এইসব গেইম এর মাধ্যমে ফ্রয়েডিয়ান এবং জাংগিয়ান তত্ত্বের আলোকে একজনের সাইকির এনালাইসিস করা হয়।
এই লেখা পিডিএফ ডাউনলোড লিংকঃ সাইকি
ককোলজি
ককোলজি শব্দটি জাপানী ককোরো এবং গ্রীক লজিয়া শব্দের সংমিশ্রণে তৈরী। ককোরো শব্দের অর্থ মন, আত্মা, অনুভূতি। আর গ্রীক লজিয়া মানে বিদ্যা। ককোলজি হচ্ছে কিছু মনস্তাত্ত্বিক গেইম। এগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে, এগুলো খেলতে খেলতে একজন ব্যক্তি তার অনুভূতি বা আচরনগত অনেক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে পারবেন।
ককোলজি বলতে তাই বুঝায় মানুষের আচরনের গোপন অর্থ বা কোন অবস্থার প্রেক্ষিতে তার প্রতিক্রিয়ার গোপন অর্থ সম্পর্কে এক ধরনের অনুমান।
ককোলজি ২ বইতে প্রফেসর সাইতো যা বলেন
তথ্য প্রযুক্তি বিস্তার দুনিয়াকে কাছাকাছি আসতে সাহায্য করছে। বৈশ্বিক মিডিয়াগুলো আমাদের ভিন্নতা এবং সাদৃশ্য সামনে নিয়ে এসে বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষদের পরস্পরকে বুঝার ক্ষেত্র তৈরী করছে। অবশ্যই ভিন্নতা রয়ে যায়, কিন্তু আমি মনে করি মানুষ তাদের ভাব ও চিন্তায় পরস্পরের নিকঠবর্তী হচ্ছে দিন দিন। তাই ইউনাইটেড স্টেটস এবং ইউরোপে ককোলজির সফলতার খবরটি ছিল দারুন আনন্দদায়ক। যেহেতু, ককোলজি যেসব মনস্তাত্ত্বিক মূলনীতির উপর ভিত্তি করে নির্মিত তা প্রথম পশ্চিমেই জন্ম নিয়েছে, এবং প্রথমত এর উদ্দেশ্য ছিল জাপানের সাধারন জনগনের কাছে এইসব চিন্তাগুলির পরিচয় ঘটানো। যখন আমি দেখলাম ককোলজি তার শেকড়ের জায়গাটিতে গিয়ে এত সফল হয়েছে, জনপ্রিয়তা পেয়েছে তখন মানুষের চিন্তার জগতটি যে একইরকম আমার এই ধারণাটি আরো শক্তপোক্ত হলো।
ককোলজি ২ তার আগের বইয়ের মতোই, নিজেকে বুঝা, ব্যক্তিগত সম্পর্ক উন্নয়ন ও গভীর করা, বুদ্ধিবৃত্তি ও চিন্তার স্ফুরণ ঘটানো ইত্যাদি বিষয় সামনে রেখে তৈরী। মোটকথা, দেখানো যে আমরা কতটুকু একইরকম, আমরা কেউই একা না।
ইসামো সাইতো
অধ্যাপক, রিশো ইউনিভার্সিটি
খেলার নিয়ম
এখানে এ খেলাগুলি আছে তা খেলতে হলে কিছু নিয়ম মানলে বেশী মজা পাওয়া যাবে।
১। উত্তর দেবার সময় আপনার মাথায় প্রথম যে উত্তরটি আসে তাই বলুন। যেহেতু এখানে সঠিক ও ভুল উত্তর বলে কিছু নেই।
২। বইটি একা একা পড়া যাবে অন্য বইগুলির মতোই, কিন্তু খেলার মজা বেশী পেতে গ্রুপ করে অন্যদের নিয়ে খেলতে পারেন।
৩। কুইজগুলির উত্তর অনুমান করা সম্ভব। কিন্তু এই অভার স্মার্টনেস অর্থহীন। কারণ এতে আপনার কোন লাভ নেই ও যে সাইকোলজিক্যাল ইনসাইট খুঁজছিলেন তা পাবেন না।
৪। সৎভাবে উত্তর দিন। আপনার সম্পর্কে অস্বস্থিকর কিছু বের হয়ে এলেও বিব্রত হবার কিছু নেই। এটা একটা খেলাই, এবং প্রতিটি ভালো খেলার মতো মজা দেবার সাথে সাথে এটি কিছু শেখায়।
৫। এক পেইজ পরে আরেক পেইজ পড়তে হবে। আগে পেছনের পেইজ পড়ে ফেললে আপনি উত্তর জেনে যাবেন আগে। এটা হবে কোন রহস্য উপন্যাসের শেষ পেইজ আগে পড়ে ফেলার মতো। কিন্তু তাতে রহস্য উপন্যাস যে কারণে পড়া সেই সাসপেন্স নষ্ট হয়।
৬। অন্যদের প্রতিক্রিয়া কী হয় খেয়াল করুন।
৭। উদারভাবে খেলা ও তার সাইকোলজিক্যাল অনুমানগুলিকে দেখুন। অনুমান ধ্রুব সত্য নয়।
দরজাটি যখন দরজা নয়
এমন তো প্রতিদিন হয় না যে আপনি উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘুরে বেড়াতে পারছেন, এদিক ওদিক হাঁটছেন নিজেদের এলাকায়। ভাবুন এমনই একটি দিনের কথা। কোন কারণ ছাড়াই হাঁটছেন আপনি আর কল্পনার লাগাম খুলে দিয়েছেন। এভাবে অন্যমনস্ক ভাবে হাঁটতে হাঁটতে আপনি পৌছে গেলেন একটি সুন্দর বাড়ির সামনে। বাড়িটিকে দেখতে দেখতে আপনি লক্ষ্য করলেন এর দরজাটি অর্ধেক খোলা।
এর কারণ কী হতে পারে?
