মুরাদুল ইসলাম » ব্লগ » ওয়েব থ্রি, ক্রিপ্টোকারেন্সি ও ব্লকচেইন 

ওয়েব থ্রি, ক্রিপ্টোকারেন্সি ও ব্লকচেইন 

ক্রিপ্টো ও ব্লকচেইন নিয়ে আলাপ ওয়েব বিষয়ক আলাপ থেকে শুরু করলে ভালো। ওয়েব ওয়ান, ওয়েব টু এর পরে ওয়েব থ্রি এর কথা শোনা যাচ্ছে। ক্রিপ্টো ও ব্লকচেইন প্রযুক্তি ওয়েব থ্রিয়ের বাসিন্দা। 

ওয়েব ওয়ান ধরতে পারেন এটা একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ের ইন্টারনেট। সেইখানে ফিক্সড কিছু তথ্য মানুষ গ্রহণ করতে পারতেন। যেমন একটা বইয়ে থাকে। ওইখানে বইটা কেবল কম্পুটারের স্ক্রিনে ছিল, এবং ওয়েবসাইটে। সাইটগুলা বেসিক এইচটিএমেলে ছিল। 

১৯৯৯ সালে ওয়েব টু টার্মটা ব্যবহার হয়। যখন থেকে ওয়েবসাইটগুলা একটু ইন্টারেক্টিভ হতে শুরু করল, বিশেষত যখন কেবল পড়ায় সীমাবদ্ধ থাকল না ইন্টারনেট, ইউজাররা লেখতে পারার সুযোগ পাইলেন, তখন থেকে ওয়েব টু এর যাত্রা। 

পরে ফেসবুক টুইটার জাতীয় ওয়েবসাইট আসল, যেখানে ইউজাররা নিয়মিত লেখতে পারেন, মন্তব্য করতে পারেন। এই ওয়েব টু জেনারেশনেই গুগল ফেসবুক এমাজন জাতীয় কোম্পানিরা জায়ান্ট হয়ে গেলেন, নতুন এই প্রযুক্তিগত উন্নয়নের কাঁধে চেপে। 

এনারা, মানে এই বড় কোম্পানিরা হচ্ছেন কেন্দ্রীভূত পাওয়ার। উনারা ইউজারদের ফ্রিতে সাইট ইউজ করতে দেন। বিনিময়ে ইউজারদের তথ্য নিয়ে নেন, প্রাইভেসি নিয়ে নেন ও সেগুলা বিক্রি করেন। 

ইউজারের কনসেন্ট ভুংভাং হিশাবে অনেক ক্ষেত্রে নেয়া হয়, বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই নেয়া হয় না। ইউজারেরা লাভের ভাগও পান না। 

এইটা আমাদের কাছে স্বাভাবিক লাগে। যেমন ওয়েব ওয়ানের সময় কেবল লেখা পড়ার সাইটই স্বাভাবিক লাগত। 

কিন্তু প্রযুক্তি থেমে থাকার জিনিশ নন। 

তিনি আরেকটা লাফ দিচ্ছেন। যেটাকে বলা হচ্ছে ওয়েব থ্রি। সেই ওয়েব থ্রি ব্লকচেইন প্রযুক্তির উপরে নির্মিত। 

ওয়েব থ্রি প্রযুক্তিগত ফাংশনালিটির হিশাবে ওয়েব টু এর চাইতে বেটার। এবং এইখানে ইন্টারনেট হবে বিকেন্দ্রিকৃত, অর্থাৎ কোন একক কোম্পানি বা ব্যক্তি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। নিয়ন্ত্রণ করবে কম্যুনিটি তথা ইউজার। কম্যুনিটি সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিবেন। 

ওয়েব ওয়ান যে স্বপ্ন নিয়া শুরু হইছিল, কেন্দ্রের ক্ষমতা থেকে মুক্তি, ইউজারদের বা কম্যুনিটির হাতে ক্ষমতার বণ্টন, সেই আদর্শগুলি বাস্তবায়ন করবে ওয়েব থ্রি, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে। আদর্শ এটাই। মাঝখানের ওয়েব টুর কালকে আমরা দুঃস্বপ্নের কাল বলতে পারি, যেখানে স্বপ্নটা চুরি করে নিয়ে গেছিলেন অনেকে। 

কিভাবে ওয়েব থ্রি এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবেন, তা বুঝতে এর মূল দুই ধারণা বিকেন্দ্রীকরণ ও বিশ্বাসের দিকে যাই। 

ধরা যাক ফেসবুক, আপনি আমি ইউজ করি। এখানে নিয়ন্ত্রণ ফেসবুকের হাতে, আমাদের সব ডেটার, কর্মকাণ্ড বিবরণীর, এবং যেকোন টাইমে তারা বন্ধও করতে পারে। আমাদের ব্যান করতে পারে, ইত্যাদি। মানে ঐটা পরের জায়গা পরের জমি, আমরা ঘর বানাইয়া রই, ফলে অবশ্যই আমরা ঘরের মালিক নই। 

