স্কুলি শিক্ষার দূষণ থেকে সমাজরে বাঁচানো বিষয়ে

শিক্ষাব্যবস্থার দূষণ

সমাজরে ডি-স্কুলিং করা

“Viewed from the outside school classifies people, browbeats them to accept bureaucratic judgments on their own abilities, prepares them for a world that will never more be, trains their ability to fake, but above all, school has ceased to be the right place to become a bookish man. Bookish reading, which was the new spirituality of the time education was born, has become a very special vocation for the few, who need something else than schools to indulge in this leisure.”
– Ivan Illich , Deschooling Society

ধর্মীয় উপাসনালয়ের মেকানিজম যদি আপনে খেয়াল করেন, তাইলে দেখবেন যে এটা মানুষরে নিয়ন্ত্রণ করে ভবিষ্যতের লাভ দেখাইয়া।

ধরা যাক কোন একটি গ্রামে প্রাচীন লোকদের বাস ছিল। বীর কলম্বাস সাহেব সেইখানে গেলেন জাহাজ দৌড়াইয়া। গিয়া তিনি সঙ্গী সাথীদের নিয়া সেইখানে দিলেন একটা ধর্মীয় উপাসনালয়। সেইখানে পাদ্রীরা নিলেন ধর্ম প্রচারের ভার।

গ্রামের মানুষেরা আসলো চার্চে। পাদ্রীরা নানা বক্তিমা দিতে থাকলেন, তারা কিছু আচার আচরণ শিখাইতে থাকলেন। শিখাইতে থাকলেন এমন জিনিস যা আর কেউ জানে না। অর্থাৎ সেইগুলা হইল সিক্রেট। তারা সিক্রেট শিখাইতে থাকলেন, দুনিয়া ও পরকালের সিক্রেট। আর বিভিন্ন রিচুয়াল শিখাইতে থাকলেন। নিয়ম কইরা যাইতে হইত গ্রামের লোকদের সেইখানে।

পাদ্রীরা সম্মানের আসন পাইলেন অবশ্যই। যেহেতু তারা সিক্রেট জানেন। আর ততদিনে গ্রামের লোকদের ঐ সিক্রেটের প্রতি বিশ্বাস জন্মাইছে, ও তারা ভবিষ্যতে, তথা মরণেরও পরে একটা সুখ লাভের আশা দেখতেছেন।

আর এইদিকে আমাদের বস কলম্বাস, যিনি টাকা দিয়া চার্চ বানাইছিলেন ও পাদ্রীদের আনছিলেন, তার সাথে পাদ্রী ও চার্চের সুসম্পর্ক বজায় থাকলো।

এই যে মেকানিজম বললাম আমি, এর সাথে কীসের মিল পাইলেন?

আপনার স্কুল সিস্টেমের তথা শিক্ষা ব্যবস্থার। স্কুল বলতে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়।

দেখেন, একইভাবে ঐখানে টিচারেরা থাকেন। তারা নানা নিয়ম শেখান। তারা বুঝান যে দুনিয়ার সিক্রেট আছে ও সেইটা তারা শিখাইবেন। নিয়ম মত বাচ্চারা শেখন প্রক্রিয়ার ভিতর দিয়া যান। এরপর শিখতে শিখতে তারা আশা রাখেন ভবিষ্যতে বড় চাকরি তারা করবেন। তাদের সুখ হবে।

রিচুয়ালমূলক আচারের সাথে সাথে টিচারেরা উইয়ার্ড কিছু বিভ্রান্তি তৈরি করেন। যেমন উপাসনালয়ের যাজকেরা করতেন।

যেমন টিচারেরা নিম্নোক্ত জিনিসে তাদের ছাত্রছাত্রীদের কনফিউজ কইরা ছাইড়া দেন,

টিচিং মানে হইল লার্নিং,  [ যেইটা আদতে কখনোই না।]

ভালো গ্রেড মানে ভালো শেখা [ যেইটা মিথ্যা ]

ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট হইল দক্ষতার প্রমাণ [যেইটা ভুল]

ফ্লুয়েন্সি মানে হইল নতুন কিছু বলতে পারা [ পুরা মিথ্যা ]

আইভান ইলিচ তার ডিস্কুলিং সোসাইটিতে শিক্ষাব্যবস্থার সামাজিক দূষণ নিয়া যেইসব পয়েন্ট দেখাইতে চাইছেন, তার মাঝে আরো আছে,

শিক্ষা ব্যবস্থা বা স্কুলিং মনে করে যে সব শেখাই হইল টিচিং এর ফল। কিন্তু আসলে সেইটা বাস্তবে হয় না। বেশিরভাগ শেখাই মানুষের জীবনে হয় স্বতঃস্ফূর্ত। সরাসরি স্কুলি টিচিং এ হয় কিছু কিছু, নির্দিষ্ট পরিবেশে। কিন্তু বেশিরভাগই হয় বাইরে।

