২৯ টি সাইকোলোজিক্যাল পরামর্শ

১। একদল লোক হাসতে থাকলে এর মধ্যের কোন ব্যক্তি ঐ ব্যক্তির দিকেই তাকাবে যাকে সে সবচাইতে বেশী পছন্দ করে।

 

২। কেউ ধরেন আপনার প্রতি রাগান্বিত হলো, এবং আপনি শান্ত থাকলেন, তখন তারা আরো রাগান্বিত হতে পারে, এবং পরে তার আচরনের জন্য লজ্জ্বিত হবে।

 

৩।  কোন ইন্টারভিউয়ে সময় ইন্টারভিউ স্থলে ২০ মিনিট আগেই পৌছে যান, বিল্ডিং এর সামনের লোকদের সাথে কথাবার্তা বলুন। এতে ব্রেইনকে বোকা বানিয়ে বুঝানো যায় পরিবেশটি আপনার পরিচিত। ফলে মূল ইন্টারভিউয়ের কালে আপনার আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যাবে।

 

৪। বাইস্ট্যান্ডার ইফেক্ট নামে এক বেশ বিতর্কিত ধারণা আছে সাইকোলজির। কোন জন সমাগম যুক্ত জায়গায় কেউ বিপদে পড়লে অন্যেরা সাহায্যে এগিয়ে আসে না, কারণ কে আসবে এটা কেউই ঠিক করতে পারে না। দায়িত্ব ভাগাভাগি হয়ে যায়। এই ধারণা নিয়ে বিতর্ক আছে। তবুও আপনি জন সমাগম যুক্ত স্থানে বিপদে পড়লে একজন ব্যক্তিকে লক্ষ্য করেই সাহায্য চাইতে পারেন, এতে বরং সাহায্য পাবার সম্ভাবনা বেশী। যেমন, “কালো গেঞ্জি পড়া ভাই, ৯১১ তে ফোন করেন প্লিজ” বেশী কার্যকরী “কেউ একজন ৯১১ তে ফোন করুন” এর চাইতে।

 

৫। ফান ট্রিকস, আপনি যদি আস্তে আস্তে কোন গান গাইতে থাকেন দেখবেন রুমের অন্যেরাও কোন কারণ ছাড়াই একই গান গাইতে শুরু করেছে গুণগুণ করে।

 

৬। চারপাশে তাকিয়ে যা আছে তা মনে রাখার চেষ্টা করুন। এরপর চোখ বন্ধ করে তা মনে করার চেষ্টা করুন, কী কী দেখেছেন। চোখ খুলে চেক করে দেখুন কতটুকু পারলেন। এটা স্মৃতিশক্তি ও কল্পনাশক্তি বাড়ানোর ব্যয়াম।

 

৭। আপনি যদি জানেন যে মিটিং এ কেউ আপনার সাথে বাজে ব্যবহার করবে, আপনাকে ধুয়ে দিবে, তাহলে তার পাশে বসার চেষ্টা করুন। পাশে বসলে সে যত বাজে ব্যবহার করার ইচ্ছা করেছিল তা করতে পারবে না। একেবারে পাশে বসা লোকের সাথে বাজে আচরন করা মানুষের জন্য কঠিন। আর তর্ক করার সময় সামনাসামনি বসবেন না বা দাঁড়াবেন না। পাশাপাশি বসুন। তাহলে আর্গুমেন্ট কম হবে।

 

৮। অনেকদিন আগে এক লজ্জাজনক অবস্থায় পড়েছিলেন। একথা ভেবে আপনার এখনো খারাপ লাগে। আপনার মনে হয় সবাই ঘটনাটি মনে রেখেছে। কিন্তু আপনি এবার ভেবে দেখুন অন্যদের এমন ঘটনাগুলি আপনার মনে আছে কি না। খুব সম্ভবত দেখবেন মনে নাই। কারণ সব মানুষই তার নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। ফলে অন্যের এসব ছোটখাট ঘটনা তার মনে রাখার সময় কোথায়।

আমরা সব সময় নিজেকে কেন্দ্রে রেখেই চিন্তা করি। তাই আমাদের মনে হয় আমাদের ঐসব ঘটনা আমরা যেভাবে মনে রেখেছি, অন্যরাও সেভাবে মনে করেছে। কিন্তু এখানে সবাই যেহেতু তাদের নিজেদেরই কেন্দ্রে রেখেছে, তাই আপনার বিষয় তাদের অত মনে থাকবে না।

 

 

