১৩ টি কাজের মেন্টাল মডেল

মেন্টাল মডেল ব্যবহার করে খুব দ্রুত কোন সমস্যাকে বিশ্লেষণ করা যায়। এই মডেলগুলা বলা যায় হাজার এক্সপার্টদের কাজ দ্বারা পরীক্ষিত। আপনার মাথার মধ্যে এই মডেলগুলি থাকলে, এবং এগুলি ইউজ করার মত পর্যাপ্ত ইনটিউশনের সহায়তা যদি পান, তাহলে বেটার সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব। এগুলি বিচার ক্ষমতা বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাকে শার্প করতে পারে, প্রোপার্লি যদি কেউ ইউজ করেন।

এবং এগুলি মানুষ সহজেই ভুলে যায়। কারণ প্রতিদিন নানা কাজ ও তথ্য এসে ভীড় করে আমাদের সামনে। তাই, মনে রাখাটা দরকারী।

আমার এই পোস্ট নিজের মনে রাখার চর্চা, কিছু লোককে সাহায্য করা, ও আগ্রহী ফ্যান ফলোয়ার বাড়ানো।

১/ প্রোডাক্টিভিটি মডেল – অল্প ইম্প্রুভমেন্ট পদ্বতি- কোন বড় সমস্যা একসাথে ফিক্স করতে না গিয়ে নিয়মিত ভাবে অল্প অল্প করে এগিয়ে যাওয়া ভাল উপায়। জাপানিজ শব্দ কাইজেন মানে ভালোর দিকে ছোট পরিবর্তন। এটি সাইকোথেরাপি, লাইফ কোচিং, বিজনেস, ব্যাংকিং, গভর্নমেন্ট ইত্যাদি নানা ফিল্ডে ব্যবহৃত হয়েছে।

২/ প্রোডাক্টিভিটি মডেল- জাস্ট গেট স্টার্টেড মডেল – কোন সমস্যা সমাধান করতে হলে এর কোন ছোট, নির্দিষ্ট এবং শেষ করার মত অংশ নিয়ে কাজ করতে লেগে যান। এটি শেষ করতে পারলে আপনি প্রোডাক্টিভিটি স্টেটে চলে যাবেন। আপনার সচেতনতা তখন বেশি প্রোডাক্টিভ হয়ে উঠবে।

৩/ সবচাইতে গুরুত্বপূর্ন পাঁচ সমস্যা – ম্যাথমেটিশিয়ান রিচার্ড হ্যামিং এর মডেল। নিজেকে বার বার জিজ্ঞেস করতে থাকুন আপনার ফিল্ডের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ন পাঁচ সমস্যা কী কী এবং আপনি সেগুলিতে কেন কাজ করতেছেন না? হ্যামিং তার সেরা লেকচার ইউ এন্ড ইয়োর রিসার্চে এটি বলেছিলেন।

৪/ এল আর ইউ প্রায়োরিটাইজেশন মেথড – আপনি কোন সময়ে একটা সমস্যা নিয়েই কাজ করতে পারেন। তাই সেই সমস্যা নিয়েই কাজ করুন যেটা বেশি গুরুত্বপূর্ন। বাকিগুলা ইগনোর করুন। এটি যেকোন কাজের ক্ষেত্রে হতে পারে।

৫/ টিচিং মেথড – বিজ্ঞানী রিচার্ড ফাইনম্যানের পদ্বতি। কোন জিনিসের বেসিক যদি আপনি অন্যদের শেখান, মানে টিচ করেন তাহলে ঐ বিষয়ে নতুন আইডিয়া আপনি পেতে পারেন। আপনি ঐ বিষয়ে চলে যাবেন প্রোডাক্টিভ স্টেটে।

৬/ প্ল্যানিং ফ্যালাসি – যখন আমরা কোন কিছু প্ল্যান করি তখন সেটা নিয়ে অতি আশাবাদী হয়ে যাই। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। তাই প্ল্যান ভালো করুন, কিন্তু এর প্রয়োগের ব্যাপারে অতি আশাবাদী হবেন না। পেসিমিস্ট হতে পারেন। একটা নিয়ম আছে, ধরা যে সাকসেস রেইট হবে ২৫%।

৭/ ভিজুয়ালাইজিং গোল – লাকানিয়ান একটা কথা আছে আমরা কোন জিনিস চাইলে ঐ জিনিস চাই না, এর ফ্যান্টাসিটাই আমাদের আনন্দ দেয়। আপনি গোল ভিজুয়ালাইজ করতে যাবেন। গোল অর্জনে যে পরিশ্রম করতে হবে ওগুলি আপনার মাথায় থাকবে না। এটি লক্ষ্যে যাইতে বাস্তব পরিশ্রমের সময় আপনাকে হতাশ করে তুলবে।

৮/ বেইজ রেইট – কোন ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বৃহৎ পরিসরে ঐ রকম কতটি ঘটনা ঘটতে পারে তা বিশ্লেষণ করে আপনি অনুমান করতে পারবেন। কোন স্টার্টাপ সাকসেসফুল হবে কি না বুঝতে ভাবুন এক বছরে ঠিক এইরকম ১০ টি স্টার্টাপ আপনি দেখলে কতটি সাকসেসফুল হতে পারে বলে সম্ভাবনা আছে মনে হয়। পরিসংখ্যানের মডেল।

৯/ এফিশিয়েন্ট মার্কেট হাইপোথিসিস – সিগনিফিক্যান্ট কিছু ছাড়া স্ট্যাটাস কুও বা বর্তমান অবস্থা পরিবর্তন হবে না (খুব রেয়ার কেইসে হতে পারে)। আপনি যদি দেখেন গাজরের জুস ক্যান্সার ভালো করে ফেলে এমন বিজ্ঞাপন, তাহলে এটি ভুয়া।

১০/ পরিচিত প্রভাব – যা মানুষ বার বার দেখে তা বিশ্বাস করতে বা তা লাইক করতে শুরু করে।

১১/ ট্রাজেডি অব কমন্স – কোন জিনিস যদি সবাই ইউজ করে কিন্তু এর দায়িত্বে কেউ থাকে না, তাহলে জিনিসটি লয়প্রাপ্ত হয় বা বিনাশ হতে থাকে। কারণ সবাই নিজ স্বার্থ দেখে ও সর্বোচ্চটা নিতে থাকে। আলটিমেটলি রিসোর্সটার ক্ষতি হয়। “সরকারী মাল”।

১২/ পলিটিক্যাল ক্যাপিটাল – একজন নেতা যে বিশ্বাস ও প্রভাব অর্জন করেন অন্য লোকদের উপর। বাড়ে যখন তিনি অন্যদের সফল করেন, কমে যখন অজনপ্রিয় সিদ্ধান্ত নেন।

১৩/ ইকোনমিজ অব স্কেল – বড় পরিসরে পরচালনা করলে কম দামে দেয়া যায়। একজন বিশ কেজি আলু এনে বিজনেস করেন, উনি আলুর কেজি রাখেন ১০ টাকা। আরেকজন বড় পরিসরে ১০০০ কেজি আলু এনে বিক্রি করেন। উনি ৮ টাকায় দিতে পারবেন। তার সেলও তাই বেশি হবে। বড় হবার এটি সুবিধা