বাচ্চাদের সাইকোলজি নিয়া পরীক্ষা নিরীক্ষায় এর সমর্থনে ফল পাওয়া গেছে। যেমন বাচ্চারা মা বাপ যা শেখান তা শিখে না বরং যা করেন তা দেইখা শিখে। প্রাজ্ঞ উম্বের্তো একো একবার একটা ইনসাইটফুল কথা লেখছিলেন ফুকো’জ পেন্ডুলাপে,  এই প্রসঙ্গে মিলে। তিনি বলছিলেন, “I believe that what we become depends on what our fathers teach us at odd moments, when they aren’t trying to teach us. We are formed by little scraps of wisdom.”

স্কুল মানুষরে কিছু নিয়ম কোন প্রকার বিবেচনা ছাড়া গ্রহণ করতে শেখায়। যেটারে ইংরাজিতে বলে ইনডক্ট্রিনেশন। মানুষরে ইনডক্ট্রিনেট করে।

একটা ক্লাসিক আইরনিক্যাল উদাহরণ হইতে পারে এর, আমাদের গণিতের কিছু শিক্ষকেরা। যারা তাদের নিয়মে অংক না করলে অংক কাইটা দিতেন। তারা খারাপ না, বরং তারা এর মাধ্যমে সরাসরি ভাবে সমগ্র স্কুল সিস্টেমের প্রতিনিধিত্ব করেন। সম্ভবত তারা আসলে প্রতীকিভাবে আমাদের বুঝাইয়া দিতে চান যে (জেন গল্পের মত), স্কুল সিস্টেমের প্রকৃত চরিত্র কী। আমরা আন্ধা থাকায় তাদের সেই নিগুঢ় ইশারা ধরতে পারি নাই।

স্কুল খালি মানুষরে ইনডক্ট্রিনেট করে না, পুরা সমাজরে করে। কারণ স্কুল থেকে বের হওয়া আমি আপনে মিইলাই তো সমাজ। আপনেই তাই বা আপনার মত অনেক স্কুলিরাই তাই প্রমিত বাংলায় না লেখলে আক্রমণাত্মক হইয়া উঠে। কারণ স্কুল ইনডক্ট্রিনেট করছে। শিখাইয়া দিছে নিয়ম মানতেই হবে আন্ধাভাবে।

তো, স্কুল আমাদের শেখায় কোনটা স্কিল কোনটা স্কিল না। এবং জাজও কইরা দেয়।

কোন জিনিসে দক্ষ হইতে হলে আপনারে দক্ষতার স্কুলি সার্টিফিকেট লাগবে। নাইলে আপনারে কেউ বিশ্বাস করবে না। কারণ স্কুল শিখাইয়া দিছে যে, আপনার সার্টিফিকেট লাগবে দক্ষতার প্রমাণে।

ইভেন, আর্টেও এইটা হয় বা তারা করতে চায় । সাহিত্যে শিল্পে ইউনিভার্সিটির মাস্টরেরা রীতি নীতি ঠিক কইরা দিতে চায়। তারা জাজ করে, কোনটা কেমন।

বাট ভালো আর্টিস্টেরা ঐগুলা মানেন না। ফলে তারা কিছু কিছু গগণবিস্তারী স্কুলি দূষণের বাইরে থাকতে পারেন, প্রতিভা ও বুদ্ধির জোরে।

স্কুল তাইলে শেখায় কী?

লার্নিং বা শেখাটারে শেখায় না। শেখায় কিছু রুল বা ইন্সট্রাকশন, এবং সেইগুলা মাইনা চলাটারে। যেইটা আপনি আন ক্রিটিক্যালি মানবেন পরে কর্মক্ষেত্রে, মানবেন রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে, সমাজের ক্ষেত্রে মানবেন। সেইগুলার জন্যও স্কুল আপনারে এটিকেট, কর্পোরেট গ্রুমিং আর দেশপ্রেমের বড়া খাওয়ায়, এবং তাদের পুরা সিস্টেম সাজায়।

শিক্ষাব্যবস্থাটা না হইলে এতো এতো আধুনিক মাইনষেরে কীভাবে যে কন্ট্রোল করতো সমাজ ও রাষ্ট্র!