১। বাড়িটিতে চুরি হয়েছে।
২। বাড়ির মালিক দরজা বন্ধ করতে ভুলে গেছেন।
৩। মালিক ভিতরেই আছে, ভিতরে ধোঁয়া মোছার কাজ করছেন কিছু।
দরজার দুই ধরণের গুরুত্ব আছে। এক, দরজা বাইরের সাথে আমাদের সংযোগ পথ, আবার বাইরের সাথে আমাদের সংযোগের বাঁধাও হতে পারে। সামনের দরজা হচ্ছে প্রথম প্রতিরক্ষা লাইন। এর ভেতরের মানুষ এবং বাইরের অনিশ্চিত পৃথিবীর প্রথম প্রতিরক্ষার দায়িত্বে দাঁড়িয়ে থাকে সামনের দরজা।
যে দরজা বন্ধ থাকার কথা তা খোলা কল্পনা করার মাধ্যমে আপনি আপনার এক দূর্বল মুহুর্তের কথা ভেবেছেন অবচেতনে। আপনি যে উত্তর দিয়েছেন এর মাঝেই লুকিয়ে আছে আপনি আপনার দূর্বলতাকে কীভাবে দেখেন এবং তা অন্যের কাছে কেমন প্রকাশ করেন।
১। বাড়িটিতে চুরি হয়েছে।
যেকোন অবস্থায় আপনি সবচাইতে খারাপ অবস্থা কল্পনা করে নেন। কিন্তু খারাপ অবস্থায় প্যানিক কোন সাহায্য করে না, তাই পরবর্তী কোন খারাপ অবস্থায় মাথা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করবেন।
২। মালিক দরজা বন্ধ করতে ভুলে গেছেন।
খারাপ অবস্থায় প্যানিকড হয়ে যাবেন আপনি এমন লোক নন। বরং আপনি এতো বেখেয়ালি থাকেন যে অনেক সময় টেরই পান না খারাপ কিছু ঘটছে। এই না দেখার জন্য আপনি অনেক ভুল করে বসেন। আপনার খারাপ অভিপ্রায় না থাকলেও এই বেখেয়ালি প্রবণতার কারণে করা ভুলগুলি নিজের ও অন্যের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
৩। মালিক ভেতরে আছে, কিছু ধোয়া মোছার কাজ করছেন।
আপনাকে বেখেয়ালি মনে হতে পারে দেখলে, কিন্তু আপনি অসতর্ক হন না আসলে। প্রস্তুত থাকেন। এই অবস্থা আপনি অর্জন করে ফেলেছেন, কিন্তু তার মানে এই নয় আপনার মানুষ হিসেবে দূর্বলতা নেই। তা আছে।
ডাক হরকরা
একদিন আপনি বাসায় বসে আছেন কল্পনা করুন। কলিং বেল বাজল। আপনি গিয়ে দরজা খুললেন। দেখলেন চিঠি নিয়ে এসেছে ডাকের লোক, ডাক হরকরা। কিন্তু তারা মানুষ নয়। একজোড়া প্রাণী।
তারা এসেছে আপনার জন্য ভবিষ্যত বানী নিয়ে। ভবিষ্যতে আপনার জীবনে কী ঘটতে যাচ্ছে।
আপনি একেকজনের কাছ থেকে চিঠি নিলেন। প্রতি চিঠিতে ভিন্ন ভিন্ন ভবিষ্যত বানী।
এক চিঠিতে খালি দূর্ভাগ্য আর হতাশার কথা লেখা। অন্য চিঠিতে লেখা সুখী ও দারুণ জীবনের ভবিষ্যত বানী।
কোন প্রাণীটি নিয়ে এসেছে সুখী জীবনের চিঠি আর কোন প্রাণী নিয়ে এসেছে দুখী জীবনের বার্তা? (দুইটি ভিন্ন প্রাণী নির্বাচন করুন।)
১। বাঘ
২। কুকুর
৩। ভেড়া
৪। টিয়া পাখি
৫। কচ্ছপ
বেশীরভাগ লোকের ক্ষেত্রেই তাদের ভবিষ্যতের সুখ বা দুঃখ নির্ভর করে সে কেমন পার্টনার নির্বাচন করলো তার উপর। আপনি যে প্রাণী নির্বাচন করেছেন এটা আসলে আপনার ধারণা কোন ধরণের পার্টনার আপনার জীবনে নিয়ে আসবে সুখ আর কোন ধরণের পার্টনার আপনার জীবনে নিয়ে আসবে দুঃখ। প্রাণীদের নানা সাইকোলজিক্যাল গুরুত্ব রয়েছে এবং অনেক ভালো-মন্দ কিছুর সাথে এদের মিলিয়ে দেখা হয়।
