অফিসে ক্যাটারিং থেকে খাবার আসে, আর সেইসব খাবারে বিস্তারিত সমস্যা। কোনদিন এইটা খারাপ, তো কোনদিন ওইটা। এই নিয়া চার বার ভেন্ডর বদলানো হইল। কিন্তু কোন লাভ নাই।
আমাদের ফ্রন্ট এন্ডের আবুল কাশেম ভাই বলেন, এইগুলা হালাদের ধান্দাবাজী। পয়লা কিছুদিন দেখবা খাবার ভালো দেয়। এরপরই দেয়া শুরু করে ইচ্ছামত। কীয়েক্টাবস্থা!
আমরা সবাই আবুল কাশেম ভাইয়ের কথায় একমত হই। আমরা নিশ্চিত জানি এমনই হয়। কারণ বার বার আমরা এমন দেইখা আসতেছি।
সাপোর্টের মারুফ ভাই ত্যক্ত মুখে বললেন, না, এদের দিয়া আর হবে না। বদলাইতে হবে। এই জিনিশ কি খাওয়া যায়, তেল দিয়া কী একটা অবস্থা করছে। মনে হইতেছে তেলের সাগর।
মার্কেটিং টিমের আলী আমজাদ ভাই। তিনি সিনিয়র কন্টেন্ট মার্কেটার হিসেবে কাজ করেন। স্বাস্থ্য সচেতন। তেল জাতীয় খাবার এড়াইয়া চলতে চান। তিনি মারুফ ভাইয়ের কথায় সায় দিয়া বলেন, হ ঠিকই কইছেন মারুফ ভাই। এই তেল খাইয়া খাইয়া আমার তো গেস্টিক হইছে। রাইতে বিষ বেদনা।
ডেভলাপার টিমের রফিক ভাই একটু গম্ভীর হইয়া বলেন, কিন্তু এমনে আর কত। এইভাবে আমরা বদলাইতে থাকলে, একটার পর একটারে ধইরা খাইয়া ছাইড়া দিতে থাকলে, পরে তো কোন ভেন্ডরই আমাদের খাবার দিব না। আমাদেরই ওরা ছাইড়া দিব। তখন আমরা করব কী?
এইরকম কথাবার্তা প্রায়ই হইত আমাদের অফিসের খাবার টেবিলে, লাঞ্চের টাইমে। সেদিনও এমন হইতেছিল। ঠিক এইরকম। তখন আমাদের মার্কেটিং টিমের গালিব ভাই তুললেন আলাউদ্দিনের কথাটা। তিনি সবার কথাবার্তা শুনে একসময় গলা খাকারি দিয়া বললেন, ভাইয়েরা, আমি একটা কথা কই শুনেন।
আমরা তখন চুপ মাইরা গালিব ভাইয়ের কথা শোনার প্রস্তুতি নিলাম। গালিব ভাই ফালতু লোক না। সিনিয়র লোক। তিনি ভুং ভাং কথা বলেন না। কম কথা বলেন, কাজের কথা বলেন।
গালিব ভাই বললেন, আমার কাছে এক লোকের খোঁজ আছে। বহুত ভালো খাবার বানায়। আমি নিজে খাইছি। মারাত্মক খাবার হয়, এই সাধারণ ভাত ডাল মাছ মাংস। এমনভাবে রান্দে যে কী আর বলব আপনাদের, পুরা সেই! আপনারা চাইলে আমি তার সাথে কথা বইলা দেখতে পারি। সে যদি আমাদের অফিসে খাবার দেয়, তাইলে আমার মনে অয়, খাবার নিয়া কোন চিন্তা আর আমাদের থাকব না।
গালিব ভাইয়ের কথা শুইনা আমরা খুশি হইলাম। গালিব ভাই গোনায় ধরার মত লোক, তিনি নিশ্চিত না হইয়া এমন কথা বলবেন না। তাই আমরা তার প্রস্তাবে রাজী হইলাম।
গালিব ভাই বললেন, তাইলে আমি লোকটারে খুইজা দেখি পাই কি না। সে রাজী হইলেই হয়।
আমরা জিজ্ঞেস করি, খোঁজতে হবে কেন? আপনি কি জানেন না তার হোটেল বা অফিস কই?
