দ্য পোপ’স এক্সরসিস্ট

দ্য পোপ’স এক্সরসিস্ট ফিল্ম দেখলাম কাল। বাস্তব জীবনের ভ্যাটিকানের এক্সরসিস্ট ফাদার গ্যাব্রিয়েলে আমর্থের উপর ভিত্তি করে নির্মিত।

রাসেল ক্রোর অভিনয় ভালো লাগছে। গল্প নির্মান, হরর ক্লিশে, হররগুলা প্রেডিক্ট করা যায় তাই হররের কিছু হয় নাই। মনে হইল এটারে তারা সিরিজ করবে।

একটা বাচ্চা ছেলেরে শয়তানে ধরে। তখন ভেটিক্যান থেকে আমর্থরে পাঠানো হয়। কারণ এই ডেভিল অনেক ভয়ংকর।

এই শয়তানরে তাড়ানো নিয়াই কাহিনী।

একবার আমর্থ জিজ্ঞেস করে বাচ্চার মারে, বাচ্চার লাইফে কোন বড় ঘটনা আছে কি না, ট্রমা ইত্যাদি।

মা বলে, এক্সিডেন্টে তার বাপ মারা গেছিল। সে ঐ গাড়িতে ছিল। বাপরে মরতে দেখছে। এরপর থেকে আর কথা কয় না এক বছর।

তখন আমর্থ এক ইন্টারেস্টিং কথা বলেন, ট্রমা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর প্রতিক্রিয়ায় লোকে লোনলি ফিল করে, আর মরিয়া হয়ে কানেকশন করতে চায়। সেই জায়গা দিয়াই ডেভিল ঢুকে।

সম্ভবত এটা সত্যিকার ফাদার আমর্থের থিওরি ছিল। তিনি এক্সরসিজম নিয়া অনেক বই লেখছেন, তার থিওরি আছে সেগুলাতে কীভাবে ডেভিল কাজ করে মানুষের উপরে ইত্যাদি। বিশ্বাস অবিশ্বাসের কথা না, কাজটা তার ইন্টারেস্টিং ছিল।

এবং আরেকটা জিনিশ আমি খেয়াল করলাম। তার এই কথাটা একেবারে ফালতু যে, এইরকমও না।

তখন মানুষ কোন ট্রমা পরবর্তী একাকীত্বে থাকে, যেমন কোন রিলেশনশিপ ভাইঙ্গা গেল ধরা যাক, ঠিক পরবর্তী সময়কালে সে এই খারাপ অবস্থারে ট্যাকল দিতে মরিয়া হয়ে কানেকশন খুঁজে, আর তখনই খারাপ লোকদের খপ্পরে পড়ে। এইগুলা তো এক অর্থে ডেভিলই।

সাইকোলজিক্যাল আরও কিছু ব্যাপার আছে এই ফিল্মের, সব বলতে গেলে স্পয়লার হয়ে যাবে। যেমন, ওই ভয়ংকর ডেভিল এক সময় আমর্থ ও তার সাথের ফাদারের লাইফের অপরাধবোধ তাদের সামনে নিয়া আসে, কাবু করতে।

ফিল্মের মূল থিম হইল, Our sins will seek us out.

আমাদের পাপ একসময় আমাদের খাইয়া দিবে।