এই অবস্থায় আপনি যে প্রাণীটি আপনার জন্য সুখ নিয়ে আসবে ভেবেছেন তা নির্দেশ করে আপনি মনে করেন কোন ধরণের পার্টনার আপনাকে সুখী করবে, তাকে আপনি আদর্শ স্ত্রী/স্বামী ভাবেন। যে প্রাণীটি দুঃখের বার্তা নিয়ে এসেছে ভেবেছেন তা হলো আপনার ধারণা মতে কোন ধরণের পার্টনার আপনাকে নিয়ে যাবে দুঃখজনক পরিস্থিতির দিকে।
১। বাঘ
যদি ভেবে থাকেন বাঘ নিয়ে এসেছে ভালো খবরঃ আপনি ভাবেন একজন শক্তিশালী এবং উচ্চাকাঙ্খী, যার বিজয়ের তীব্র আকাঙ্খা বিদ্যমান এমন পার্টনার আপনাকে সুখী করবে।
যদি ভেবে থাকেন বাঘ নিয়ে এসেছে খারাপ খবরঃ আপনি আতঙ্কিত বোধ করেন যে একজন দুঃশাসকের মতো পার্টনারকে, যে সব সময় ছড়ি ঘুরাতে থাকবে আপনার উপর। তার ঘর দুয়ারের কাজে সাহায্যের কথা উঠলেই ধমকে উঠে।
২। কুকুর
যদি ভেবে থাকেন কুকুর নিয়ে এসেছে ভালো খবরঃ আপনি চান আপনার পার্টনার আপনার অনুগত থাকবে ও আপনাকে মানবে, বিশ্বস্ত থাকবে।
যদি ভেবে থাকেন কুকুর নিয়ে এসেছে খারাপ খবরঃ যারা সবাইকে খুশি করতে চায় এবং অন্যে কী ভাববে তা নিয়ে সর্বদা চিন্তিত আপনি এদের সহ্যই করতে পারেন না।
৩। ভেড়া
যদি ভেবে থাকেন ভেড়া নিয়ে এসেছে ভালো খবরঃ আপনি উষ্ণ হৃদয়ের এক পার্টনার আপনার জন্য ভালো হবে ভাবেন, যে নিয়মিত টেইক কেয়ার করবে আপনার।
যদি ভেবে থাকেন ভেড়া নিয়ে এসেছে খারাপ খবরঃ আপনি ভয় পান এমন ভালমানুষ ভালমানুষ স্বামী বা স্ত্রীকে।
৪। টিয়া
যদি ভেবে থাকেন টিয়া নিয়ে এসেছে ভালো খবরঃ আপনি চান বাকচতুর পার্টনার, ফান লাভিং, যে আপনাকে হাসাতে পারবে।
যদি ভেবে থাকেন টিয়া নিয়ে এসেছে খারাপ খবরঃ যারা বেশী কথা বলে এবং কাজেকর্মে মন নেই, এমন পার্টনার আপনি ভয় পান।
৫। কচ্ছপ
যদি ভেবে থাকেন কচ্ছপ নিয়ে এসেছে ভালো খবরঃ আপনি সিরিয়াস, নির্ভরযোগ্য এবং আপনার প্রয়োজনে পাশে থাকবে এমন কাউকে চান।
যদি ভেবে থাকেন কচ্ছপ নিয়ে এসেছে খারাপ খবরঃ পুরো জীবন একটা স্লো বা ধীর লোকের সাথে কাটাতে হবে, এটা ভাবলেই আপনি ভীত হয়ে পড়েন।
আর্ট
আপনার সামনে দেয়া হলো একটি কফির মগ। এটা আপনার রঙ করতে হবে। নীল রঙও দেয়া হলো। আপনি কিভাবে রঙ করবেন? নিচে থেকে নির্বাচন করুন একটি।
১। ডোরাকাটা লাইন
২। পলকা ডট বা গোল গোল ডট
৩। চেক চেক করে
৪। ওয়েবি লাইন বা তরঙ্গায়িত লাইন করে
ব্লু ইজ দ্য ওয়ার্মেস্ট কালার। এর সাথে যুক্ত করে দেখা হয় কল্পনা, ইনটিউশন এবং বুদ্ধিমত্তাকে। মগের শাদা সারফেইস আপনাকে রিলাক্স একটা অবস্থান দিয়েছে। এর উপর আপনি কিভাবে রঙ করবেন তা আপনার মানসিক শক্তি, গঠন এবং কোন সমস্যা সমাধানে আপনার উদ্যোগ কেমন হয় তা নির্দেশ করে।
১। ডোরাকাটা
আপনি ক্লিয়ার কাট বা সরাসরি সমস্যা সমাধানের পথে হাঁটেন। তাই আপনি সিদ্ধান্ত নেন। আপনি দ্রুত সমাধানে কাজ করতে চান। এজন্য কঠিন সময়ে লোকেরা আপনার মাঝে শক্তি পায় ও আপনাকে নেতা মানে।
২। পলকা ডট
আপনি আর্টিস্টিক, তাই আপনি আলাদা। আপনি ইউনিক ক্রিয়েটর হিসেবে অবদান রাখেন।
৩। চেক চেক
আপনি প্রতিদিনের চাহিদা মতো কাজ করেন কিন্তু এটা আপনাকে কোনভাবেই সাধারন বানায় না। বরং, আপনি খুবই অর্গানাইজ। এটা খুব কম লোকই পারে। তাই সব কিছুর জন্য আপনার সময় এবং অর্থ সম্পদ থাকে।