গালিব ভাই বললেন, আরে না। ঐ লোক ভিন্ন কিসিমের। তার হোটেল কই আমি জানি না। তবে শাহবাগের ঐদিকে তারে পাওয়া যায়, আমি পাইছিলাম আর কি।
শাহবাগ থেকে কি এইলোক আমাদের মিরপুরে খাবার নিয়া আসবে? আমরা হতাশ হইয়া জিজ্ঞেস করি।
গালিব ভাই বলেন, সেইজন্যই তো কই, আগে তারে জিগাই। সবারই তো সুবিধা অসুবিধা আছে। নাকি নাই?
এই ছিল আলাউদ্দিন নিয়া আমাদের প্রাথমিক কথাবার্তা।
পরবর্তী এক সপ্তাহ ধইরা গালিব ভাই আলাউদ্দিন লোকটারে খুঁজলেন। এক সপ্তাহ তিনদিন পরে নিশ্চিত হইল, আগামী সপ্তাহ থেকে লোকটা আমাদের খাবার দিবে। সে শাহবাগ থেকে কীভাবে খাবার দিবে মিরপুরে এই প্রশ্ন আমরা করলাম গালিব ভাইরে। গালিব ভাই বললেন, আমিও এইটা জিগাইছিলাম উনারে। উনি কিছু কয় নাই, হাসছে খালি। লোকটা একটু পাগল কিসিমের। আমার সাথে কথাই হইল তিন চার মিনিট। তার তাড়া ছিল।
গালিব ভাইয়ের কথায় আমরা ঠিক ভরসা পাইলাম না সেইদিন।
কিন্তু এই পাগল কিসিমের আলাউদ্দিন সত্যি সত্যিই আমাদের পরের সপ্তাহ থেকে খাবার দিতে থাকল। তার পক্ষ হইতে এক লোক আইসা খাবার দিয়া যাইত ও সন্ধ্যার দিকে আইসা বাক্সগুলি নিয়া যাইত। সেই লোকও অদ্ভুত, চোখে সব সময় কালা চশমা পইরা থাকত, আর কথা বলার সময় এর গলা থেকে চি চি শব্দ বের হইত। অনেকটা পাখির মত।
একদিন আমার সাথে কথা বলতে বলতে এমন চি চি শব্দ করতেছিল। আমি সেদিন কিচেনে চা খাইতেছিলাম আর সে আসছিল বাক্সগুলা নিতে।
আপনি সব সময় চউখে কালা চশমা পরেন নাকি?
হ পরি তো। চি চি।
কেন, কোন সমস্যা?
না, চি, সমস্যা ক্যান হবে, চি। কোন সমস্যা নাই চি, এমনেই পরি চি।
কথা বলার সময় চি চি করতেছেন কেন?
