নতুন জন্মানো শিশুকে হত্যা করার ঘটনা পৃথিবীতে অনেক আগেকাল থেকেই চলে আসছে। যদিও আমাদের বর্তমান ‘মানবিক’ ধারণায় আমরা মনে করি শিশুদের হত্যা করা সবচেয়ে জঘন্য, তবুও নবজাতক শিশুহত্যার ইতিহাস দেখলে দেখা যায় সে ইতিহাস বিস্ময়কর। আসলে জীবন ও মৃত্যু বিষয়ে আমাদের যে ধারণা তার পরিবর্তন হয়েছে সময়ের সাথে সাথে। প্রাচীনকালে এমন ছিল না যে সন্তান জন্ম হয়েছে অতএব তাকে লালন পালন করতেই হবে। সাধারণত পিতা সিদ্ধান্ত নিতেন সন্তানটি বেঁচে থাকবে কি না।
সাধারণত বিকলাঙ্গ সন্তানদের হত্যা করা হতো। গ্রীসে ছেলেদের চাইতে কন্যা শিশুদের ভাগ্যে বেশী ছিল হত্যার শিকার হওয়া। বিভিন্ন জায়গায় পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শনে নবজাতকহত্যার নজির পাওয়া গেছে। ১০০ জন, ৯৭ জন এরকম নবজাতক শিশুর দেহাবশেষও একসাথে পাওয়া গেছে কোন কোন জায়গায়, এদের বেশীরভাগই ব্রথেল।
সাধারণত পশ্চিমা বিশ্বে বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্ককে পাপ হিসেবে গণ্য করা হতো। এজন্য যেসব মহিলার বিবাহ বহির্ভূত যৌনাচারের ফলে সন্তান তৈরী হতো এরা সমস্যায় পড়তো। তার হাতে সদ্য জন্মানো শিশুকে হত্যা অথবা ভ্রুন নষ্ট করাই ছিল সহজ উপায়। এছাড়া সঙ্গীকে বিয়ে করতে বাধ্য করা ইত্যাদি তখন খুব সহজ ছিল না। বর্তমান সমাজেও এটি যেহেতু সহজ নয়। আমরা প্রায়ই দেখতে পাই প্রেমিকাদের প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে অনশন করতে, এবং আলোচিত হ্যাপি-রুবেল প্রসঙ্গও এখানে টানা যায়।
নবজাতকদের যেসব কারণে হত্যা করা হতো তা মোটামোটি এরকমঃ
১। দারিদ্রতার জন্য। দারিদ্রতার জন্য সন্তান বেঁচে দেবার মতো ঘটনাও ঘটে থাকে, যেমন শায়েস্তা খাঁ এর আমলে বাংলাতেও এমন ঘটনা ঘটেছিল।
২। বিকলাঙ্গ বা কোন ভয়ংকর রোগগ্রস্থ শিশু জন্মালে। এসব শিশুদের ডাইনি বা অন্যান্য নাম দিয়ে হত্যা করা হত। অর্থাৎ মানব হিসেবে তাদের স্বীকার না করেই হত্যাটি করা হতো, যাতে অপরাধবোধ থাকে না।
এছাড়া নারী নবজাতক শিশুর ক্ষেত্রে এ হত্যার হার বেশী।
৩। কোন দেবতার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ। এক্ষেত্রে সুন্দর সুস্থ শিশুই হত্যা করা হতো।
বেশীরভাগ শিশুর জন্মের সময় হত্যার সিদ্ধান্ত কিন্তু নিয়েছেন তাদের মা’ই, এবং তিনি নিজেই তা কার্যকর করেছেন। শুনতে বিস্ময়কর হলেও এমন হয়ে আসছে।
এবং বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই কোন জঙ্গলে ফেলে রেখে আসা হতো নবজাতক শিশুটিকে। একে কম নির্মম মনে হবার কোন কারণ নেই, কারণ রূপকথার গল্পের মত শিশুটিকে অন্য কেউ খুঁজে পেয়ে বাঁচিয়ে ফেলবে এমন আশা ছিল খুবই ক্ষীণ। এখনকার সময় গাড়ি চলতে থাকা ব্যস্ত রাজপথে নবজাতককে ফেলে আসার মত ছিল তখনকার শ্বাপদপূর্ন জঙ্গলে ফেলে আসাটা।
মানুষ এজন্যই রূপকথার গল্প তৈরী করেছে, এমন সব মানুষের গল্প যাদের বাচ্চাকালে ফেলে দেয়া হয়েছিল কোন কারণে, পরে অন্য কেউ নিয়ে লালন পালন করে, এবং পরে তারা বিশেষ কেউ হয়ে উঠেন। প্রায় সব সমাজেই এই গল্পের প্যাটার্ন পাওয়া যায়। মা’রা এটা ভেবেই স্বান্তনা পেতেন যে হয়ত তাদের শিশুটি বেঁচে থাকবে। তারা দয়া মায়াহীন সাইকোপ্যাথ ছিলেন এমন বলা যায় না। মায়া মমতা তাদের ছিল এখনকার মা’দের মতোই। কিন্তু সমাজ পরিস্থিতি ও ধারণা ভিন্ন ছিল।