৪। তরঙ্গায়িত লাইন
আপনি ভালোবাসাময় এক উষ্ণ সম্পর্কযুক্ত পরিবেশ তৈরী করতে পারেন। মানুষ আপনাকে পছন্দ করে এবং সাহায্য করে, কিন্তু এই না যে আপনি এটেনশন সিকার। আপনি বরং পৃথিবীকে ভালোবাসাময় করতে সাহায্য করতেন, ভালোবাসা অনুভব ও প্রকাশের পরিবেশ তৈরীতে কাজ করেন। আপনি যেখানে থাকেন তা আপনার জন্যই আরেকটু ভালো হয়ে উঠে।
তিমি দেখা
আপনি তিমি দেখার জাহাজে আছেন, সমুদ্রে গিয়েছেন তিমি দেখতে। চারিদিকে অথৈ লোনা জল, আপনি যখন নিচু হচ্ছেন তখন যেন লোনা জলের ছিটা এসে লাগছে আপনার মুখে। হঠাৎ আপনি দেখতে পেলেন যা দেখতে এসেছেন, সেই তিমি। কীরকম দেখছেন?
১। একটি ছোট বাচ্চা তিমি তার বিরাট মায়ের পিছনে পিছনে সাঁতরাচ্ছে।
২। একটি বাচ্চা তিমি তার মায়ের পেট ঘেষে আছে।
৩। একটি মা তিমি একটি বাবা তিমি ও একটি বাচ্চা তিমি সাঁতরাচ্ছে।
৪। একটি বাচ্চা তিমি সাঁতরাচ্ছে ও পানি ছিটাচ্ছে একা একাই।
কার্ল গুস্তাব জাং এর “গ্রেট মাদার” আর্চিটাইপ বা কাঠামোর সাথে মিল আছে তিমির। এখানে আপনি যেরকম দেখেছেন তিমি তা নির্দেশ করে আপনার মায়ের সাথে আপনার সম্পর্ক।
১। একটি ছোট বাচ্চা তিমি তার বিরাট মায়ের পিছনে পিছনে সাঁতরাচ্ছে।
আপনার জীবনে আপনার মায়ের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ন। এমনকী এই বয়েসেও আপনার চিন্তা ও কাজে তার প্রভাব রয়েছে। এর কিছু কিছু আপনি বাদ দিয়ে স্বাধীন হয়ে উঠতে পারেন, বড় হচ্ছেন যেহেতু।
২। একটি বাচ্চা তিমি তার মায়ের পেট ঘেষে আছে।
আপনি এখনো ফিজিক্যাল এফেকশন চান মানুষের কাছ থেকে। ভাবেন যে মায়ের মতোই মমতা দেখাবে লোকে আপনার প্রতি। এটা ঠিক নয়, কারণ সব সম্পর্কে ঐ ছোটকালের মত মমতা আপনি পাবেন না।
৩। একটি মা তিমি একটি বাবা তিমি ও একটি বাচ্চা তিমি সাঁতরাচ্ছে।
আপনার মা ও বাবার ভূমিকার ব্যাপারে ভারসাম্য পূর্ন দৃষ্টিভঙ্গী আছে। আপনি নিরাপদ ও সুখী পরিবেশে বড় হয়েছেন, তাই আপনার দৃষ্টিভঙ্গীতে ভারসাম্য তৈরী হয়েছে।
৪। একটি বাচ্চা তিমি সাঁতরাচ্ছে ও পানি ছিটাচ্ছে একা একাই।
আপনি নিজস্ব স্বাধীনতা অর্জন করেছেন, কিন্তু এর প্রকাশ মাঝে মাঝে অন্যদের জন্য বিরক্তিকর হয়ে উঠে। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে পারেন এবং খুব বেশী ব্যক্তস্বাতন্ত্রিক হলে আপনি কিন্তু একা হয়ে যাবেন, খেয়াল রাখবেন।
আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ
আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের গল্প নিশ্চয়ই শুনেছেন, আলিল লায়লার বিখ্যাত একটি গল্প। এই গল্পে একটি জাদুর প্রদীপ থাকে। আলাদিন তাতে ঘষা দিলেই বেরিয়ে আসত দৈত্য।
সেরকমই একটি জাদুর প্রদীপ আপনি পেয়েছেন। ঘষাও দিয়েছেন। বেরিয়ে এসেছে দৈত্য। সে বলছে, আপনি যেকোন একটি ইচ্ছার কথা বলতে পারবেন, সে পুরণ করবে। কিন্তু কখনোই সে ইচ্ছাটি যেন আরো ইচ্ছার ইচ্ছা না হয়।
আপনি একটা ইচ্ছার কথা বললেন। সেটা কী?
