ঈদ আসলেই এই হাহাকার দেখা যায়, আগে ঈদ ভালো ছিল, ছোটকালের, এবং তাদের নাকি ঈদ হারাইয়া গেছে।
ফ্রম ইডিওলজিক্যাল পার্সপেক্টিভ, ঈদ এবং এই সংস্লিষ্ট আনন্দ হইল একটা পিওর ফর্ম অব ইডিওলজি। ইডিওলজির যে ক্রিটিক আছে, এর কিছু ধাপ বিচার করলে এমন হয়, মার্ক্স-এঙ্গেলসিয়ান, ফ্রয়েড-আডর্নো-মারকুজা-লাকানিয়ান, লাকান-আলথুসারিয়ান এবং লাকান-জিজেকিয়ান।
আপনে রাস্তা দিয়া যাইতেছেন। পুলিশ ডাক দিল, ঐ দাঁড়া।
আপনে ঘুইরা তাকাইলেন।
ঘুইরা তাকানো মাত্রই কথাটা আপনারে বলা হইল। তার আগ পর্যন্ত এটা আপনারে বলা হয় নাই। ঠাকুর ঘরে কে রে, এর উত্তরে আপনে যখন বললেন আমি কলা খাই না, তখনই প্রথম কথাটি “ঠাকুর ঘরে কে রে” আপনারে বলা হইল। এইটা লাকানিয়ান মিরর স্টেইজের মত, যেখানে মিররে নিজেরে দেখে ইগো ফর্ম হয় বাচ্চার। এই ইগো কী, একটা ইমাজিনারি এবং সিম্বলিক আইডেন্টিটি।
ইডিওলজি এইভাবে ফাংশন করে, আলথুসারিয়ান ইডিওলজির ব্যাখ্যায়।
ঈদের চান দেখা গেছে আজ, অর্থাৎ কাল ঈদ আনন্দ করতে হবে। ঈদের চাঁদ দেখা যায় নাই আজ অর্থাৎ কাল ঈদও নাই, আনন্দও নাই। ফলে আনন্দ ও ঈদ এখানে পিওর ফর্ম অব ইডিওলজি। যেইটা আপনে চাঁদরে দেখা মাত্রই শুরু হয়। তখন আপনারে আনন্দ করতেই হবে। কারণ ঈদ মানে আনন্দ, ইডিওলজিক্যালি।
এই জায়গায় জিজেক আলথুসারিয়ান স্ট্রাকচারে গিয়ে লাকানিয়ান আরেক স্টেইজ, রিয়াল আমদানী করে যে ইডিওলজির ব্যাখ্যা দেন, সেদিকে যাইতে পারি।
মানুষের সাবজেক্টিভ শূন্যতারে পূর্ণতা দেয় হইল ইডিওলজি। তার সাবজেক্টিভ শূন্যতা হইল রিয়াল এর কঠিন সত্য, ধরা যাক পিওর এন্ড সিম্পল বাস্তবতা।
ঈদ এর সময় মানুষ যে বলে ছোটকালের ঈদ ভালো ছিল, তার ঈদ নাই হইয়া গেছে, এটা হইল পিওর এন্ড সিম্পল বাস্তবতা। কারণ ব্যক্তির সাব্জেক্টিভ অভিজ্ঞতা অথবা সাবজেক্টিভ অস্তিত্ব ইডিওলজিরে মাইনা নিতে চায় না এখানে। সে এইটা ফিল করে যে এগুলা এম্পটি, ইন টোটাল। তখন ইডিওলজি “ঈদ ও আনন্দের” সাথে তার “রিয়ালের” ক্ল্যাশ হয়। এটা ধরা যায় এমন কোন সাইন্স ফিকশনের নায়ক বুঝতে পারছে যে তার লাইফটা হইল একটা কম্পুটার সিমুলেশন। একটা এগোনি আসে এইখানে, একটা অস্বস্থি।
তখনই মানুষ হাহাকারময় পোস্ট দেয়।
কিন্তু এতে কি ইডিওলজির কাজ বন্ধ হয়?
না হয় না। কারণ মার্ক্স-এঙ্গেলস ইডিওলজিকে নলেজের সমস্যা মনে করলেও, জিজেক বলেন যে না, এটা একশনের সমস্যা। ফলে, একজন ইডিওলজি বুইঝাও যদি এক্ট করতে থাকে , তাইলে ইডিওলজি ফাংশনাল থাকে।