ছবিঃ গঙ্গায় নবজাতক শিশুহত্যা
মা’রা এই যে বাচ্চাদের ফেলে রেখে এসে ভাবতেন তারা হয়ত বেঁচে আছে, একে পেইন এভয়ডিং সাইকোলজিক্যাল ডিনায়াল বলা যায়।
জঙ্গলে ফেলে আসা বাদে অন্য সব নবজাতক শিশু হত্যার জন্য মা’রা চাইতেন কম কষ্ঠে সন্তানকে খুন করতে। শ্বাসরুদ্ধ করে ইউরোপে, এবং চীনে পানিতে ডুবিয়ে।
ইউরোপে সময়ের পরিবর্তন হলেও, নানা আইন হলেও এই সদ্যজাতক হত্যা কিন্তু কমানো যায় নি। ১৬-১৭ শতকে এ ধরণের শিশুহত্যার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি রেখে আইন হয়। ইংল্যান্ডে ১৬২৪ সালে একটি আইন হয়, কোন নারী যদি কোন স্বাক্ষী না রেখে প্রসব করেন ও সন্তান মৃত হয় তাহলে তিনি নবজাতক হত্যায় অভিযুক্ত হবেন। ১৬৯০ থেকে ১৭৯৯ সাল পর্যন্ত লন্ডনের অল্ড বেইলিতে নবজাতক শিশুহত্যা নিয়ে ১৯৬ টি ট্রায়াল হয়, এর মধ্যে ৬২ কেইসে অভিযুক্তকে দোষী বলে রায় দেয়া হয়।
এমন আইনও নতুন জন্মানো শিশুদের হত্যা কমাতে পারে নি। এমনকী পাথর নিঃক্ষেপ করার শাস্তি দিয়েও এ ধরণের শিশুহত্যা কমানো সম্ভব হয় নি।
কমিয়েছে কনডম। কনডম ব্যবহার শুরুর পরেই নবজাতক শিশু হত্যা কমেছে।
প্রাচীন ভারতেও সদ্যজাতক প্রচলিত ছিল, প্রচলিত ছিল শিশু উৎসর্গের প্রথা। উনিশ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত হিন্দুদের মধ্যে প্রচলিত ছিল নবজাতক হত্যা। মোঘলরা এটি বন্ধ করার চেষ্টা করেন কিন্তু সফল হন নি। উনিশ শতকের প্রথম দিকে এর বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন শুরু হয়। জোরালো বক্তব্য দিয়ে এ প্রথার বিরোধীতা করেছিলেন রাজা রামমোহন রায়। ইংরেজরা এটি বন্ধ করার চেষ্টা চালান, এর বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন করেন উইলিয়াম বেণ্টিঙ্ক।
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম ক্রাইম কাহিনী হিসেবে খ্যাত বাঁকাউল্লার দপ্তরে একটি আগ্রহউদ্দীপক ক্রাইমের পরিচয় মিলে যেখানে সদ্যজাত শিশু হত্যার বিরুদ্ধে ব্রিটিশ সরকারের অবস্থান স্পষ্ট হয়। এই বইটি কখন প্রথম প্রকাশিত হয় তা নিশ্চিতরূপে জানা না গেলেও ধারণা করা হয় উনবিংশ শতাব্দীর ত্রিশের দশকের শেষদিক বা চল্লিশের দশক ছিল এসব কাহিনীর সময়কাল বলে মনে করা হয়।
এই বইয়ের একটি কাহিনী, রায়মহাশয় শুরু হয়েছে এভাবে,
‘-জেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের জমিদার রামতাড়ণ বাবুর বিধবা ভগ্নী সৌদামিনী গর্ভপাত করিয়াছে-রামতাড়ণ বাবু স্বয়ং বিশ্বাসী ভৃত্য শ্রীদাম ঘোষকে সঙ্গে লইয়া সেই সাতমেসে গর্ভভ্রুণ অন্দরের পুকুরপাড়ে তেঁতুলতলায় গাড়িয়া ফেলিয়াছেন। দুইজন জেলে, বাবুর হুকুমমত অন্দরপুকুরে মাছ ধরিতে গিয়াছিল, সৌদামিনী তখন স্নান করিতেছিল; জেলেরা সৌদামিনীকে পূর্ণগর্ভা দেখিয়াছে। কাওরা হরিশের স্ত্রী, বাবুর বাড়ির বাঁধা ধাই, প্রকাশের ভয়ে তাহাকে না ডাকিয়া, তারাপুরের রূপচাঁদ হাড়ির স্ত্রীকে আনিয়া সূতিকার্য করিয়াছে। প্রসব হইবার পর ছেলেটি একবার কাঁদিয়া উঠিয়াছিল। দ্বারিক চৌকিদার সেই সময় বাবুর বাড়ির অন্দরের দিকে চৌকি দিতে গিয়াছিল, সে কান্নার শব্দ পাইয়াছিল। পুলিশ তদন্তে আসিলে সকলই বিধিত হইবেন।’ এই পত্রখানি এক ব্যক্তি ‘অস্পষ্ট দাস’ এই নাম স্বাক্ষর করিরা পুলিশের বড় সাহেবের কাছে পাঠাইয়াছে। সাহেবের বিশ্বাস হইয়াছে। এইরূপ কলঙ্কজনক ব্যাপার গোপন করা যে জমিদার লোকের পক্ষে অসম্ভব নয়, সাহেব একথা বিশ্বাস করিয়াছেন। কাজটা বড়ই গর্হিত; সংবাদদাতা জমিদারের ভয়ে নিজের নাম পর্যন্ত লিখিতে সাহস করে নাই। স্থানীয় পুলিশকে কেবল সহায়তার ভার দিয়া এ মকর্দমার তদন্তভার আমার উপরই পড়িয়াছে।
এ কাহিনী থেকে বুঝা যাচ্ছে তৎকালীন পুলিশ এ ধরণের কেইসকে গুরুত্বের সাথেই নিতেন।
কিন্তু নবজাতক শিশু হত্যার নৈতিকতা আছে কি?
হুমায়ূন আহমেদের একটি গল্পের নাম সে। এই গল্পে এক ভদ্রমহিলা এমন একটি সন্তান প্রসব করেন যা একটি মাংসপিন্ড। ভেতর থেকে শুঁড় বেরিয়ে আসছে। এবং তার টানা টানা দুই চোখ। গল্পে আছেঃ
“কুৎসিত কদাকার একটা কিছু যার দিকে তাকান যায় না। এ আর যাই হোক মানবশিশু নয়। চেনা-জানা পৃথিবীর সঙ্গে তার কোন যোগ নেই। ঘন কৃষ্ণবর্ণের একতাল মাংসপিণ্ড। এর থেকে হাতীর শুঁড়ের মত আট-দশটি শুঁড় বেরিয়ে এসেছে। শুঁড়গুলি বড় হচ্ছে এবং ছোট হচ্ছে। তালে তালে মাংসপিণ্ডটিও বড়-ছোট হচ্ছে। মানবশিশুর সঙ্গে এর একটিমাত্র মিল- এই জিনিসটিরও দু’টি বড় বড় চোখ আছে। চোখ দুটি ঘুরিয়ে সে দেখছে চারদিকের পৃথিবী। চোখ দু’টি সুন্দর। কাজল টানা।”
এই সন্তান ভূমিষ্ট হবার পর ডাক্তারেরা একে খুন করে ফেলেন। হুমায়ূন আহমেদ গল্পটি এমনভাবে বলেছেন যে পাঠকের ঐ বস্তুটির প্রতি মায়া জন্মে।
কিন্তু কথা হলো, কাজটি নৈতিক হলো কি না?
জোনাথান গ্লোবাল, জেমস রাচেল, এবং পিটার সিংগারের মতো দার্শনিকেরা এমন সব হত্যা ঠিক না বেঠিক এর কিছু নৈতিক ভিত্তি চান বিচার করার জন্য। তাদের কথা হলো মানব জাতি নিজে মানব জাতির অংশ হয়ে বলতে পারে না যে কোন মানবসন্তানকে হত্যা করা বেঠিক। এর জন্য তাদের কিছু নৈতিক ভিত্তি বিচারে নিতে হবে, হত্যা ঠিক না বেঠিক তা বিচারের জন্য।
প্রথমত হলো, এর সুখ এবং দুঃখ অনুভব করার ক্ষমতা আছে কি না।
দ্বিতীয়ত, তার নিজের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা আছে কি না, সেই অটোনমি তার আছে কি না। এই কারণে একজন সুস্থ চিন্তাসক্ষম এডাল্ট লোককে খুন করা নৈতিক ভাবে ভুল হয়, কারণ এর মাধ্যমে তার অটোনমিকে খুন করা হয়। এই অটোনমি বলতে নিজের জীবন সে রাখবে কি না সে সিদ্ধান্তও বুঝায়। এখানে কেবল সুখ ও দুঃখের অনুভূতি যুক্ত কেউ আর সুখ দুঃখের অনুভূতি এবং অটোনমি সহ কেউ এই দুইজনের মধ্যে দ্বিতীয় জনকে হত্যা বেশী মারাত্মক। এই যুক্তিতে একজন বুদ্ধিক্ষমতাহীন মানুষ ও এক সুস্থ শিম্পাঞ্জির মধ্যে শিম্পাঞ্জিকে হত্যা করা নৈতিক ভাবে বেশী খারাপ।