আপনি যা চেয়েছেন তা আপনি মনে করেন জীবনে সবচাইতে বেশী চান, কিন্তু সেটি আপনি একা পাবেন না, অন্যের সাহায্য লাগবে। অর্থাৎ আপনি এটি অন্যের কাছ থেকে চান। হতে পারে এই অন্য আপনার পার্টনার।
আপনি যদি প্রচুর সম্পদ চেয়েছেন? এটা কোন একদিন সত্যি হতে পারে। কিন্তু আমরা প্রচুর সম্পদ অর্জনের পথে যেতে যেতে আরো মূল্যবান অনেক কিছু চিরতরে হারিয়ে ফেলি।
আপনি কি অসাধারণ সৌন্দর্য, প্রচুর ক্ষমতা ইত্যাদি চেয়েছেন? আপনি যেভাবে লাভার খুঁজেন, যে যে ক্রাইটেরিয়ার উপর ভিত্তি করে, এগুলি নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। মনে রাখবে দৈহিক সৌন্দর্য চলে যায়, ক্ষমতা দূষিত হয়।
আর আপনি কি জ্ঞান, প্রজ্ঞার বা পূর্নতার মতো জিনিস অর্জন চেয়েছেন। এসব অর্জনের পথে আপনি এমনিতেই অনেক দূর চলে এসেছেন। এখন নিজের ভেতরে তাকিয়ে দেখুন, হয়ত আপনার ভিতরেই আছে।
ম্যানেজার
এবার ভাবুন আপনি একজন সেলিব্রেটি ম্যানেজার। ম্যানেজারের অনেক কাজ। সেলিব্রেটির শিডিউলের ব্যাপার দেখা, ব্র্যান্ড ভ্যালুর দিকে খেয়াল রাখা, ফ্যানদের ব্যাপারে খেয়াল রাখা ইত্যাদি ইত্যাদি।
এখন আপনার ক্লায়েন্ট একটি নতুন ব্যান্ড। তারা ভালো গায়। তাদের সেই লুকও আছে। কিন্তু জনপ্রিয়তা পাচ্ছে না। এলবাম বিক্রি হচ্ছে না।
এর কারণ হিসেবে কী মনে করেন আপনি?
প্রথম ম্যানেজার তার ক্লায়েন্টের শক্তি ও দূর্বলতা নিয়ে নিরপেক্ষভাবে ভাবতে পারেন। ম্যানেজারের জায়গায় নিজেকে বসিয়ে তাই আপনি নিজের সম্পর্কে নিরপেক্ষ ভাবে ভাবার সুযোগ পেলেন।
উত্তর যদি দিয়ে থাকেন তাদের কানেকশন ভালো না, বা ব্যাড লাক যে ভুল সময়ে তারা এসেছে, তাহলে আপনাকে বলি, দোষ নিজের মধ্যে না দেখে বাইরে দেখা সহজ। এমনকী অবচেতনেও। কিন্তু এতে কোন উপকার নেই।
নিজে নিজের ব্যর্থতার দায়িত্ব নিতে পারার মধ্যে সাহস রয়েছে।
আপনি কি উত্তরে বলেছেন ব্যান্ডের সদস্যদের ভিতরে দ্বন্দ্ব রয়েছে, এজন্যই তারা সফল হতে পারছে না…তাহলে এটি আপনার ভেতরে দ্বন্দ্ব ও সংশয়কেই প্রকাশ করে। একজন স্টার যদি হতে চান আপনি তাহলে প্রথমে আপনার নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে।
আপনি কি উত্তরে বলেছেন ব্যান্ডটি তাদের ফ্যানদের প্রতি ঠিকমতো মনযোগ দিচ্ছে না…এই উত্তর দিয়ে থাকলে আপনার চারপাশের লোকদের প্রতি আরেকটু বেশী মনযোগ দেয়ার সময় এসেছে।
প্রেম প্রস্তাব
ধরুন আপনি দূর থেকে একজনকে দীর্ঘদিন ধরে ভালোবাসেন, কিন্তু কখনো বলেন নি। এবার সাহস সঞ্চয় করে বলে ফেলবেন ঠিক করলেন। একটা গিফট কিনে তাকে দিয়ে বললেন আপনার ভালোবাসার কথা।
কিন্তু দূর্ভাগ্য। সে বলল, আমি আসলে অন্য আরেকজনকে ভালোবাসি।
আগেকার বাংলা ফিল্মের বাপ্পারাজের মতো অবস্থা আপনার।
কিন্তু এখন গিফটটা নিয়ে কী করবেন?