শিক্ষার উদ্দেশ্য কী, একেবারে বাস্তবের হিসাবে, সমাজের ভাবনায় ভাবেন। ভালো কেরিয়ার। আরো ক্লিয়ার কইরা বললে ভালো চাকরি।

প্রথম টার্গেট যদি বিসিএস হয়, এবং অন্যান্য সব ভালো চাকরি মিলাইয়া মোট যত সংখ্যা হয়, শিক্ষার্থীরা তার চাইতে অনেক অনেক বেশি।

ফলত, থট এক্সপেরিমেন্টে গিয়া যদি ভাবেন, সবাই সেরাদের সেরা হইয়া গেল, তাও কিন্তু তাদের মধ্যে নানা ভাবে পার্থক্য কইরা নির্দিষ্ট কিছুরে বাইছা নিতেই হবে।

কারণ সুযোগ আছেই আপনার এক বালতি। এক বালতিতে আপনে এক পুকুর পানি রাখতে পারবেন না। সেই পানিতে মধু মিশাইলেও না। বাট মধু মিশাইয়া মিশাইয়া আপনে একটা কিছু হইতেছে বা একটা কিছু করতেছি এমন দেখাইতে পারেন।

আমাদের বিদ্যমান সমাজের প্রায় সকল জিনিসই এমন। একটা কিছু হইতেছে বা করতেছি এমন দেখানো হয়, বাট শেষ বিচারে এতে কিছুই যায় আসে না। শিক্ষা ব্যবস্থা বা ইস্কুল সিস্টেম হইল এর শুরু, তথা প্রাথমিক দূষণ।

স্কুলি শিক্ষার দূষণ মানুষরে তার স্বাভাবিক শেখার প্রবণতা ও প্রতিভারে নষ্ট কইরা দেয়। তার দৃষ্টিভঙ্গী ও মানসিকতারে ছোট কইরা দেয়। ও তারে নিতান্তই একটা ইডিওটে পরিণত করতে থাকে।

মানুষের এই স্কুল সিস্টেমের নাগপাশ থেকে মুক্ত হওয়া ইজি ব্যাপার না। কারণ স্কুল সিস্টেম দ্বারা যে নাগপাশ খানা শুরু তা সমাজের সর্ব ক্ষেত্রে, সকল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছড়াইয়া আছে।

প্রথমত একজন মানুষরে এই জায়গায় স্থির হইতে হবে যে, স্কুল সিস্টেমের লগে লার্নিং এর কোন সম্পর্ক নাই। বরং লার্নিং একটা কন্টিনিউয়াস প্রক্রিয়া, যেটা আপনে নিজের লাইফের দিকে তাকাইলেই বুঝতে পারবেন। এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিজ আগ্রহে, এমনকী অচেতনে খেলায় খেলায় মানুষের অধিকাংশ লার্নিং হইয়া থাকে।

এই জায়গায় আইসা স্থির হওয়ার পরে শিক্ষা ব্যবস্থারে ক্রিটিক্যালি দেখা শুরু করতে হবে।

এরপরে, নিজের শেখার ক্ষমতা ও আগ্রহরে প্রাধান্য দিতে হবে। ৬ মাসের কোর্স আপনে ৬ দিনে শেষ করতেই পারেন। সবার ক্ষমতা এক না। আপনে ৬ দিনে পারলে ঐ ৬ মাস নষ্ট করার দরকার নাই,  শেখার জন্য হইলে। সার্টিফিকেট দরকার হইলে ভিন্ন কথা।

আমি সার্টিফিকেটরে আপাতত উড়াইয়া দিতে বলতেছি না, যদিও উড়াইয়া দেয়াটাই উচিত। বলতেছি না কারণ এইটা আপনার চাকরি বা অন্য কাজের জন্য দরকারী হইতে পারে।

ডিসেন্ট্রালাইজড শেখার রিসোর্স আছে ইন্টারনেটে। সেইখান থেকে একজন শিখতে পারেন। একজন একটা স্কিল জানেন, উনি ওইটা ছোট কোর্স কইরা অন্যদের শিখাইতেছেন। এইগুলা স্কুলি সিস্টেমের দূষণমুক্ত লার্নিং ব্যবস্থা, যেইটা আমাদের থিংকার আইভান ইলিচ ভাবছিলেন ১৯৭১ সালের দিকে তার বই ডিস্কুলিং সোসাইটিতে।

ধরেন ইউটিউব আছে। সেইখানে একজন গ্রামের লোক উড়াল জাল কেমনে ছুঁড়তে হয় তা শেখাইলেন কয়েকটা ভিডিও কইরা। আগ্রহীরা গিয়া শিখলেন। এটা একরকম ডিসেন্ট্রালাইজড ব্যবস্থা। এইরকম নানা স্কিলে দক্ষ লোকেরা আছেন, আমাদের বিদ্যমান শিক্ষা ব্যবস্থা তাদেরকে সেইসব স্কিল শেয়ারের সু্যোগ কইরা দেয় না। স্কিলের দাম আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ঠিক করে মার্কেটের উপরে। উড়াল জাল ছুইড়া মারা স্কিলের মার্কেট ভ্যালু কম, তাই এর দাম কম স্কুলি ব্যবস্থায়, সে এই জিনিশ পুশ কইরা দিছে সমাজের লোকদের মধ্যে, এবং সমাজও তাই এইভাবে দেখে।

