ইংরেজি বই প্রায়ই অভাররেইটেড – হিশাম মাতার

 

ছবিঃ হিশাম মাতার

 

 

ইংরেজি বই অভাররেইটেডঃ

 

 

আন্তর্জাতিক সাহিত্য মারাত্মকভাবে আন্ডারেইটেড রয়ে যায় এবং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ইংরাজি বইগুলি প্রায়ই হয় অভাররেইটেড। যুক্তরাজ্যে প্রায় ১.৫% এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২% মাত্র বই হয় অনুবাদ। আর এসবের বিক্রিও নিম্ন মাঝারি। এটা সংস্কৃতিকে করে দূর্বল আর নার্সিসিজমের মূলে জোগায় জল। সহজ কথায় বললে, এটা বিরক্তিকর ও বিপদজনক।

 

 

প্রাউস্ত সম্পর্কেঃ

 

 

আমি অনেক মুগ্ধতা নিয়ে ইন দ্য সার্চ অব লস্ট টাইম পড়েছি। এই বইটি পৃথিবী সম্পর্কে আমার বুঝাপড়া বা অনুভূতি অনেক ব্যাপ্ত করেছে। কিন্তু এমনভাবে করেছে, মনে হয় নি আমাকে নিজের মধ্য থেকে বের করে এনেছে, বরং আমার ভেতরেই প্রোথিত করেছে। প্রাউস্তের অন্যতম সেরা এক উপহার যা আপনাকে অনুভব করাবে যে আপনি বুদ্ধিমান, এবং আপনি মহৎ অনুভূতিগুলি অনুভব করতে পারেন, যা হয়ত আগে আপনি বুঝতেও পারেন নি। আমার কাছে অন্য কোন উপন্যাসকে এতো আইডিয়া ধারণ করে, বা এতো বেশী আনন্দদায়ক মনে হয় নি।

 

 

 

 

লেখালেখিতে যে বইয়ের প্রভাব সর্বাধিকঃ

 

আর্নস্ট হেমিং ওয়ের দ্য সান অলসো রাইজেস, কারণ এটি পড়েই আমার এমন ধারনা হয়েছিল যে আমারো চেষ্টা করে দেখা উচিত।

 

এই সাক্ষাৎকারে মাতার জানিয়েছেন তার উপর আরব্য রজনী বা এরাবিয়ান নাইটসের আনসেন্সরড ভার্শনের প্রভাবের কথা। আরব্য রজনী পৃথিবীর অনেক বড় ও গুরত্বপূর্ন লেখকের উপর প্রভাব ফেলে এসেছে। ইংরাজিতে তার প্রথম যে অনুবাদ হয়েছিল তা ছিল অনেক সেন্সরড। পরবর্তীতে আনসেন্সরড ভার্শনও অনূদিত হয়।

 

মাতার এখানে জানিয়েছেন তার চিন্তা পরিবর্তন করেছেন গুস্তাব ফ্লবেয়ার ও তুর্গেনেভের চিঠিপত্র। সভিয়াতস্লাব রিখটার নামক এক পিয়ানিস্টের দিনলিপিও তার চিন্তা পরিবর্তনে কাজ করেছে। এগুলি তাকে শিখিয়েছে কীভাবে একজন নিজের মেন্টালিটি বা মানসিকতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাস করতে পারে।

 

 

– হিশাম মাতার। ব্রিটিশ লিবিয়ান লেখক। গার্ডিয়ানের সাথে সাক্ষাৎকার। অনুবাদ। মূল সাক্ষাৎকারের লিংক – গার্ডিয়ান