষত্ব প্রকাশ, এবং পুরুষত্বরে সাপ্রেস করে না রাখা।

এখানে বলা হইতেছে, জি হুজুর মার্কা না হওয়া। যেমন ধরেন কর্পোরেট অফিসে এক লোক কাজ করে। ভালো কর্মকর্তা। কিন্তু প্রতিদিন স্যারদের তেল দিতে হয়, জি হুজুর জি হুজুর করতে হয়। এই নিয়ত আপোস বিধ্বংসী। এতে তার পুরুষত্ব সাপ্রেস হইতে থাকে, এবং ভিতরে ভিতরে বিদ্রোহ করে। তখন সে ঘরে গিয়া বউয়ের উপর ঝাল মিটাবে। বউয়ের সাথে না পারলে প্রস্টিটিউট। এবং শেষ পর্যন্ত তার লাইফ হবে মিজারেবল, ফাইট ক্লাবের নর্টনের মতো।

২। নিয়মিত জিমে যাওয়া। ওয়েট ট্রেনিং করা। ( তথ্য হেল্পঃ এই ব্লগের ফিটনেস সেকশন)

নিয়মিত জিমে গিয়ে ওয়েট ট্রেনিং করা দরকার, কারণ প্রাকৃতিক ভাবে এইটাই টেস্টোস্টেরন বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে ভালো উপায়। টি যেহেতু মেইন একটা মেইল হরমোন তাই পুরুষের স্বাভাবিক মনো-দৈহিক সুস্থতার জন্য এটি দরকারী। নিজের ভেতরে স্বাভাবিক পুরুষত্ব থাকলে কেউ কোন উগ্রপন্থী দলের সদস্য হইয়া বা বউ পিটাইয়া পুরুষত্বের আকাঙ্খা মেটানোর প্রয়োজন বোধ করবে না।

৩। পৃথিবী, মানুষ ও অন্যসব কিছু সম্পর্কে জানা অব্যাহত রাখা।

জানা অব্যাহত রাখা দরকারী। নারীদের সম্পর্কে, মানুষের সম্পর্কে, পরিবেশ ও অন্যান্য প্রাণীদের সম্পর্কে জানতে থাকলে তাদের অবস্থান ও গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন হওয়া যায়। নিজের অবস্থান বুঝা যায় এবং সুতাটা টের পাওয়া যায়। যেই সুতায় সবাই বান্ধা, এক জায়গায় টান পড়লে সবার গায়েই তা অনুভূত হয়।

৪। ইন্টারনেট-টেকনোলজি ও কনজিউমারিজম বিষয়ে সতর্ক থাকা।

ইন্টারনেট-টেকনোলজি ও কনজিউমারিজম পুরুষত্বরে সাপ্রেস কইরা রাখতে থাকে অনেক ক্ষেত্রে। এইসব ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা দরকারী।