মানুষ যখন সিদ্ধান্ত নেয়, কীভাবে চিন্তা করে নিচ্ছে এবং এর ফল কী হবে, এ সম্পর্কে শতভাগ জানা সম্ভব হয় নাই। অধ্যাপক ড্যান আরিয়ালি তার দাঁড়ির উদাহরণ দেন। অনেক আগে দূর্ঘটনায় তার শরীরের অর্ধেক পুড়ে যায়। ফলে, তার এক গালে দাঁড়ি হয়, অন্য অংশে হয় না। তিনি সব সময় শেইভ করতেন।
একবার হাইকিং এ গেলেন, ও শেইভ করতে না পারায় দাঁড়ি জন্মাল। তিনি মজা করে এর ছবি ফেসবুকে দিলেন। এরপর অনেক মানুষের মেসেজ পেতে শুরু করলেন।
এই মানুষেরা জানাচ্ছিলেন, তারা সারাজীবন ধরে তাদের এক্সিডেন্টের কারণে বা অন্য কোন কারণে হওয়া অপূর্ণতা লুকিয়ে আসছিলেন। কিন্তু এখন অনুপ্রাণিত হলেন এই ছবি দেখে নিজের অবস্থা ও আইডেন্টিটি নিয়ে প্রকাশিত হবার ক্ষেত্রে। তারা আরিয়ালিকে ধন্যবাদ জানালেন।
অধ্যাপক আরিয়ালি এতে অবাক হয়ে যান। তার এই কাজ এত লোককে এইভাবে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অনুপ্রাণিত করবে তিনি আগে ভাবেন নি।
এরপর থেকে তিনি এক গালে দাঁড়ি রেখে দেন।
তো, মূল কথা, মানুষ তার সিদ্ধান্তের ফল কেমন হবে তা শতভাগ জানে না। অন্যদিকে ব্রেইন কীভাবে সিদ্ধান্ত নেবার সময় কাজ করে তা জানা নাই। ব্রেইন কীভাবে কাজ করে এ নিয়ে অনেক অনেক জিনিশই অজানা।
মানুষের ব্রেইন আধুনিক সমাজে উদ্ভূত অনেক জিনিশ, যেমন টাকা, গাড়ি ইত্যাদি ইত্যাদি, পরিচালনার জন্য বিবর্তিত হয় নি। কারণ মানব ইতিহাসের অধিকাংশ সময়ে মানুষ এমন সমাজে ছিল না। ফলে, এই সমাজে বেটার সিদ্ধান্ত নিতে হলে মানুষকে বিভিন্ন টুল ও ইনসাইটের সাহায্য নিতে হয়।
সিদ্ধান্ত নেয়া বিষয়ে এই লেখার ইনসাইটগুলি আপনাকে সাহায্য করতে পারে। এগুলি অধ্যাপক ড্যান আরিয়ালির লেকচার থেকে আমি জেনেছি, এসব বিহেভিওরাল একনোমিক্সের গবেষকেরা বের করেছেন।
চাপে বা দুশ্চিন্তায় থাকলে সিদ্ধান্ত নিব কীভাবে?
চাপে বা দুশ্চিন্তায় বা উদ্বেগে থাকলে মানুষের দেখার ক্ষেত্র ছোট হয়ে যায়। ফলে এই সময়ে তার সিদ্ধান্ত খারাপ হয়।
জঙ্গলের সমাজে কাজ করার জন্য এই মেকানিজম তৈরি। জঙ্গলের সমাজে আপনি হাঁটতে গিয়ে বাঘের লেজ দেখলেন। সাথে সাথে স্ট্রেস হবে, এবং সেটা একটা সিদ্ধান্তের দিকেই পুশ করবে, দৌড় দেয়া। এই জায়গায় আপনার কাছে সুযোগ ছিল না এক্সেল শিট নিয়ে বসা ও সব অপশন চেক করার।
কিন্তু, উক্ত পরিস্থিতি আধুনিক সমাজের সকল সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় এখন আর। এখানে সকল অপশন বিবেচনা করা, ও দেখার ক্ষেত্র বড় করা জরুরী ভালো সিদ্ধান্ত নিতে হলে।
চাপ ইমোশনাল রিয়েকশন। ইমোশন এবং কগনিশন দুইটা বিপরীত, ইমোশন বেশি থাকলে এই কারণে সিদ্ধান্তের কোয়ালিটি খারাপ হয়। আভেগ আভেগ।
একটা রিসার্চে দেখা গেছে, কৃষকরা যখন ফসল ঘরে তুলেন তখন তাদের আইকিউ টেস্টে রেজাল্ট ভালো হয়। আর অন্য সময়ে যখন অর্থনৈতিক সমস্যা থাকে তখন তাদের আইকিউ টেস্টে রেজাল্ট খারাপ হয়।
এখানে গুরুত্বপূর্ণ জিনিশ হল, স্ট্রেস বা চাপ, এক বিষয়ে তীব্র স্ট্রেস হতে হবে এমন না সব সময়, নিয়মিত হতে থাকা চাপগুলার প্রভাবেও সিদ্ধান্তের কোয়ালিটি খারাপ হয়, এই জিনিশটা বুঝা।
প্রথম ধরণ, এক বিষয়ের তীব্র চাপ, এটা সবাই বুঝেন। কিন্তু নিয়মিত হতে থাকা ধীর স্ট্রেসগুলা খেয়াল করেন না।
নিয়ম হল, স্ট্রেসে থাকলে সিদ্ধান্ত না নেয়া, যদি পারা যায়। এবং যেসব স্ট্রেস নিয়মিত প্রতিদিনের জীবনের কাজ করছে এগুলি কমানোর জায়গা থাকলে কমানো। তা না হলে অভারল সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতায় তা নেগেটিভ প্রভাব ফেলবে।
বড় সিদ্ধান্ত কীভাবে নিতে হয়?