১। নিজেই ব্যবহার করা শুরু করবেন।
২। অন্য কাউকে দিয়ে দিবেন।
৩। ছুঁড়ে ফেলে দেবেন।
৪। কুরিয়ার করে আবার তাকে পাঠিয়ে দেবেন।
আমাদের জীবনে অনেক অভিজ্ঞতা থাকে যার পেইন, ভাঙ্গা ভালোবাসার মতো কঠিন। ফলে, আপনি এই চিন্তায় মূলত ঐসব স্বপ্ন ভাঙ্গা কঠিন অভিজ্ঞতা বিষয়ে কীভাবে ভাবেন তাই বলেছেন।
১। নিজের জন্য ব্যবহার করা।
আপনি বাস্তব চিন্তা করেন। আপনি ভাবেন যে এর স্মৃতি মনে থাকা দরকারী, এবং একে নিয়েই চলেন আপনি।
২। অন্য কাউকে দিয়ে দেয়া।
আপনি সকল ডিম এক বাক্সে রাখেন না। খারাপ অভিজ্ঞতাকেও অন্য ভালো অভিজ্ঞতার দিকে নেয়ার চেষ্টা করে থাকেন। কঠিন পৃথিবীতে এটা অবশ্যই ভালো এক পন্থা।
৩। ছুঁড়ে ফেলে দেয়া।
আপনি ভাবেন যে স্মৃতি ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে ভুলে যাওয়া যায়। কিন্তু ভেতরে ভেতরে খারাপ অভিজ্ঞতার স্মৃতি আপনার ভিতরে রয়ে যায়, এবং এগুলির সাথে যুদ্ধে থাকেন আপনি। কারণ স্মৃতি তো আর ছুঁড়ে ফেলে ভোলা যায় না।
৪। কুরিয়ারে পাঠানো।
আপনি হাল ছাড়ার মত লোক নন। নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টাটা করেন, যা করা সম্ভব। এরপরও না পাওয়া গেলে, ওটুকু তো আর নিজের নিয়ন্ত্রণে নেই।
পাখিটি যখন এলো
একদিন আপনার ঘরে উড়ে এলো এক সুন্দর পাখি। নীল তার গায়ের রঙ। আপনি মহাখুশি হয়ে তাকে খাঁচায় রাখলেন।
পরদিন ঘুম থেকে উঠে দেখলেন পাখিটির রঙ বদলে গেছে। নীল থেকে হয়ে গেছে হলুদ। পরদিন সকালে আবার রঙ পরিবর্তন। এবার পাখিটির রঙ তীব্র লাল।
পরদিন হয়ে গেলো কালো। এর পর দিন অর্থাৎ পঞ্চম দিনে পাখিটির রঙ কী হলো, উত্তর দিন?
১। কোন রঙ পরিবর্তন হবে না, কালোই রয়ে গেল।
২। পাখি তার মূল নীল রঙে পরিবর্তিত হলো।
৩। পাখিটি সাদা হয়ে গেল।
৪। পাখিটি হয়ে গেল স্বর্নালী।
হঠাৎ করে পাখির উড়ে আসা যেন সৌভাগ্যের প্রতীক। আবার এর হঠাৎ রঙ পরিবর্তন বুঝায় যে আপনার দুশ্চিন্তা, হয়ত এই আনন্দ থাকবে না। পাখিটির রঙ যা হবে আপনি বলেছেন তা প্রকাশ করে জীবনের অনিশ্চয়তা বিষয়ে আপনি কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবেন।
১। পাখিটি কালো রয়ে যাবে।
আপতি হতাশার দৃষ্টিতে দেখেন সব। খারাপ অবস্থা কি আর বদলাবে না?
২। পাখিটি তার মূল নীল রঙে ফিরে যাবে।
আপনি সাধারণ আশাবাদী লোক। মনে করেন জীবনে খারাপ ও ভালো সময় আসবে যাবে।
৩। পাখিটি সাদা হয়ে গেল।
পরিস্থিতি খারাপ হলে আপনি ভেঙে পড়েন না। বরং শান্তভাবে নিজের ক্ষতি কমাতে চেষ্টা করেন। খারাপ অবস্থা নিয়ে অহেতুক হতাশ হওয়া আপনার স্বভাবে নেই।
৪। পাখিটি স্বর্নালী হয়ে গেল।
আপনি ভয়হীন, খারাপ অবস্থাকে সুযোগ হিসেবে দেখেন। কিন্তু আপনার অতি আত্মবিশ্বাস নিয়ে সচেতন থাকা জরুরী। এতে লাভ যেমন আছে, আবার অনেক বড় বোকামিও এর দ্বারা সম্ভব।
খোলা আকাশের নিচে
আপনি আছেন মেঘমুক্ত এক খোলা আকাশের নিচে। কল্পনা করুন আপনার সামনের দৃশ্যপট।
কী দেখছেন?