৯। আপনি রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন, আর অনুভব করতে পারছেন কেউ আপনাকে অনুসরণ করছে। কিন্তু পেছনে ফিরে তাকালে ধরতে পারছেন না। তাহলে আপনার হাত ঘড়ির দিকে তাকান, যদি দেখা যায় পেছনের লোকটিও তার হাত ঘড়ির দিকে তাকাল আপনার দেখাদেখি তাহলে নিশ্চিত সে আপনাকে ফলো করছে।  আমি থ্রিলারের গন্ধ পাচ্ছি, আপনার নিরাপদ অবস্থানে যাওয়া উচিত।

 

১০। আপনি যদি কাউকে আপনার বলা মিথ্যা বিশ্বাস করাতে চান তাহলে নিজের সম্পর্কে লজ্জাজনক দুই একটি কথা যোগ করে দিন। যেমন, ইস্কুলে আপনি প্রথমদিন গিয়েই বোর্ডে সব কঠিন অংক করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন, এই মিথ্যা আপনি বলতে চান। এর আগে আপনাকে আরো মিথ্যা যোগ করতে হবে যে সেদিন ইস্কুলে যাবার পরে দেখা যায় আপনার প্যান্টের চেইন খোলা। সারা ক্লাস আপনাকে নিয়ে হাসাহাসি করে। এই লজ্জাজনক মিথ্যার কারণে আপনার পরবর্তী মিথ্যাকে সত্য বলে মনে হবে।

 

 

১১। জিমে ১, ২, ৩ এভাবে না গুনে ১০,৯,৮ এভাবে উপর থেকে গুনলে পুরো সেট শেষ করা তুলনামূলক কম কঠিন মনে হবে।

 

 

১২। স্টিফেন কিং বলেছিলেন, ‘এমেচার লেখকেরা বসে অপেক্ষা করে অনুপ্রেরণার জন্য, আর আমরা বাকিরা উঠি এবং কাজ শুরু করে দেই।’ দীর্ঘস্থায়ী লক্ষ্যের জন্য আপনাকে কেবল মোটিভেশন নির্ভর হলে চলবে না। মূল কাজ হতে হবে অভ্যাস তৈরী করা। কারণ মোটিভেশন বদলে যায়, কিন্তু অভ্যাস সহজে বদলে না। নতুন অভ্যাস তৈরীর ৭ টি সূত্র নিয়ে এই লেখাটি পড়তে পারেন।

 

 

১৩। আপনি কিছু বলেছেন বা করেছেন, এজন্য আপনার খারাপ লাগছে। এখন আপনি তৃতীয় পক্ষের দৃষ্টি থেকে ব্যাপারটা দেখুন। এরপর আপনার গ্রামের দৃষ্টিতে, শহরের দৃষ্টিতে, দেশের দৃষ্টিতে, তারপর পুরো দুনিয়ার দৃষ্টিতে। তখন আপনি আপনার সমস্যাটি সম্পর্কে ভিন্ন দৃষ্টি লাভ করতে পারেন। এটা প্রাচীন গ্রীসের স্টোয়িক দার্শনিকদের ভিউ ফ্রম এভাব বা উপর থেকে দেখা পদ্বতি। কার্ল স্যাগানের পেইল ব্লু ডটও এ ব্যাপারে সাহায্য করতে পারে।

 

 

১৪। আপনি কোন দোকানের বা প্রতিষ্ঠানের কাস্টমার সার্ভিসে কাজ করেন। মাঝে মাঝে রাগান্বিত কাস্টমার হ্যান্ডেল করতে হয়। এক্ষেত্রে আপনার ঠিক পেছনে একটা আয়না রেখে দিন। রাগান্বিত কাস্টমাররা এসে কথা বলার সময় আপনার পিছনের আয়নায় নিজের মুখ দেখতে পাবে। তখন তাদের অযৌক্তিক রাগ অনেক কমে যাবে, তারা যৌক্তিক আচরণ করতে চাইবে, কেউ চায় না নিজেকে ঐ অবস্থায় দেখতে।

 

 

১৫। আমরা যা বার বার করি আমরা তাই। এক্সেলেন্স কোন একটা কাজ না, স্বভাব। এটা বলেছিলেন এরিস্টটল। আপনি কোন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অর্জন করতে চাইলে আপনাকে প্রথমে ভাবতে হবে জিনিসটা আপনার ভেতরে আছে। এবং সে অনুযায়ী আচরণ করা শুরু করবেন। যখন আপনার চিন্তা ও কাজ একই রেখায় চলতে থাকবে তখন আত্ম-সম্মান বা সেলফ ইস্টিম বাড়বে।

 

 

১৬।  নিজেকে মারাত্মক দুশ্চিন্তাগ্রস্থ অবস্থায় পেলে প্রশ্ন করুন, এই বিষয়টি ৫ বছর পরেও কি গুরুত্বপূর্ন থাকবে আপনার জন্য? উত্তর হ্যা হলে এর সমাধানে কিছু করুন, উত্তর না হলে, যেতে দিন।

