প্রথম কথা হচ্ছে এই ডিজিটাল দুনিয়ায় এতো বেশী ক্লিক বাইট কন্টেন্ট তৈরী হচ্ছে ও হবে যে, যদি কেবলমাত্র ট্রাফিক পাওয়াই আপনার উদ্দেশ্য হয় তাহলে আপনি তাদের কাছে গো হারা হারবেন।
ক্লিক বাইট কন্টেন্টগুলো কীরকম হয় তা যারা মোবাইলে অপেরা বা ইউসি ব্রাউজার ব্যবহার করেছেন, তারা ব্রাউজারগুলোর সাজেস্টেড নিউজ ফীড দেখলেই ধারণা পাবেন।
ক্লিক বাইট কন্টেন্ট দিয়ে ট্রাফিক আহরণ করে, বা নিম্ন মানের ইয়ার্কি ফান করে ট্রাফিক এনে যারা বিরাট ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম করার চিন্তা করেন তাদের বাজফীডের দিকে তাকানো উচিত। বাজফীডের পাঠক প্রায় ৪০০ মিলিয়ন, কিন্তু তারা প্রফিটেবল নয়।
তো আপনার আসলে কী দরকার? বেশী ট্রাফিক নয়, কোয়ালিটি ট্রাফিক।
কোকোনাট, সাউথ এশিয়ায় সাত বছরের মত মিডিয়া কোম্পানি হিসেবে কন্টেন্ট প্রকাশ করছে। ফাউন্ডার বায়রন পেরি’র মতে ডিজিটাল মিডিয়ার পরিবেশ হচ্ছে ফাকিং বুলশিট। কেন ফাকিং বুলশিট এর উত্তরে তার মত হলো,
I don’t think there was any one thing. It was everything about the entire ecosystem — social platforms, advertisers, publishers. It’s the chasing of raw audiences; our new direction is about chasing quality audiences.
If our audience drops in half, but it’s a more engaged and higher-value audience, I think that is going to have a higher value in every way and we will be able to monetize that.
টার্গেট বদলিয়েছেন তারা, এবার কোয়ালিটি ট্রাফিকই টার্গেট। এবং এই ব্যবস্থায় যেতে আপনার রেভিনিউ জেনারেশনের মডেলে কেবল বিজ্ঞাপন দাতার এড মূখ্য থাকতে পারবে না। আপনাকে এখানে বৈচিত্র আনতে হবে। কোকোনাট সরাসরি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ৭০ ভাগ রেভিনিউও চায় না, তারা এটি আরো কমাতে চায়, ও অন্যান্য ক্ষেত্র ব্যবহার করে বেশীরভাগ রেভিনিউ জেনারেট করে সরাসরি বিজ্ঞাপনকে তিন নাম্বারে রাখতে ইচ্ছুক।
সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে এটা করা যায়। মানুষ টাকা দিয়ে বই কিনে পড়ে। টাকা দিয়ে ভালো আর্টিকেলও পড়তে চাইবে। আনলিমিটেড আর্টিকেল পড়ার জন্য মাসিক একটা টাকা আপনি চার্জ করতে পারেন।
আরেকটি হচ্ছে ভিডিও তৈরী। ইউটিউবে ছোট ছোট পাঁচ ছয় মিনিটের ভিডিও তৈরী করা। ভিডিওর কন্টেন্ট যদি ভালো হয়, যেমন, ভালো বই রিভিউ, জ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হালকা আলোচনা; এই নলেজ প্রজেক্ট অনেক উপকার করবে, ও প্রফিটেবল হবে।
কোকোনাট সাবস্ক্রিপশনে যাচ্ছে, এবং তাদের আরেকটি রেভিনিউ জেনারেটের উপায় হলো নেটফ্লিক্সের সাথে লাইসেন্স চুক্তিতে গিয়ে তাদের ভিডিও ওখানে দেখানো।
টেক্সট যেভাবে মানুষের সাথে কম্যুনিকেট করে ভিডিও সেভাবে করে না। ভিন্নতা থাকে। মার্শাল ম্যাকলুহানের মিডিয়া তত্ত্ব বলে, মিডিয়াম ইজ দ্য মেসেজ। এটি সত্য, ফলে ভিডিও অন্যভাবে ভোক্তা বা দর্শককে আপনার বিজনেসের সাথে নিয়ে আসবে। এবং যেহেতু নলেজ প্রজেক্ট তাই সমাজের উপকার করবে।
নানা ক্ষেত্রের মাধ্যমে যখন মানুষের সাথে কানেক্টেড থাকবে কোন মিডিয়া কোম্পানি তখন তার ফেইসবুক নির্ভরতা কমবে। এবং কেবল ফেইসবুক নির্ভর যেসব মিডিয়া বা অন্য ধরণের কোম্পানি তারা খুবই ভালনারেবল। কারণ ফেইসবুক প্রায়ই তাদের এলগোরিদম চেঞ্জ করতে পারে।