ওয়েব থ্রিতে, সব ফাংশন থাকবে ফেসবুকের, খালি নিয়ন্ত্রণ থাকবেনা একক কারো, কেউ আমাদের ডেটা তাদের কাছে রাখবে না। জায়গা আমাদেরই হবে, আমরা যারা ইউজার সবার। ওই বিকেন্দ্রিকৃত কম্পুটিং নেটওয়ার্কের মালিক নেটওয়ার্কের সবাই। ফলে কাউরে বিশ্বাস করারও কিছু নাই, সে আমাদের ডেটা নিয়া কী করবে ইত্যাদি। 

আরও ভাবেন এমাজনের কথা। ওইখানে লোকেরা পণ্য লিস্ট করেন ও কিনেন। এই কেনাবেচায় এমাজন কতভাবে লাভ করে। ওয়েব থ্রিতে সব থাকবে, কিন্তু মালিক হবেন নেটওয়ার্কের সবাই। ফলে এককভাবে কারো কোন পাওয়ার থাকবে না। বেচাকেনার প্রসেস হবে স্মার্ট কন্ট্রাক্ট এর মাধ্যমে। পণ্য ঠিকঠাক পৌঁছাইলে, কন্ট্রাক্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্রেতার টাকা বিক্রেতাকে দিয়ে দিবে, আলাদা অথরিটি লাগবে না। 

কিন্তু এটা কীভাবে সম্ভব হবে, যেইখানে সবাই নিয়ন্ত্রণ করবে একসাথে মিলে, যেখানে আমরা শুনেছি কার্ল মার্ক্স নিজে একবার কম্যুনিটি করে থাকতে চাইছিলেন তার ফ্যামিলি ও বন্ধুদের নিয়া, পারেন নাই। 

যথাযথ এই প্রশ্নের উত্তরে, ধরা যাক আমি একটা ডিসেন্ট্রালাইজড পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক আনলাম। আমি সবাইরে বললাম, আপনারা এর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ কিনতে পারবেন। এইভাবে আমরা মালিকানা বিস্তারিত করে ফেলব। কারো একক মালিকানা থাকবে না। আমরা যেকোন সিদ্ধান্ত নিব এক ধরণের ভোটাভোটির মাধ্যমে। 

এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র একেকটা অংশের নাম দিলাম টোকেন। 

এখন আমাদের এই এক্স নেটয়ার্কের উপরে ডেভলাপাররা নানা ধরণের এপ বানাতে পারবেন। যেমন একজন বানালেন ডেটিং এপ। তিনি তার ডেটিং এপের ভেতরেও টোকেন চালু করতে পারেন, সেটা হবে ভিন্ন ধরণের টোকেন। ওই টোকেন ব্যবহার করে তার এপের ভেতরে ইউজারেরা নানাবিদ সুবিধা পাবেন।  

এই সকল ধরণের টোকেনগুলার আরেক নাম ক্রিপ্টো এসেট বা ক্রিপ্টোকারেন্সি। যেহেতু সব প্ল্যাটফর্ম এক না, তাই সব টোকেনও এক না। 

কিছু ডিসেন্ট্রালাইজড প্লাটফর্ম অর্থনৈতিক সামাজিক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধান করতে চাচ্ছে, কিছু প্লাটফর্ম ফান করে বানানো, কিছু নিছক ধান্দা করতে। 

সহজে ধরেন, ব্লকচেইন হচ্ছে এক বিশেষ ধরণের কম্পুটার, যার কোন একক মালিক নেই। যেমন ইথেরিয়াম। 

ইথেরিয়ামের ন্যাটিভ কয়েন বা টোকেন হচ্ছে ইথার। যা কিনে আপনিও ইথেরিয়াম কম্পুটারের একজন সম্মানিত মালিক হতে পারবেন। 

যারা এই বিশেষ সম্মিলিত কম্পুটার ব্যবস্থা চালু রাখতে অংশ নেন (মাইনিং) , তাদের লাভও দেয়া হয় এই ইথার কয়েনে। 

এবং এই ইথার দিয়ে ইথেরিয়াম ব্যবস্থায় কেনাবেচাও করা যায়। 

এখন ধরেন আমি ইথেরিয়াম ব্যবস্থায় একটা গেইম বানাইলাম, বাংলাদেশ নামে। সেইখানে বাংলাদেশরে অনেক ভাগে ভাগ করলাম। একেকটা ভাগ নন ফাঞ্জিবল টোকেন বা এনএফটি হিশাবে কেউ ক্রয় করতে পারবেন। তিনি কিনলে এটা পাবলিক ব্লকচেইনে রেকর্ড থাকবে উনি কিনেছেন। তিনি না বেচলে আজীবনের জন্য এই মালিকানা তার। পাবলিকলি ভেরিফাই করা যাবে। 