লোকটা হাইসা বলল, হে হে, আমি হইলাম পক্ষীকূল, তাই। চি চি চি।
অফিসের আর কেউ লোকটার এই অদ্ভুততার দিকে খেয়াল করে নাই সম্ভবত। আর আমিও অত গুরুত্ব দেই নাই। কারণ আলাউদ্দিনের খাবার নিয়া আমরা খুশি ছিলাম।
আলাউদ্দিনের খাবার অতি সুস্বাদু। খুবই সাধারণ রান্না, কিন্তু খাওয়ার পরেও মুখে লাইগা রয় স্বাদ। ছোট কেচকি মাছ দিয়ে কি জানি রানছিল প্রথমদিন, খাইয়া তো আমরা তব্দা মাইরা রইলাম।
ডিজাইনের লিড ফরাজি ভাই বললেন, এই হালায় কী রানছে! এমন জিনিস তো আর খাই নাই।
সাপোর্টের কবির ভাই বললেন, আরে মিয়া সম্মান দিয়া কতা কন, দেখেন না, কী জিনিশ রানছে, আর এতদিন আমরা কীসব খাইলাম। এই লোক এতদিন কই ছিল? গালিব ভাইরে তো সংবর্ধনা দেয়া দরকার।
আমরা সবাই হ হ, ঠিক ঠিক কইয়া সমর্থন দিলাম।
এইভাবেই শুরু হইল ও চলতে থাকল।
আলাউদ্দিনের খাবারের স্বাদ যেন দিনে দিনে বাড়তেই থাকল। আমরা তখন লাঞ্চের আগে আগে রেডি হইয়া থাকি। বাক্স নিয়া ঐ পক্ষীজাতীয় লোকটা আইলেই ঝাপাইয়া পড়ি। কিচেনে জায়গা হয় না সবাই একসাথে গেলে। তাও কোনরকমে জায়গা কইরা আমরা বসি। খাই, এবং এরপর আয়েশ কইরা আইসা চেয়ারে বসি। খাওয়ার পরে শরীর যেন ছাইড়া দেয়। মনে হয় দেই একটা ঘুম, মনে হয় কে জানি আইসা গা টিইপা দিতেছে। শুনছিলাম আযান পড়লে শয়তান নাকি আইসা এমন গা হাত পা টিইপা দেয়, তাই আরামে চোউখ বন্ধ হইয়া আসে। আলাউদ্দিনের খাবারেও একই প্রতিক্রিয়া হয়।
মজার জিনিস হইল, আমাদের এই অবস্থা দেইখা, আমাদের সিটিও আজিজ ভাই ও সিওও জামশেদ ভাইও একদিন ট্রাই মাইরা দেখলেন আলাউদ্দিনের খাবার। এবং সেই থেকে তাদেরও শুরু। তাদের বাসা থেকে টিফিন কেরিয়ার আসা বন্ধ হইল। আরো যাদের বাসা থেকে টিফিন কেরিয়ারে খাবার আসত, এরাও বাদ দিলেন। সবাই তখন এক আলাউদ্দিনের খাবারের ভক্ত।
সিওও জামশেদ ভাই একদিন চামে বইলা ফেললেন, আসলে হইছে কি, আমরা তো একটা ফ্যামিলি, তাই একই জায়গার খাবার মানে এক ধরনের খাবার একবেলা খাইতে পারলে ভালো হয়। এই কারণেই বাসা থেকে খাবার আনা বন্ধ করছি।
আমরা যারা শুনলাম তার কথা, আস্তে কইরা হাসলাম। কারণ আমরা তো জানি আলাউদ্দিনের খাবারের যাদুতেই তিনি আর বাসা থেকে খাবার আনেন না এখন।
এইভাবেই আমাদের চলতেছিল।
অফিসে তখন আলাউদ্দিনের খাবার নিয়াই আলোচনা হইত গড়ে দিন প্রতি দুই তিন ঘন্টা।
বিজনেস ডেভলাপমেন্টের বাদল ভাই একবার কী একটা কাজে গেছিলেন সিটিও আজিজ ভাইয়ের রুমে। আজিজ ভাই তখন আলাউদ্দিনের খাবার খাইয়া উঠছেন সবে। খাওয়ার পরের মোহ তখনো কাটে নাই। এইটা আলাউদ্দিনের খাবারের এক ম্যাজিক। খাওয়ার পরে একটা মোহ কাজ করে, একটা তন্দ্রালু ভাব, খুবই অদ্ভুত আরামদায়ক, আমি পুরা ব্যাখ্যা করতে পারব না। বাদল ভাই যখন গেছেন কাজের কথা বলতে, একটা পেমেন্ট গেটওয়ের সাথে আমাদের পার্টনারশিপ না কি জানি কাজ, আজিজ ভাই তারে থামাইয়া দিয়া সোজা জিজ্ঞেস কইরা বসলেন, এই লোকটা থাকে কই? ওরে আমার কাছে আনো।
থতমত খাইয়া বাদল ভাই উত্তর করেন, কোন লোকটা ভাই?
