মুরাদুল ইসলাম » ব্লগ » ম্যাডেলিন অলব্রাইট ফ্যাসিজম বিষয়ে যা বলেন

ম্যাডেলিন অলব্রাইট ফ্যাসিজম বিষয়ে যা বলেন

ম্যাডেলিন অলব্রাইট ছিলেন আমেরিকার প্রথম মহিলা সেক্রেটারি অব দ্য স্টেইট। ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করেন। জন্মেছিলেন চেকের প্রাগে, নাজিদের হাত থেকে বাঁচতে পারি জমান ব্রিটেনে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ফিরে এসে, কম্যুনিস্টদের হাত থেকে বাঁচতে তার পরিবার চলে যান আমেরিকায়।

তিনি ফ্যাসিজম নিয়ে লিখেছেন, ফ্যাসিজমঃ এ ওয়ার্নিং বইটি। এই বই নিয়ে, এবং ফ্যাসিজম নিয়ে তাকে কয়েকটি প্রশ্ন করে দ্য ইকোনমিস্ট পত্রিকা। তিনি এর উত্তর দিয়েছেন।

গুরুত্ব বিচার করে এর কিছু অংশ বাংলা অনুবাদ করে এখানে দেয়া হলো, এবং নিচে দেয়া হলো পুরো লেখাটির লিংক।

 

দ্য ইকোনমিস্টঃ ফ্যাসিজম কী?

ম্যাডেলিন অলব্রাইটঃ সর্বসম্মত কোন সংজ্ঞা নেই ফ্যাসিজমের। এই কারণেই হয়ত নানা ক্ষেত্রে এটি অতি ব্যবহার হয়। আমার বইতে আমি বলেছি ফ্যাসিজম ডান বাম বা সেন্ট্রিস্টদের কোন মতাদর্শ নয়, বরং এটি হচ্ছে কোন ব্যক্তি বা পার্টি যারা জাতি বা দেশের হয়ে কাজ করছে বলে প্রচার করে, তাদের ক্ষমতা দখল ও নিয়ন্ত্রণ করার পন্থা। এই কার্যসিদ্ধির জন্য এরা সহিংসতার প্রয়োগ ঘটাতে বা অন্য যেকোন পন্থা গ্রহণ করতে সক্ষম। ফ্যাসিজম হচ্ছে মারাত্মকভাবে অ-গণতান্ত্রিক যদিও কোন ফ্যাসিস্ট দল গণতান্ত্রিক পদ্বতিতেই ক্ষমতায় গিয়ে থাকতে পারে।

ছবিঃ ম্যাডেলিন অলব্রাইট

 

দ্য ইকোনমিস্টঃ এই ২০ শতকের টার্ম কি বর্তমান লিবারেল রাজনীতিতে প্রযুক্ত হতে পারে? হয়ত আমাদের রাজনৈতিক সংকট আরো জটিল হয়েছে কারণ কী ঘটছে তা ব্যাখ্যা আমরা করতে পারছি না? অথবা ফ্যাসিজম কি এখনো কাজ করছে?

 

ম্যাডেলিন অলব্রাইটঃ উত্তর কোরিয়া ছাড়া আমি আর কোন বর্তমান সরকারকে ফ্যাসিস্ট বলে অভিযুক্ত করি না। কিন্তু আমি বর্তমান যে ট্রেন্ড এবং অবস্থা চলছে তার সাথে মুসোলিনি, হিটলারের উত্থানের পূর্ব সময়কালের মিল পাই। এর মধ্যে আছে অর্থনৈতিক অসাম্য, মূলধারার রাজনৈতিক দলের প্রতি আস্থা কমে যাওয়া, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ভিলেন হিসেবে উপস্থাপন, এবং  দমনাত্মক মানসিকতার নেতাদের বাকস্বাধীনতা ধ্বংসের চেষ্টা করা, কুযুক্তি এবং সত্য বিকৃতি।

হয়ত এসব দেখে ফ্যাসিজম আবার ফিরে আসতে পারে তা বলা এলার্মিস্ট, কিন্তু আমার বইয়ের সাবটাইটেলেই আছে “একটি সতর্কতা” কথাটি, এবং আমি সিরিয়াসলিই এটি বুঝিয়েছি। আজ আমার জেনারেশনে মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ নেই, কারণ আগেকার সময় এইরকম লক্ষণগুলি ইগনোর করে যাওয়া হয়েছিল।

 

পুরো লেখার লিংকঃ On tyranny, populism—and how best to respond today

Leave a Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

×
গুরুত্বপূর্ণ
Scroll to Top
বই মডেলিং