বড় সিদ্ধান্ত বলতে এখানে, যেই সিদ্ধান্তে বাজি/ঝুঁকির পরিমাণ বড়।
আমি যদি বলি আপনে হেড হলে দশ টাকা পাবেন, টেইল হলে ৮ টাকা দিবেন, তাহলে এই সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ। কিন্তু যদি বলা হয়, হেড হলে ১০ হাজার পাবেন ও টেইল হলে ৮ হাজার দিবেন, তাহলে কঠিন হয়। আরও বড় সিদ্ধান্ত হয়, যখন বলা হবে, হেড হলে ১০ লাখ পাবেন ও টেইল হলে ৮ লাখ দিবেন।
এইসব সিদ্ধান্তের সময় মানুষ ঝুঁকির দিকটা বেশি খেয়াল করে। কিন্তু একদিকে খেয়াল রাখলে তা র্যাশনাল এপ্রোচ হয় না।
বড় সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে দেখতে হবে, এই সিদ্ধান্তই একক সিদ্ধান্ত না আপনার লাইফে। মানুষের লাইফ হচ্ছে বিভিন্ন সিদ্ধান্তের পোর্টফোলিও। সেই লার্জার পোর্টফোলিওতে এই সিদ্ধান্তের অবস্থান কী, ভাবতে হবে।
যত ব্রড ফ্রেমে নেয়া যাবে, তত র্যাশনালি বিচার করা সম্ভব। যেমন যদি বলা হয়, হেড হলে ১০ লাখ পাবেন, টেইল হলে ৮ লাখ দিবেন, এবং এর সম্ভাব্যতা ৫০%, এবং এটি আগামী ত্রিশ বছর প্রতিদিন হতে থাকবে, তখন মানুষ বলবে, ইয়েস! সে তখন রিস্কটা নিতে চাইবে, কারণ ব্রড পার্স্পেক্টিভে সে দেখতেছে তার জিতার সম্ভাবনা বেশি।
একই সিদ্ধান্ত এককভাবে দেখলে একরকম, কিন্তু অভারল সিদ্ধান্তসমূহের হিসাবে দেখলে ভিন্নরকম।ব্রড ফ্রেইমে নিলেই আপনি সিদ্ধান্তটা নিবেন বা নিতে হবে এমন না। আপনি ভালো বিচার করতে পারবেন।
মানুষ কেন সিদ্ধান্ত নিতে দেরী করে?