পিটার সিংগার আবার বলেন অতীত ও ভবিষ্যতকে বুঝতে পারে কি না সে স্বত্তা এটাও বিবেচনায় নিতে হবে। রাচেল বলেন স্বত্তাটি বায়োলজিক্যাল জীবন যাপন করছে না বায়োগ্রাফিক্যাল জীবন যাপন করছে তাও দেখতে হবে। দু’টো কথাই আসলে প্রায় একই কথা।
এইসব যুক্তি সামনে এনে তারা ভয়ানক ভাবে রোগগ্রস্ত, বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে অক্ষম শিশুকে হত্যার পক্ষেই তাদের মত দেন। প্রতি বছর নেদারল্যান্ডসে প্রতি ১০০০ শিশু মৃত্যুর মধ্যে ৬০০ই হয় পিতা মাতার সিদ্ধান্তে।
সেই হিসেবে হুমায়ূন আহমেদের গল্পে ঐ বস্তুটিকে ডাক্তারদের খুন করাটা ঠিক আছে।
কিন্তু, এখানে সমস্যাটি হলো, জন্ম নেয়া শিশুটির মায়ের কাছ থেকে বা অন্যান্যদের কাছ থেকে তারা কোন অনুমতি নেন নি।
এবং গল্পে আমরা জেনে থাকি যে শিশুটির মা সব সময় এই ভয় করতেন যে তার বাচ্চাটিকে মেরে ফেলা হবে। তিনি একজন ডাক্তারকে তাই প্রতিজ্ঞা করিয়ে নিয়েছিলেন যেন তার বাচ্চাকে না খুন করা হয়। এখানে যদিও মাতৃমমতা ইত্যাদি দেখানো হয়েছে, কিন্তু শিশু হত্যার ইতিহাস বলে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে মা’রাই সিদ্ধান্ত নিতেন। এই গল্পের ক্ষেত্রেও মা শিশুটিকে দেখলে কী সিদ্ধান্ত নিতেন বলা কঠিন, যেহেতু সন্তানটি মানুষ ছিল না, ছিল কদাকার এক প্রাণী।
এই জন্মানো শিশুটির বাবা ও অন্যান্যরা একে খুন করতেই বলতেন, খুব সম্ভবত।
কিন্তু এই মা অথবা বাবা বা অন্যান্যদের কাছ থেকে অনুমতি না নেয়াটা ডাক্তারদের শিশু হত্যাটিকে জটিল করে তুলে, ও এর নৈতিক বৈধতাকে আঘাত করে। এবং তা মারাত্মক অপেশাধারী আচরনও বলা যায়।
রেফারেন্সঃ
Sandra Newman, ‘Infanticide’, Aeon.co, (Nov., 2017)
Laura Gowing, ‘Secret Births and Infanticide in Seventeenth-Century England’, Past & Present, 156 (Aug., 1997), 87-115.
Anne Marie Kilday, A History of Infanticide in Britain, c.1600 to the Present (Basingstoke: Macmillan, 2013).
William David Myers, Death and a Maiden: Infanticide and the Tragical History of Grethe Schmidt (DeKalb: Northern Illinois University Press, 2011).
Dana Rabin, ‘Bodies of Evidence, States of Mind: Infanticide, Emotion and Sensibility in Eighteenth-Century England’, in Infanticide: Historical Perspectives on Child Murder and Concealment, 1550-2000, edited by Mark Jackson (Aldershot: Ashgate, 2002) pp. 73-92.
সিরাজুল ইসলাম, শিশুহত্যা, (বাংলাপিডিয়া, মার্চ ২০১৫)।
সম্পাদনাঃ প্রসেনজিত দাশগুপ্ত এবং সৌম্যেন পাল, বাঁকাউল্লা’র দপ্তর, চর্চাপদ, (জানুয়ারী ২০১৩) ৯-১০, ৬৫-৬৬।
হুমায়ূন আহমেদ, গল্পঃ সে, গল্প সমগ্র, কাকলী প্রকাশনী, অষ্টম মুদ্রণ, পৃঃ ৬৮।
Jonathan Glover, Causing Death and Saving Lives (Harmondsworth, 1977).
James Rachels, The End of Life (Oxford, 1986).
Peter Singer, Practical Ethics, 2nd edn. (Cambridge, 1993), chs. 4-6.
Peter Singer, Killing, In Ted Honderich (ed.), The Oxford Companion to Philosophy, (Oxford, 1995), 445-446.