লেখক এফ স্কট ফিটজেরাল্ড ১৯৩৩ সালে তার ১১ বছরের মেয়েকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। নিউ ইয়র্ক টাইমস এর জুন ১৫, ১৯৫৮ সালের সংখ্যায় এটি প্রকাশিত হয়। ফিটজেরাল্ড এখানে তার মেয়েকে কিছু উপদেশ দেন। কী নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হবে, এবং কী নিয়ে করতে হবে না।
যেহেতু ফিটজেরাল্ড একজন বড় লেখক, পপুলিস্ট লেখক না, তাই তার জীবন দৃষ্টির উপর ভরসা করাই যায়। সুতরাং এই উপদেশগুলি আপনি পড়তে পারেন।
আমি নিশ্চিত যে তুমি তোমার দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করছো। ফ্রেঞ্চে কী কী পড়ছো তার তালিকা কি আমাকে দেবে? তুমি হ্যাপি আছো জেনে আমি আনন্দিত – কিন্তু আমি আসলে হ্যাপিনেসে তেমন বিশ্বাস করি নাই কোনদিন। দুর্দশাতেই বিশ্বাস করি নাই। যা তুমি দেখো ওই মঞ্চে, বা স্ক্রিণে বা লেখায়, এমন আসলে বাস্তবে কখনো হয় না।
আমি সারাজীবনে বিশ্বাস করছি, তুমি তোমার ভার্চ্যুর জন্য পুরস্কৃত হইবা, আর দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন না করলে পাইবা শাস্তি। ক্যাম্পে শেক্সপিয়ারের সনেটের ভলিউম যদি থাকে, মিসেস টাইসনকে বলবা তোমারে এই লাইন খুঁজে দিতে, যেই লিলিফুল পচে গেছে তা আগাছার চাইতেও খারাপ…
আমি বড় আনন্দের সাথে তোমার কথা মনে করি। কিন্তু শাদা বিড়ালটিকে বাইরে নিয়ে ছয় ছয়বার ওকে মারব, যদি তুমি অভদ্র আচরণ করো। এতে তোমার প্রতিক্রিয়া কী হবে?
আমি শেষ করব।
যেসব জিনিস নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেঃ
সৎসাহস নিয়ে।
পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে।
কর্মদক্ষতা নিয়ে।
ঘোড়ায় চড়া নিয়ে।
যেসব জিনিস নিয়ে দুশ্চিন্তা করবে নাঃ
জনপ্রিয় মতামত (পপুলার অপিনিওন)।
পুতুল নিয়ে।
অতীত নিয়ে।
ভবিষ্যত নিয়ে।
বড় হওয়া নিয়ে।
কেউ তোমার আগে চলে যাচ্ছে তা নিয়ে।
জয়ী হওয়া নিয়ে।
ব্যর্থতা নিয়ে, যদি সে ব্যর্থতায় নিজের দোষ না থাকে।
মশা নিয়ে।
মাছি নিয়ে।
কোন ধরণের পোকামাকড় নিয়ে।
মা বাবা নিয়ে।
ছেলেদের নিয়ে।
হতাশা নিয়ে।
সুখ নিয়ে।
আত্মতুষ্ঠি নিয়ে।
যা নিয়ে চিন্তা করবেঃ
আমি কী লক্ষ্য করে এগুচ্ছি?
আমি আমার সমসাময়িকদের থেকে নিম্নোক্ত জিনিসে কেমন ভালোঃ
১। জ্ঞান, জানাশোনা ও প্রজ্ঞা (স্কলারশিপ)
২। আমি কি মানুষদের বুঝতে পারি ও তাদের সাথে চলতে পারি?
৩। আমি কি আমার শরীরকে উপকারী জিনিসে পরিণত করছি না উপেক্ষা করছি?
অতিপ্রিয় ভালোবাসার সাথে,
মূল ইংরাজিঃ
এক ভাষা থেকে আরেক ভাষায় রূপান্তরের সময় ১০০ ভাগ নিখুঁত হয় না।
https://archive.nytimes.com/www.nytimes.com/books/00/12/24/specials/fitzgerald-father.html