মানুষ একশনের চাইতে ইনেকশনকে প্রাধান্য দেয়। তারা যেমন আছে, তেমন থাকাকে প্রাধান্য দেয়। ফলে, সিদ্ধান্ত নেয়াতে হলে তাকে প্রথমে ইনেকশন থেকে একশনে নিতে হয়, তারপর আসে সিদ্ধান্তের জায়গা।
এইজন্য কোন পরিবর্তন খুব কঠিন। একজন মানুষের ক্ষেত্রেও তাও সহজ, সে হয়ত চাইলে বদলাতে পারে। কিন্তু বড় প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে অনেক বেশি কঠিন। এইজন্য বড় কোম্পানিগুলি তাদের নির্মিত কালচারেই বাস করে। খারাপ হলেও সহজে বদলাতে পারে না।
তো, কোন প্রতিষ্ঠানকে আপনি ভালো একটা দিকে সিদ্ধান্ত নেয়াতে চান, তাহলে কী করতে হবে? তাকে দুই অপশন সামনে দিলে সহজে কাজ হবে না। সে যেমন আছে তেমনই থাকতে খুশি।
আপনাকে প্রথমে তাকে এমন একটা জায়গায় পুশ করতে হবে যে, এখানে সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। রবার্ট ফ্রস্টের দুই মুখী রাস্তা, আপনি সেখানে নিয়ে দুইটা অপশন দেখিয়ে কোনটা ভালো বুঝাবেন। সেক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের জন্য বেটার সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হবে।
যখন কেউ আপনার সিদ্ধান্তে নেগেটিভলি ইফেক্টেড হবে তখন কীভাবে সিদ্ধান্ত নিবেন
আপনার সিদ্ধান্তের কারণে কারো চাকরি যাবে, কাউরে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হবে এইসব হচ্ছে খুবই ক্রিটিক্যাল অবস্থা। এইসব সাইকোলজির বিষয়ের চাইতে বেশি এথিক্যাল বিষয়, দার্শনিকও।
সম্প্রতি ভাইরাল হল এক পোস্ট, একজন ভাতের জন্য টিউশনি করাতে চান। এটি কেন ভাইরাল হল, যেখানে এইরকম অবস্থা আরও অনেক মানুষেরই আছে দেশে, সেটা অজানা না অন্যদের।
ভাইরাল হবার কারণ এখানে ভিক্টিম আইডেন্টিফায়েবল। মানুষ যখন দেখে একজন ব্যক্তি সাফার করছে, তখন সে রিলেট করতে পারে। কিন্তু হাজার মানুষের সাফারিং সে রিলেট করতে পারে না। এইজন্য স্টালিন বলেছিলেন, একজন মরলে ট্রাজেডি, একশ হাজার মরলে পরিসংখ্যান। মাতাশ্রী তেরেসা বলেছিলেন, আমি যদি হাজার লোকদের দিকে দেখি কিছু করব না, কিন্তু একজনরে দেখলে করব।
এই দুই কথার পয়েন্ট একই। ভিক্টিম আইডেন্টিফায়েবল হতে হয় মানুষের প্রতিক্রিয়া জাগতে হলে।
দুইজন লোকরে ফায়ার করতে বলা হল, একজন আপনার অফিসেই আপনার সাথে কাজ করে, নিয়মিত আলাপ হয়। আরেকজন বিদেশের একটা ব্রাঞ্চের, যারে দেখেন নাই কোনোদিন। দ্বিতীয় জনরে ফায়ার করার সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হবে।
এইসব ক্রিটিক্যাল সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ না। ভাবতে পারেন, আপনি ওই লোকটিরে আইডেন্টিফাই করতে না পারলে কীভাবে সিদ্ধান্ত নিতেন। কোন অফিসে যদি আপনি কাজ করেন, তাহলে আপনার দায় কার কাছে, এটাও বিবেচ্য। ধরা যাক, যাকে ফায়ার করা হবে, সেই ফায়ারের পেছনে যথাযোগ্য কারণ আছে। কিন্তু আপনি চিনেন, এই কারণে তাকে না ফায়ার করলে আপনি আপনার কোম্পানির সাথে ন্যায় করলেন না।
যখন খুব কম তথ্য বা তথ্য প্রায় নাই তখন কীভাবে সিদ্ধান্ত নিব
এইসব ক্ষেত্রে ইনটুইশন ব্যবহার করা যায়। কিন্তু ইনটুইশন কীভাবে ডেভলাপ করে?