১। সাদা তুষারাবৃত খোলা জায়গা।
২। নীল সমুদ্রতট।
৩। সবুজ পাহাড়।
৪। হলুদ ফুলের মাঠ।
নীল হলো আপনার শান্ত মাইন্ড এর সাথে সম্পর্কিত। নীলের চিন্তা আমাদের কিছুটা হলেও শান্ত করে। নীল আকাশের নিচে আপনি যে দৃশ্যপট চিন্তা করেছেন তা আপনার গভীর প্রতিভাকে চিহ্নিত করে।
১। খোলা তুষারাবৃত জায়গা।
আপনি ভালো সিদ্ধান্ত গ্রহনকারী। জটিল সমস্যার সমাধান দ্রুতই আপনি বুঝতে পারেন।
২। নীল সমুদ্রতট।
পারস্পারিক সম্পর্ক এবং যোগাযোগে আপনি ভালো। অন্যদের উৎসাহিত করতে পারেন। বিভিন্ন ধরণের লোকদের নিয়ে গ্রুপ করে কাজ করা, তাদের সাথে কমিউনিকেশন তৈরী এগুলি ভালো পারেন।
৩। সবুজ পাহাড়।
আপনি প্রকাশ করতে পারেন, এবং পাবলিক স্পিকিং এর মাধ্যমে যোগাযোগ জাতীয় ব্যাপারে আছে আপনার প্রতিভা। আপনি এমনভাবে কথা বলতে পারেন, লোকেরা শুনে ভাবে তারাও তো এমন ভাবছিল।
৫। হলুদ ফুলের মাঠ।
আপনি ক্রিয়েটিভিটি ও জ্ঞানের গুদামঘর যেন, নানা আইডিয়া আপনার মাথায় থাকে সব সময়। আপনি বিপুল সম্ভাবনাময়। অন্যদের অনুভূতির ব্যাপারে খেয়াল রাখুন এবং নিজের স্বপ্নের পেছনে কাজ করুন। প্রায় সব কিছুই অর্জন সম্ভব।
দানব! দানব!
শহরে বেরিয়ে এসেছে কিছু দানব। তারা চালিয়ে যাচ্ছে উন্মত্ত তান্ডব। কেন তারা এমন করছে বলে আপনার মনে হয়?
১। তারা ক্ষুধার্ত, খাবার খুঁজছে।
২। তারা তাদের হারানো ভালোবাসা খুঁজে বেড়াচ্ছে।
৩। কারণ তারা কুৎসিত এবং উন্মত্ত দানব।
৪। তারা এই পৃথিবীর প্রতি রাগান্বিত।
এই প্রশ্ন আপনার অন্ধকার দিক, এবং জীবনে এর চাপের রূপক।
উত্তর এক দিয়ে থাকলে আপনি ডায়েটে আছেন, এর জন্য অল্প কষ্টভোগ করছেন।
উত্তর দুই দিয়ে থাকলে প্রেম-ভালোবাসাই আপনার জীবনে চাপের কারণ।
উত্তর তিন দিয়ে থাকলে আপনি আপনার বর্তমান লুক নিয়ে অসন্তুষ্ট।
উত্তর চার দিয়ে থাকলে আপনি হতাশ ধরণের লোক।
চিত্র প্রদর্শনী
একটি আর্ট গ্যালারিতে গিয়ে আপনি ছবি দেখছেন। আপনার সামনের ছবিটি কেমন?
১। সেলফ পট্রেইট বা আত্মপ্রতিকৃতি।
২। কোন কিছুর প্যারডি ছবি।
৩। এবস্ট্র্যাক্ট।
৪। সবুজ কোন দৃশ্য।
এক উত্তর দিয়ে থাকলে আপনি আত্মবিশ্বাসী।
দুই দিয়ে থাকলে আপনি কথা বলতে পছন্দ করেন এবং ভালো সেন্স অব হিউমার আছে।
তিন উত্তর দিয়ে থাকলে আপনি সৃষ্টিশীল লোক।
চার উত্তর দিয়ে থাকলে আপনি শান্ত ও ভদ্র স্বভাবের।
হে পাঠক!
আমরা সবাই বই পড়ি। কেউ বেশী কেউ কম। কেউ অকারনে, কেউ কারনে আর কেউ কেবল দরকার পড়লে। তা যাইহোক, কল্পনা করুন আপনার সামনে একটি বই পড়ে আছে। উপন্যাস।
১। বইয়ের গল্পটি কী ধরনের?
২। আপনি বইটি পড়তে শুরু করলেন, এবং দেখলেন গল্পের একটি চরিত্র আপনি। আপনার চরিত্রটি কেমন?