 

 

১৭। মানবজাতির সব সমস্যার মূল হলো, তারা একটি কক্ষে নিরবে শান্তভাবে বসে থাকতে পারে না। ব্লেইজ প্যাসকেলের কথা। মানুষ যদি এক রুমে বসে থাকার ক্ষমতা অর্জন করতে পারে, তাহলে তার অনেক সমস্যাই দূর হয়ে যায়।

 

 

১৮। কোন সম্পর্কে আপনি ১০০ ভাগ নাইস হলে তা সম্পর্কের জন্য ভালো নয়। রিসার্চ মতে ভালো মন্দের অনুপাত ৫ অনুপাত ১ হওয়া বেটার।

 

১৯। ফার্স্ট ডেইটে গেলে সঙ্গীকে নিয়ে যান কোন থ্রিলিং অভিজ্ঞতায়। এতে তার ব্রেইণ মনে করবে বিপদে আপনি তার পার্টনার। ফলে নির্ভরতা বাড়াবে।

 

২০। আপনার মনে রাখতে হবে, আপনার জীবনের কোন ঘটনা আসলে অভারল লাইফের পরিপ্রেক্ষিতে ভালো না খারাপ তা পুরোপুরি বুঝা আপনার পক্ষে অসম্ভব

 

২১। কারো প্রতি ঈর্ষা জাগ্রত হলে ভেবে দেখুন ঐ ব্যক্তি হ্যাপি কি না আপনি কি নিশ্চিতরূপে জানেন, কারণ একজন আনহ্যাপি লোককে ঈর্ষা করার কি কোন মানে হয়? কেউই অন্য কোন ব্যক্তি হ্যাপি কি না, এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারে না। ফলে আপনার ঈর্ষা করার দরকার থাকে না।

 

২২। রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছেন, দেখতে পেলেন কয়েকজন পরিচিত লোক, তারা হেসে আপনাকে আমন্ত্রণ করলো। তখন তাদের পায়ের দিকে লক্ষ্য করুন। যদি কেবল তারা ঘাড় ঘুরিয়ে হেসে থাকে, ও পা না ঘুরিয়ে থাকে তাহলে কোন কথাবার্তার মাঝখানে আছে ও আপনি গেলে বিরক্ত হবে। ফলে না যাওয়াই বেটার। আর পা ঘুরিয়ে থাকলে তারা আসলেই চাচ্ছে আপনি তাদের সাথে যোগ দিন।

 

 

 

২৩। কনস্পিরেসী গর্দভদের সাথে যেভাবে কথা বলতে পারেনঃ

 

 

কেউ যদি এবসার্ড একটি কন্সপিরেসী থিওরী আপনার সামনে উপস্থাপন করে, আপনি বুঝতে পারছেন নিতান্তই গর্দভি কথাবার্তা, তাহলে কী করবেন?

 

আপনি বলতে পারেন, তোমার কথাটি তো দারুণ। কিন্তু আমি ঠিক বুঝতে পারছি না, আরেকটু ব্যাখ্যা করো তো।

 

এই ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সে নিজেই কন্সপিরেসী থিওরীর দূর্বলতায় পড়বে। তখন আপনি আপনার আপত্তি বা প্রশ্নগুলি করতে পারেন। সে তখন আগ্রাসী হয়ে তার গর্দভি থিওরী ঠিক তা বলতে থাকবে না। বরং নরম হয়ে কথা বলবে।

 

 

২৪। লার্নিং

 

 

নতুন কোন জিনিস শিখছেন এবং যদি দেখেন মন দিতে পারছেন না তাহলে নিজেকে বলুন মাত্র ত্রিশ মিনিট (বা আরো কম) আপনি কাজটি করবেন। ত্রিশ মিনিট পরে করা বন্ধ করবেন। এই ট্রিকস কাজে লাগিয়ে ত্রিশ মিনিট করে কয়েকদিন করতে পারলেই ঐ কাজে মন বসতে পারে।

 

 

২৫। অল্প মানে কিছুঃ

 

একেবারে ওয়ার্ক আউট না করা আর দিনে ১৫ টা পুশ আপ দেয়ার মধ্যে পার্থক্য আছে। অল্প মানে কিছু, এবং তা একেবারে না করার চাইতে বেশী। যেকোন কাজেই।

 

 

২৬। তর্ক বিষয়েঃ

 

যখন তর্ক করবেন তখন একটি শক্ত যুক্তি কিন্তু একটি শক্ত যুক্তি + অনেকগুলি দূর্বল যুক্তির চাইতে ভালো এটা মনে রাখবেন।

 