দড়ি দেখলে একজন সাপ ভাবে। এই ইনটুইশন বায়োলজিক্যাল। হাজার বছরের অভিজ্ঞতায় অর্জিত। কিন্তু আধুনিক সমাজের নানা সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে, এটা হবে না।
ইনটুইশন ডেভলাপ করে একই কাজ একটু ভিন্নভাবে বার বার করা ও ফিডব্যাক পাওয়ার মাধ্যমে।
আমি একবার বাস্কেটবলে ঝুড়ির ভেতরে বল ফেলতে চাচ্ছিলাম। প্রথম কয়েকবারে পারি নাই। কিন্তু প্রথমবার মারার পরেই আমি দেখলাম বল কত উঁচু বা নিচু দিয়ে গেল। এই ফিডব্যাক থেকে আমি অন্যভাবে মারলাম। এভাবে করতে করতে সাত আটবারের পরে একবার ঝুড়িতে ফেলতে পারলাম।
এই ইনটুইশন ডেভলাপ করেছে একই কাজ বার বার একটু ভিন্ন ভাবে করা ও ইনস্ট্যান্ট ফিডব্যাক পাওয়ার মাধ্যমে।
খেলার ক্ষেত্রে এই সুযোগ থাকে। কারণ এখানে একই জিনিশ বার বার করার অবকাশ থাকে। কিন্তু জীবনের অনেক সিদ্ধান্ত নিতেই হয় এক দুইবার। এগুলিতে বার বার ভিন্ন ভাবে করে ফিডব্যাক নেবার জায়গা থাকে না। ফলে এসব জায়গায় ইনটুইশন জন্ম নেবার জায়গা নাই।
যেহেতু তথ্য কম বা নাই, তাহলে দেখতে হবে এই জায়গাতে আমাদের গুড ইনটুইশন ডেভলাপ হওয়া আছে কি না। যেমন, আপনি একজন ক্রিকেটার, বিশ বছর নিয়মিত খেলেছেন। আপনাকে ক্রিকেট সম্পর্কিত এক সিদ্ধান্ত নিতে বলা হল কোন তথ্য না দিয়ে। এক্ষেত্রে আপনাকে ভাবতে হবে এই জায়গায় আপনার গুড ইনটুইশন আছে কি না। থাকার কথা।
কিন্তু ইনটুইশন মানে ধরে নিবেন না ব্যাখ্যার অতীত কিছু, সুপার পাওয়ারের মত, যেটা আপনারই বেশি আছে কেবল, আপনি কীভাবে যেন বুঝে ফেলতে পারেন সব। এমন ম্যাজিক পাওয়ার নেই।
দ্বিতীয়ত ভাববেন, কী কী ফ্যাক্টর এখানে জড়িত আছে। ফ্যাক্টরগুলা এনালাইসিস করবেন।
তিন, ধরে নিবেন যেহেতু কম তথ্যে বা নাই তথ্যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তাই ভুল হতে পারে। ভবিষ্যতে যাচাই করার জায়গা রাখবেন, ভুল হলে বদলানোর বা সেখান থেকে ফিডব্যাক নিয়ে সংযোজন বিযোজনের সুযোগ রাখবেন।
গ্রুপে কীভাবে ভালো সিদ্ধান্ত নিব
গ্রুপে বা একসাথে মিলে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া ভালো সিদ্ধান্তের পক্ষে সহায়ক না। যদিও এইরকম সিদ্ধান্ত নেয়া আত্মবিশ্বাস তৈরি করে যে এই সিদ্ধান্ত ভালো সিদ্ধান্ত। ফলে এখানে বিপদ দুইদিকে, এক খারাপ কোয়ালিটির সিদ্ধান্ত, দুই, সেই সিদ্ধান্তে আত্মবিশ্বাস।
গ্রুপে ভালো সিদ্ধান্ত সম্ভব হয় না কারণ সাধারণত গ্রুপে দলনেতা থাকেন। তিনি এজেন্ডা ঠিক করে দেন, নিজের মত দেন। এরপর আলাপ আলোচনা হয়।
ধরা যাক, আপনি এক কোম্পানির মালিক। আপনি সিনিয়দের নিয়ে আলাপে বসলেন। অফিসে কফি চলবে না চা চলবে এই সিদ্ধান্ত নিতে। আপনি প্রথমে এজেন্ডা বললেন, এরপর আপনার মত দিলেন, আপনি চায়ের পক্ষে।
আপনার গ্রুপের কয়জন আপনার বিরুদ্ধে গিয়ে কফির পক্ষে যাবে?
অথবা, এমন হতে পারে গ্রুপে একজন লোক খুব ভালো বক্তা। তিনি তার মত দ্বারা অন্যদের প্রভাবিত করতে পারেন। অনেকে প্রভাবিত হতে পারে বেশিরভাগের মতের দিকে।
ফলে, গ্রুপে মিলিত সিদ্ধান্তের চর্চা হয় বলে মনে হলেও এটি ভালো সিদ্ধান্তের ভালো উপায় না।
গ্রুপে ভালো সিদ্ধান্ত নিতে হলে, প্রত্যেক সদস্যকে সকল তথ্য, অপশন সরবরাহ করতে হবে। তারপর তাদের প্রত্যেককে আলাদা আলাদাভাবে প্রাইভেটলি সিদ্ধান্ত নিতে দিতে হবে। এরপর সেই সব সিদ্ধান্ত মিলিয়ে একটা গড়ে আসা যায়।
অর্থাৎ প্রত্যেকের স্বাধীন সিদ্ধান্ত মিলিয়ে সিদ্ধান্তে আসতে হবে। গ্রুপে বসে একজন মত দিচ্ছেন আর সবাই আলাপ আলোচনা করে সেই মতের দিকে আসছেন, এমন হলে তা গ্রুপের মিলিত সিদ্ধান্তের মত মনে হলেও সত্যিকার অর্থে তা হয় না।