৩। আপনি আরো পড়তে লাগলেন এবং এক জায়গায় পেলেন ছেঁড়া, এমনভাবে নষ্ট যে পড়ার উপায় নেই। এই অংশটা গল্পের কোন অংশে?
৪। আপনি বইটি পুরো পড়ে শেষ করলেন। পড়ার পর আপনার অনুভূতি কেমন বইটি নিয়ে?
বই পড়ায় আমাদের যতই ভিন্নতা থাকুক, আমাদের সমাজে বই এবং স্কুল ওতপ্রোতভাবে জড়িত। স্কুল জীবনেই আমরা বইয়ের সাথে আলাদাভাবে যুক্ত থাকি। পড়া শিখতে হবে, প্রতিদিন পড়তে বসতে হবে ইত্যাদি। আপনি বই নিয়ে যে সাইকোলজিক্যাল খেলায় অংশ নিয়েছেন তাতে সেই বই পড়াটি আপনার স্কুল-কলেজ জীবনের নির্দেশক।
১। আপনি যে ধরনের বইয়ের কথা ভেবেছেন তা হচ্ছে আপনার স্কুল জীবন সম্পর্কে আপনার নিজের ধারণা। এটা কারো ক্ষেত্রে হতে পারে রহস্য উপন্যাস, কারো ক্ষেত্রে কমেডি উপন্যাস, কারো ক্ষেত্রে রোমান্টিক উপন্যাস। ট্র্যাজেডিও যে হবে না এমন নয়।
২। উপন্যাসটির যে চরিত্রে আপনি নিজেকে দেখেছেন, তা হচ্ছে আপনার স্কুল জীবনে আপনি কেমন ছিলেন সে সম্পর্কে আপনার নিজের ধারণা। কেউ হয়ত ভেবেছেন কেন্দ্রীয় চরিত্র, কেউ পার্শ্বচরিত্র আর কারো ক্ষেত্রে উপন্যাসে হঠাৎ এসে পড়া অগুরুত্বপূর্ন কোন চরিত্র বিশেষ।
৩। আপনি উপন্যাসের যে অংশ ছেঁড়া বা নষ্ট হয়ে গেছে ভেবেছেন ওটা হচ্ছে আপনার যুবক বয়েসের (স্কুল-কলেজ) ঐ অংশে আপনি কোন আঘাত পেয়েছেন। কারো ক্ষেত্রে তা হতে পারে শুরুর দিকে, তারা শুরুর দিকে ছেঁড়া পেয়েছেন। কারো হতে পারে একেবারে শেষের দিকে। অর্থাৎ, আপনি আঘাত পেয়েছেন যুবক বয়েসের শেষদিকে এসে। ট্রমা পুরোপুরি সারে না কখনো ভিতরে ঘাপটি মেরে রয়ে যায়। যদিও দৃশ্যত আঘাতের ফলাফল মনে হয় শেষ হয়ে গেছে। মনে হয় এর সাথে আপনার বর্তমান জীবনের দূরতম কোন সম্পর্কও নেই। কিন্তু পেছন ফিরে তাকালে আপনি তা দেখতে পাবেন।
৪। বই পড়ার পরে আপনার যে অনুভূতি হয়েছে তা আপনার স্কুল জীবন শেষ হয়ে যাওয়ায় আপনার সাধারণ অনুভূতি। আপনার গল্প কী রূপকথার মত শেষ হয়েছে, সবাই আনন্দে থাকতে লাগল। খুবই কমন, যাইহোক ভালো।
অথবা আপনি কি ভেবেছেন শেষে চরিত্রদের সবাই মরে গেল? মানে আপনি আপনার স্কুল জীবন শেষ হওয়াটাকে মনে করেন নতুন জীবন পাওয়া। আপনি যেন ওটা থেকে মুক্তি পেয়েছেন শেষ করে, এমনই ভাবেন। কারো হয়ত মনে হয়েছে গল্প চলতেই আছে, সিরিয়ালের মত। সেক্ষেত্রে আপনাকে এই গল্পের পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকতেই হচ্ছে। যদিও একদিক দিয়ে এটাই সম্ভবত অধিকতর সঠিক উত্তর। কারণ গল্প তো চলছেই আপনার।
উপসংহার
আশা করি বইটি আপনার ভালো লেগেছে। এর মূল কৃতিত্ব যারা এটি নিয়ে ভেবেছেন সেই অধ্যাপক তাহাদিকো নাগাও এবং অধ্যাপক ইসামো সাইতো’র। আমি কেবল বাংলায় ভাষান্তর ও উপস্থাপন করলাম।
এবং ২০১৮ একুশে বইমেলায় আদর্শ পাবলিকেশন্স থেকে আমার একটি থ্রিলার উপন্যাস বের হচ্ছে, সংখ্যার হিসাবে বলা যায় ষষ্ট বই। নাম পুরানো কৌতুক, এখানে দেখতে পাবেন তার প্রচ্ছদ।
ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।