কাজুও ইশিগুরো যেভাবে গল্প নিয়ে ভাবেন

কাজুও ইশিগুরো

 

কাজুও ইশিগুরো
ছবিঃ কাজুও ইশিগুরো

 

আপনি কী করেন যখন আপনার গল্প নিয়ে ভাবেন?

 

 

– আমি একটি বদ্ধ কক্ষে বসি আর আমার খাতায় লেখতে থাকি চরিত্রগুলির সম্ভাব্য সম্পর্ক ও অবস্থা বিষয়ে। নন ফিকশনের ক্ষেত্রে লেখকদের লেখার আগে অনেক গবেষণা করতে হয়। আমি একইরকম কাজই করি কিন্তু আমার রিসার্চ লাইব্রেরীতে হয় না, হয় আমার মাথার মধ্যে চরিত্রসমূহের কথোপকথনে। আমি আমার মাথায় মানুষেরা, তাদের সম্পর্ক, গল্পের সেটিং এগুলি নিয়ে রিসার্চ করি। ভাবি যে এটা কি বাস্তব পৃথিবী, নাকি বাস্তবতা থেকে কিছু জিনিস সরিয়ে নেয়া হয়েছে এমন, নেয়া হলে তা কীভাবে নেয়া হয়েছে?

 

আপনার কি একদল ভালো চরিত্রের দরকার হয় গল্প এগিয়ে নিতে?

 

– আমি চরিত্র দিয়ে ভাবতাম সাধারণত। তাদের খামখেয়াল বা চরিত্রের অদ্ভূত কোন বৈশিষ্ট্য কীভাবে তৈরী করা যায়। এরপর আমি বুঝতে পারলাম এর পরিবর্তে চরিত্রসমূহের সম্পর্কের দিকে মনযোগ দিলে ভালো হয়, এবং সম্পর্কের পরে চরিত্র সমূহ স্বাভাবিক ভাবেই নিজেদের তৈরী করে নিবে।

 

সম্পর্ক হতে হবে সত্যিকার মানবিক ড্রামা তথা মানব সম্পর্ক। যেসব গল্পে চরিত্র সমুহ থেমে যায় আর বিতর্ক আলোচনায় চলে যায়, এমন ইন্টেলেকচুয়াল থিমের গল্প বিষয়ে আমার সন্দেহ আছে।

 

আমি নিজেকে জিজ্ঞেস করি, একটি আগ্রহউদ্দীপক সম্পর্ক কীরূপ? সম্পর্কটা কি একটা ভ্রমণের মতো? নাকি সাধারণ আদর্শ সম্পর্ক? নাকি ক্লিশে অথবা গভীর কিছু? নাকি স্থির, একটু বেশী বিস্ময়কর? লোকেরা তো সমতল চরিত্র বনাম ত্রিমাত্রিক চরিত্র নিয়ে আলাপ করে, একইভাবে আপনি সম্পর্কদের নিয়েও আলাপ করতে পারেন।

 

রিচার্ড বার্ড ক্রিয়েটিভ রাইটিং মাস্টারক্লাস পেমব্রোকে কাজুও ইশিগুরোকে এনেছিলেন, ২০১৪ সালে। সেখান থেকে।