এমা কোটসঃ গল্প তৈরীর জন্য ২২ রুল

এই ২২ রুল দিয়েছেন পিক্সারের সাবেক গল্প নির্মাতা এমা কোটস ( তার টুইটার)। এর মধ্যে ইনসাইটফুল কয়েকটি ব্যাপার রয়েছে যা, যারা গল্প বলতে চান তাদের সাহায্য করতে পারে। এগুলিকে উপদেশ হিসেবে না দেখে, উপকারে লাগলেও লাগতে পারে, বা লেখালেখি জনিত চিন্তায় সাহায্য করতে পারে এমন পরামর্শ হিসেবে দেখতে পারেন আপনি।

ছবিঃ এমা কোটস।

১। আপনার চরিত্রের সফলতা নয়, সফলতার জন্য তার যে চেষ্টা সেটা গুরুত্বপূর্ন।

 

(এখানে সফলতা বলতে ক্যারেক্টার কি চায়। হয়ত তার পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নিতে। কিন্তু এই নেয়াটাই মূল নয়, পাঠক দেখতে চাইবে সে কীভাবে কাজটি করে। ঐ কাজ করার প্রক্রিয়াটিই মূখ্য।)

 

২।  আপনার মনে রাখতে হবে একজন দর্শক বা পাঠক হিসেবে যা আপনার কাছে মজার বা ইন্টারেস্টিং লাগে, একজন লেখক হিসেবে একই কাজ করতে যাওয়া মজার নাও হতে পারে। তারা ভিন্ন হতে পারে।

 

৩। থিম দরকারী, থিমের জন্য চেষ্টা দরকারী। আপনি কখনো জানবেন না কী হবে একেবারে শেষে না পৌছা পর্যন্ত। শেষে যাবার পর, এবার পুনঃলিখন শুরু করুন।

 

৪। একদা এক সময়____। প্রতিদিন_____। একদিন_______।এর কারণে______। এর কারণে_______। এবং শেষপর্যন্ত________।

 

৫। সহজ করুন। চরিত্রগুলি এক করুন। অপ্রাসঙ্গিক জিনিস বাদ দিন, আপনার মনে হবে মূল্যবান অনেক কিছু হারিয়ে ফেলছেন, কিন্তু আসলে এতে মুক্ত হচ্ছেন।

 

৬। কিসে আপনার চরিত্রগুলি ভালো? কিসে তারা কম্ফোরটেবল অনুভব করে? তাদের পুরো উলটা অবস্থায় ফেলে দিন। তাদের চ্যালেঞ্জ করুন। দেখুন তারা কিভাবে পরিস্থিতি সামলায়।

 

৭। প্রথমে শেষটা শেষ করুন। মাঝখান নিয়ে ভাবার আগে। সিরিয়াসলি বলছি, শেষটাই কঠিন।

 

৮। গল্প নিখুত না হলেও শেষ করুন। যেতে দিন। পরেরটা আরো ভালো করুন।

 

৯।  আপনার প্রিয় গল্পগুলি আলাদা করুন। এর মধ্যে কি ও কেন আপনার ভালো লাগে ভাবুন, কারণ এগুলিই আপনি। এগুলি ব্যবহার করার আগে আপনার বুঝা দরকার।

 

১০। হঠাৎ আটকে গেছেন, পরে কী হবে? লিস্ট করুন কী কী পরে হবে না তার। এতে আটকা অবস্থা থেকে মুক্তি পাবেন, নতুন আইডিয়া আসবে।

 

১১। কাগজে লেখার মাধ্যমেই কিন্তু আপনি গল্প ঠিক করতে শুরু করেন। আপনার মাথায় নিঁখুত একটি আইডিয়া আছে? লেখার আগে কখনোই শেয়ার করবেন না।

 

১২। প্রথমে মাথায় যা আসে তা বাদ দিন। দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম…এভাবে, সাধারণ সব বাদ দিন। নিজেকে অবাক করুন।

 

১৩। আপনার চরিত্রকে অপিনিয়ন দিন। আপনার জন্য লেখক হিসেবে সুবিধাজনক চরিত্রগুলিকে প্যাসিভ রাখা, কিন্তু পাঠকের জন্য বিরক্তিকর।

 

১৪। আপনাকে এই গল্প বলতেই হবে, কেন? কোন বিশ্বাস আপনার ভেতরে জ্ব্বলছে এটা বলার জন্য? ঐটাই আপনার গল্পের প্রাণ।

 

১৫।  আপনি যদি ঐ চরিত্রটি হতেন, ঐ অবস্থায়, কীভাবে ফীল করতেন সিচুয়েশন? সৎ ফিলিং অবিশ্বাস্য পরিস্থিতির বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করে।

 

১৬। ঝুঁকি কি? চরিত্রটি ওটা করতে না পারলে তার কী ক্ষতি হবে? আমাদের জানান দিন এটা, যাতে আমরা তার পক্ষ নিতে পারি।

 

১৭। কোন কাজই নষ্ট হয় না। এখন কাজ করছে না আপনার পরিশ্রম-রিসার্চ, হয় নি মনমতো গল্প? যেতে দিন, পরে একসময় কাজে দেবে আপনার করা কাজ।

 

১৮। আপনাকে জানতে হবে, নিজের সেরাটা দেয়া এবং দায়সারা কাজের পার্থক্য।

 

১৯। কাকতাল চরিত্রকে বিপদে ফেলার জন্য ভালো, কিন্তু বিপদ থেকে উদ্ধার করার জন্য ভালো নয়।

 

২০। এক্সারসাইজ করুনঃ যে ফিল্মটি ভাল লাগে নি তার বিল্ডিং ব্লকগুলি নিয়ে ভাবুন, নিজের পছন্দ মত করে সাজান।

 

২১। আপনাকে আপনার চরিত্র/সিচুয়েশন বুঝতে হবে। কেবল “কুল” জিনিস লিখে ফেললাম এমন হলে হবে না।

 

২২। আপনার গল্পের মূল কি? সবচাইতে কম কলেবরে কীভাবে আপনি তা বলতে পারেন? আপনি যদি এই মূলকথাটা জানেন তাহলে সেটার উপর ভর করেই গল্পটি নির্মান করতে পারবেন।