আজিজ ভাই মাদকতাময় কন্ঠে বলেন, কেন, এই যে এই বাবুর্চি, আলাউদ্দিন বাবুর্চি?
কেন ভাই? কোন সমস্যা হইছে খাবারে?
না না, সমস্যা না। তবে মাথায় চিন্তা আইছে, কাজের চিন্তা। ওরে নিয়া আসো আমার কাছে। যাও যাও।
বাদল ভাই বের হইয়া আইসাই ধরলেন গালিব ভাইরে।
ভাই, আলাউদ্দিন লোকটারে আমার চাই।
কেন কী হইছে?
আরে, আজিজ ভাই বলছেন ওর সাথে দেখা করবেন।
কেন? কেন? কী হইছে?
পুরা অফিসেই ছড়াইয়া গেল এই জিজ্ঞাসা। কেন আলাউদ্দিনরে দরকার আজিজ ভাইয়ের? কী হইছে? কী হইছে?
জানা গেল, আজিজ ভাই আলাউদ্দিনের খাবারে এতোই মুগ্ধ হইছেন যে, একটা হোটেল দিবেন পরিকল্পনা করতেছেন। সেখানে প্রধান বাবুর্চি থাকবে আলাউদ্দিন। এটি হবে অত্যাধুনিক ও রুচিশীল এক হোটেল। আজীজ ভাইয়ের মতে, এই লোকটা সাধারণ বাবুর্চি না, একজন শিল্পী। এর খাবারের সুনাম দেশ বিদেশে ছড়াইয়া দিতে হবে।
আর ব্যবসায়ীক লাভের দিকটাও আছে। আমাদের সিওও জামশেদ ভাই পরিকল্পনা করে ফেললেন ব্যবসার। আগামী পাঁচ বছরে কতটা আউটলেট হবে দেশের বড় বড় শহরে, আলাউদ্দিনের রেসিপি কীভাবে ছড়িয়ে দেয়া হবে, কীভাবে সামনের ওয়ার্ডক্যাম্পে আলাউদ্দিনের খাবার দিয়াই বিদেশী অতিথি আপ্যায়ণ করা হবে ইত্যাদি ইত্যাদি নানা বিস্তারিত জিনিশ। আনুমানিক হিসাবে লাভের অংকও হল সেই!
গালিব ভাই ও বাদল ভাইয়ের কাজ পড়ছিল আলাউদ্দিনকে খুঁইজা বাইর করার। শেষে আমারেও তাদের সাথে দেয়া হইল। আমরা তিনজন আলাউদ্দিনরে নিয়া যাব আজিজ ভাইয়ের কাছে, এরপরে আমাদের বিজনেস প্রস্তাবে আলাউদ্দিনরে রাজী করাইতে হবে, ইত্যাদি কাজ। অনেক মোটা অংকের টাকা আলাউদ্দিনকে অফার করার স্বাধীনতা আমাদের দিলেন আজিজ ভাই। তার কথা হইল, যত টাকা লাগে লাগুক, আলাউদ্দিন বাবুর্চিরে দিয়া আমাদের নয়া বিজনেস করতেই হবে।
আমি ভাবছিলাম গালিব ভাই আলাউদ্দিনের খোঁজ এখন জানেন। কিন্তু দেখা গেল তিনি জানেন না। ঐ পক্ষীজাতীয় লোক, যে চি চি কইরা কথা কয়, তারে গিয়া ধরলাম আমরা। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার, সেও বলে আলাউদ্দিনরে সে চিনে না। তার কাছে নাকি একটা গাড়ি আইসা মাল দিয়া যায়। সে মাল অফিসে আইনা দেয়। এই তার কাজ।
আমরা পড়লাম ঝামেলায়।
পক্ষীজাতীয় লোকটার থেকে আমরা ঐ গাড়ির খোঁজ নিলাম। ঐ গাড়ি পাইয়া, এর ড্রাইভাররে পাইলাম। মোঃ মোবারক তার নাম। সে জানাইল, ভাই, আমি একটা ভাঙা বাড়ি থিকা এইগুলা নিয়া আসি। আমারে এমনই বলা আছে। এর বাইরে আমি কিছু কইতে পারি না।
কী একটা অবস্থা।
ঐ ভাঙা বাড়িতে আমাদের নিয়া গেল ড্রাইভার। বেশ দূরে, ওই মহাখালি টহাখালি পার হইয়া। কী একটা গ্রামের মত জায়গা। কয়েকটা চিপাগলি পার হইয়া আমরা গেলাম সেই বাড়িটায়। মাত্র এক রুমের ঘর, উপরে টিনের চাল, মরচা পইড়া কেমন নাই নাই অবস্থা তার। ঘরের দেয়াল মাটির, কতদিনের পুরানা কে জানে।
আমরা বাইরে থেকে হাঁক দিলাম, আলাউদ্দিন সাহেব! আলাউদ্দিন সাহেব! ভিত্রে আছেন নাকি ভাই?