বাট, মানুষ হিসাবে আমাদের কোর থিং গুলার ভ্যালু কি মার্কেট ভ্যালুর উপর নির্ভর করে? যেমন আপনার মা বাপ, ছেলে মেয়ে, বউ বা বন্ধু, এদের আপনে যে দাম দেন, এইটা কি মার্কেটে অন্যরা এদের কেমন দাম দিতেছে এর উপর হিসাব কইরা? এইরকম হইলে তো খুবই প্যাথেটিকই হইত।

কিন্তু লার্নিংরে এইভাবে ভ্যালু দেন। যদিও লার্নিং আপনার ইনার অর্থাৎ অন্তঃস্থ একটা জিনিস, যা হিউমেন হিসাবে আপনার অস্তিত্বের লগে কানেক্টেড, যেইরকম কানেক্টেড আপনার লাইফের মিনিং বা সম্পর্কগুলা।

আইভান ইলিচ। ক্রোয়েশিয়ান-অস্ট্রিয়ান দার্শনিক। (১৯৮৬-২০০২)

আইভাল ইলিচ, এই অস্ট্রিয়ান ফিলোসফার বলছিলেন ভালো শিক্ষা ব্যবস্থার উদ্দেশ্য হওয়া উচিত এই তিনটা।

এক, যেকোন মানুষ যেকোন সময়ে (যেকোন বয়েসে)  শিখতে চাইলে পর্যাপ্ত রিসোর্স তারে সরবরাহ করতে পারা।

দুই, যেকোন মানুষ তার জ্ঞান শেয়ার করতে চাইলে তার জন্য জ্ঞান শেয়ারের ব্যবস্থা রাখা, যাতে আগ্রহীরা তার কাছ থেকে শিখতে পারে।

তিন, কোন ব্যক্তি পাবলিকের স্যামনে কোন ইস্যু তুইলা ধরতে চাইলে তার সেই চ্যালেঞ্জের সুযোগ তৈরি করা।

আইভান ইলিচ শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়া তার ক্রিটিকে আপত্তি জানাইছিলেন যে, এই শিক্ষা ব্যবস্থা কারিকুলাম দিয়া না, বরং মানুষরে কিছু রিচুয়ালের মাধ্যমে শেখাটা হয় বলে ভুল ধারণা দিয়াই সবচাইতে বড় ক্ষতি করে। এরপর এরা সামাজিক ক্লাস তৈরি করে শিক্ষার মাধ্যমে। যেমন আপনে দেখবেন নিরপেক্ষ বিচারে, বিয়ার বাজারে বুয়েটিয়ান একজন আর স্কুল ড্রপ আউট একজনের মধ্যে কে বেশি দাম পাবে, যদি অন্যান্য সব কিছু সেইম থাকে?

বুয়েটিয়ান।

এই বেশি দাম পাওয়ার সাথে একটা প্রাইস ট্যাগ আছে। এবং একজনের সার্টিফিকেট তার দক্ষতার প্রমাণ, ফলত সেলেবল জিনিস তার ভেতরে বেশি ঐ স্কুলের বদান্যতায়, স্কুল মার্ক কইরা দিছে তাই।

ইলিচ আরো বলতে চান যে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় অপচয় এইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কারণ জনগণ তো শিখতে পারে না ঐখান থেকে। গার্মেন্টস কর্মী বা কৃষকের ট্যাক্সের টাকায় যে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরীর বই বা বিল্ডিং বানাইতে ইউজ হইল, ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকায় সামাজিকভাবে এদের তো অচ্যুতই কইরা রাখা হয়, আর পাইবে তারা পড়ার সুযোগ!

এছাড়াও ইলিচ বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থা ও মাস্টরগুলা মিলে শিক্ষার সরঞ্জামাদির দাম দেয় বাড়াইয়া। এর মাধ্যমে করে তারা নলেজ ব্যবসা। ইলিচ এই নাম দেন নাই কিন্তু আমার কাছে মনে হয় এদের শিক্ষা মাফিয়া বলা যায়, কারণ চিন্তা কইরা দেখেন, এইটা মাফিয়ার অর্গানাইজড বিজনেসের মতোই,  শিক্ষা ব্যবস্থার পুরা ট্রেনিং প্রসেস ও ব্যবসার এক হাটবাজার।

How did it come about that such a crazy process like schooling would become necessary? Then I realized that it was something like engineering people, that our society doesn’t only produce artifact things, but artifact people. And that it doesn’t do that by the content of the curriculum, but by getting them through this ritual which makes them believe that learning happens as a result of being taught; that learning can be divided into separate tasks; that learning can be measured and pieces can be added one to the other; that learning provides value for the objects which then sell in the market.

Ivan Illich , Deschooling Society