মীমাংসা
আসতে পারি স্যার?
- সামাদ?
জি স্যার। আপনি কি ব্যস্ত?
- হ্যা, একটা বই পড়ছি। ইন্টারপ্রিটেশন অব ড্রিমস।
অনেকক্ষণ ধরে স্যার পাঁচটা খরগোশ গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
- হ্যা, আমি ভুলে গিয়েছিলাম। গেইট খুলে দাও। ওদের ভিতরে নিয়ে আসো। তারপর আমার কথামতো কাজ করবে। কারণ আমি এখন বই পড়া থেকে উঠতে পারব না।
…
…
…
স্যার, নিয়ে আসছি।
- ওরা কী করে?
রুমের মাঝখানে বৃত্তাকারে ঘুরছে। একেকটা খরগোশ স্যার বেশ বড় সাইজের।
- ঠিক আছে। তুমি আলমাড়ির চার নাম্বার তাক খুলো। পি৩২০ এক্স ফাইভ লেজিয়ন পাবে। পেয়েছো?
জি স্যার।
- লোড করা আছে। পাঁচটাকে কাছে গিয়ে শুট করো।
এখনই?
- যা বলছি তা করো। কথা না।
জি স্যার।
…
…
…
…
…
করেছি স্যার।
- মারা গেছে?
মনে হয় যাচ্ছে স্যার। উপরের দিকে ট্যাং দিয়ে পড়ে আছে। এবং কোন রক্ত বের হয় নি।
- নড়ছে?
না নড়ছে না।
- তাহলে আবার আলমাড়ি খুলো। তৃতীয় তাকে বড় নীল রঙের পলিথিন ব্যাগ পাবে। ওতে পাঁচটাকে ভরে ফেলো। আর আজ সন্ধ্যার আগেই এদের পুড়িয়ে ফেলবে নিয়ে। এখনই নিয়ে পুড়িয়ে ফেলবে।
ঠিক আছে স্যার।
- সন্ধ্যার আগে আগে যেন সব কাজ শেষ। সন্ধ্যার আগে না পুড়াতে পারলে ঝামেলা।
বুঝতে পারছি স্যার।
- আলমাড়ির দ্বিতীয় তাকে কেরোসিনের ড্রাম আছে। ওটা নিয়ে যাও। আগুন লাগাতে সাহায্য হবে।
জি স্যার।
- সন্ধ্যার আগে আগে আমাকে এসে রিপোর্ট দিবে। মাথায় রেখো, সন্ধ্যার আগে পুড়াতে যদি না পারো বড় ঝামেলা হয়ে যাবে।
ঠিক আছে স্যার। কিন্তু এরা আসলে কারা?
- সব কিছু জানতে নেই সামাদ। সব রহস্যের সমাধান হয় না। এবং এটাই সৌন্দর্য। রহস্যের সমাধান হয়ে গেলে জীবন যাপন কেমন নিরস হয়ে উঠত। যাও সামাদ, যাও। সময় বেশি বাকি নেই আর।