কোন সাড়া আইল না।
আমরা আরো ডাকলাম। কোন সাড়া নাই।
এরপর গালিব ভাই আগাইয়া গিয়া দরজায় হালকা ধাক্কা দিলেন। ক্যাচ ক্যাচ শব্দ কইরা দরজা খুললো। ভিতরে অন্ধকার।
মোবাইলের আলো দিয়া আমরা দেখলাম ঘরের ভিতরে মাকড়শার জাল, কিছু পুরানো তেলের টিন, একটা ভাঙা খাট। মনে হয় না গত কয়েক বছরে এই ঘরে কোন মানুষের পা পড়ছে।
আমরা আমাদের সাথে আসা, বা আমাদের নিয়ে আসা ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলাম, কি মিয়া? এইগুলা কি? এইখান থেইকাই তুমি খাবার নেও? ফাইজলামি করো মিয়া?
লোকটা বিরক্ত হইয়া বলল, ফাইজলামি করব কেন আপনাগো লগে? ফাইজলামি সম্পর্ক নাকি? আমি যা সত্য তাই বললাম। আমি এইখানে আসি, আমারে এমনই বলা হইছে। এই বাড়ির সামনে বাক্সগুলা থাকে, আমি নিয়া যাই। এর বাইরে কিছু আমি জানি না।
গালিব ভাই জিজ্ঞেস করলেন, কে বলছে তোমারে, মানে কে কাজ দিছে?
লোকটা বলল, বুড়ামতন এক লোক। পেমেন্ট হয় বিকাশে।
সেই বুড়ামতন লোকটাই আলাউদ্দিন। গালিব ভাই লোকটাকে দেখছিলেন, তিনি ড্রাইভাররে খুটাইয়া খুটাইয়া বইলা নিশ্চিত হইলেন।
আমরা নিশ্চিত হইলাম ড্রাইভার মিথ্যা বলতেছে না। সেই পক্ষীজাতীয় লোকটিও মিথ্যা বলতেছে না।
কিন্তু আলাউদ্দিন কই?
আলাউদ্দিন নাই।
আমরা তারে আর পাই নাই।
তার খাবারও আমাদের অফিসে আর আসে নাই।
খাবার না আসাতে আমরা আবার ওই ভাঙা বাড়িটা দেখতে গেছিলাম। গিয়া দেখি এই তিন চারদিনেই ভিন্ন চিত্র, ঠিক ঐজায়গায় এক শতবর্ষী বট গাছ দাঁড়াইয়া আছে।
এই জিনিশ নিয়া আমরা আর ঘাঁটাইতে সাহস পাই নাই। এবং অতি দ্রুতই আমরা ঘটনাটা কেমনে জানি ভুইলা যাই। আমার মনে আছে কেবল, তাও খাবারের স্বাদ ও আরো কিছু ঘটনা ভুইলা গেছি। অন্যদের সাথে আলাপ করতে গেলে এখন ক্যামনে জানি তাকায় তারা। মনে হয় সবাই ভয় পায়, তাই ভুইলাই যাইতে চায়।
–
৫ জুন, ২০১৯
ঈদুল ফিতরের দিনে লেখা।