একটি শক্ত যুক্তি > একটি শক্ত যুক্তি + অনেকগুলি বাজে যুক্তি

 

কারণ আপনি যদি শক্ত যুক্তির সাথে দূর্বল যুক্তিগুলি দেন তাহলে সেগুলি অপরপক্ষের টার্গেট হিসেবে বিবেচীত হবে, এবং আপনার পুরা আর্গুমেন্টই দূর্বল বলে মনে হবে।

 

তর্কে যে সব ভুল এড়িয়ে চলবেন

 

 

২৭। অন ক্ষমাঃ

 

ক্ষমার পার্ট তিনটা।

 

এক- স্বীকার করে নেন কিভাবে আপনার কাজ অন্যের ক্ষতি করেছে।

 

দুই – সরি বলেন।

 

তিন – বুঝান যে কীভাবে আপনি ক্ষতি পুষিয়ে নিবেন বা ফিক্স করবেন, বা এটা তার হবে না।

 

কখনোই কেন করেছেন তা ব্যাখ্যা করতে যাবেন না বা অন্য কিছুর উপর দোষ দিবেন না। ব্যাখ্যা করতে গেলে তা আর ক্ষমা চাওয়া হয় না।

 

যেমন, দেরী করে মিটিং এ গেলে বা কারো সাথে দেখা করতে গেলে কেন দেরী হলো বলার চাইতে তাকে দাঁড় করিয়ে রাখার জন্য সরাসরি সরি বলাই বেটার। কেন দেরী হলো বলে সরি বলে আসলে সেটা ঠিক সরি হয় না।

 

 

২৮। আবার তর্ক বিষয়েঃ

 

কোন বক্তব্য বা লেখার বিরোধীতা করতে হলে সবচাইতে ভালো হলো তার সেন্ট্রাল আর্গুমেন্ট বা মূল যুক্তি ভুল প্রমাণ করে দেখানো।

 

সবচাইতে বাজে উপায় হলো বক্তা বা লেখককে ব্যক্তি আক্রমণ করা। এড হোমিনেম, যুক্তির ফ্যালাসি। এতে অপরপক্ষের যুক্তি খন্ডন হয় না।

 

অপর মতের বিরোধীতা করতে হলে অবশ্যই দেখাতে হবে কোন যুক্তিতে ঐ মতটি ভুল, বা কেন ঐ মতটি ভুল।

 

 

২৯। ইতিহাস পড়া বিষয়েঃ

ইতিহাস পড়ার সময়ে আমরা নিজেদের সব সময় নায়কের আসনে বসিয়ে দেখি। ফলে আমাদের এটা মনে হতে থাকে যে আমরা নায়ক। কিন্তু ঐ একই পরিস্থিতিতে আমরা পড়লে হয়ত যারা ভিলেন আছে ইতিহাসে, তাদের দলই বেছে নিতাম।

যেমন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়লে আমরা নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা কল্পণা করে নেই। কখনো ভাবি না আমাদের রাজাকার হবার সম্ভাবনাও থাকতো ঐ পরিস্থিতিতে থাকলে।

কারণ, ঐ পরিস্থিতিতে যারা যুদ্ধ করেছেন, তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন। আর দেশ স্বাধীন হওয়াটা ছিল বিরাট এক কঠিন ব্যাপার।

অন্যদিকে রাজাকারদের অবস্থা ছিল ভালো। তারা আরামেই ছিল, এবং যেহেতু দেশ স্বাধীন হবার সম্ভাবনা ছিল কম তাই তাদের ভবিষ্যতও ভালো হবার কথা ছিল।

নিজেদের নায়ক ভেবে বসে থাকলে আমরা বর্তমানে কী করছি তা বুঝতে পারি না। বর্তমানে হয়ত আমরা আরামদায়ক পথই বেছে নিয়েছি, হয়ত রাজাকারি করছি বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশ ও মানুষের সাথে, কিন্তু আমাদের মনে হচ্ছে আমরা তো নায়ক।

সবচেয়ে বিপদজনক দানব হলো সেই দানব যে নিজেরে মনে করে নায়ক। আনকনশাস মনস্টার।

নিজেদেরকে ইতিহাসের ভিলেনের স্থানে বসিয়ে দেখলে আমরা বুঝতে পারব যে মানব চরিত্রের দূর্বলতা আছে। এই দূর্বলতা আমাদেরও আছে। কেবল মীর জাফর আলি খানই টাকার কাছে, ক্ষমতার আলেয়ার কাছে মাথা নত করেন না। অন্য মানুষদেরও সে সম্ভাবনা আছে। তীব্র ভাবেই আছে। এই সচেতনতাই এর থেকে দূরে থাকার প্রথম ধাপ।