আমি আমার গেইমে কিছু কয়েন বানাইলাম, বাংলা নামে। এই কয়েন আবার আমার গেইমের ন্যাটিভ কয়েন। এগুলি যার থাকবে তারা ডিসিশন মেকিং এ অংশ নিতে পারবেন, এবং এই কয়েন দিয়ে গেইমে জায়গা কিনা যাবে। 

ধরা যাউক, আপনারা সবাই আমার গেইমে যোগ দিলেন। গেইমের বাংলা কয়েন কিনলেন ইথেরিয়াম দিয়ে। এরপর গেইমের বাংলাদেশ থেকে জায়গা কিনলেন। ওই জায়গাগুলা আপনাদেরই থাকবে। আমার গেইমের ফাংশনালিটি যদি এমন হয়, ভার্চুয়াল বাস্তবতা, আপনি ওইখানে গিয়ে নানা কিছু করতে পারবেন, যেমন, বইয়ের দোকান দিতে পারবেন। যেহেতু অন্যরাও গেইমে আছেন, তারা আপনার দোকান দেখবেন।

আমি আগেই ধরেন সিদ্ধান্ত নিছিলাম, পাঁচ বছর পর আমি সরে যাব। পাঁচ বছরে গেইম যখন গ্রো করল অনেক, আমি পুরা সরে গেলাম ডাওতে নিয়ন্ত্রণ দিয়ে। গেইম এখন পুরা ডিসেন্ট্রালাইজড, চলবে ডিসেন্ট্রালাইজড অটোনমাস সংস্থায়। 

একেবারে সহজ স্বাভাবিক ভাবে এইসব ব্যাখ্যা। যথাসম্ভব টেকনিক্যাল টার্ম বর্জন করে। সহজ ব্যাখ্যায় সকল ধরণের ফাংশনালিটি ধরা যায় নি। কিন্তু বেসিক ধারণা দেয়া সম্ভব হয়েছে। 

একেক প্লাটফর্ম একেক ধরণের কাজ করতে যাচ্ছে, তাই সব প্লাটফর্মের ভ্যালু এক না, তাদের ক্রিপ্টো এসেট তথা কয়েনের ভ্যালুও এক না। 

এককথায় কিছু মেজর ব্লকচেইন প্রজেক্ট কী করতে চাচ্ছে তা বুঝা যাক। 

বিটকয়েন – এখন পর্যন্ত কিং অব ক্রিপ্টো। টাকার বিকল্প হতে চাচ্ছে। টাকা কিছু সংস্থার নিয়ন্ত্রণে থাকা একটা জিনিশ। বিটকয়েন ফাইনানশিয়াল আদান প্রদানকে নিয়ন্ত্রণহীন করতে চাচ্ছে বা পেরেছে। সাতোশি নাকামটো নামের বা ছদ্মনামের কেউ একজন/বা কোন টিম এটি তৈরি করেন।  

ইথেরিয়াম – বিটকয়েন কেবল এক টাকা বিষয়ক সমস্যা সমাধান করার দিকে না। ইথেরিয়াম বিটকয়েনের এই সীমাবদ্বতার জায়গায় কাজ করছে। তারা এক বিকেন্দ্রিকৃত কম্পুটার হতে চাচ্ছে, যার উপরে সবাই বিকেন্দ্রিকৃত এপ্লিকেশন বানাতে পারবে। স্মার্ট কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে তারা কোন মধ্যস্বত্ত্বভোগী ছাড়া আদান প্রদান নিশ্চিত করতে চাচ্ছে, প্রযুক্তি/কোড ব্যবহার করে। এর ফাউন্ডার ভিটালিক বিউটেরিন। ক্রিপ্টোর দুনিয়ায় ভিটালিক গুরুত্বপূর্ন একজন। 

কারদানো – বেশি কার্যকর, কম খরচের ইথেরিয়াম হবার চেষ্টা করছে। এর ন্যাটিভ কয়েন এডা। মহিলা গণিতবিদ এডা লাভলেইস, কবি লর্ড বায়রনের মেয়ে, তার নামানুসারে এই নাম। চার্লস হসকিন্সন এর ফাউন্ডার, যিনি আগে ছয়মাস ইথেরিয়ামে কাজ করেছিলেন।  চার্লস নিয়মিত তার ইউটিউব চ্যানেলে কারদানো ফাউন্ডেশনের কাজ ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আলাপ করেন। 

থেটার – ডলার মূল্যমানের কয়েন। জমা থাকা ডলারের অনুপাতে এটি বানানো বলা হয়ে থাকে। যদিও এ নিয়ে বিতর্ক বিদ্যমান। ইউ এস ডিসি এইরকম আরেকটা ইউ এস ডলার বেকড স্টেবল কয়েন। ডিজিএক্স গোল্ড বেকড স্টেবল কয়েন। 

পলকাডট – ওপেন সোর্সড প্রটোকল যারা ব্লকচেইন ভিত্তিক প্লাটফর্মগুলাকে সংযুক্ত করে একসাথে কাজ করার উপায় বের করছে।

লাইটকয়েন – অপেক্ষাকৃত দ্রুত আদান প্রদান, এবং কম ফি ভিত্তিক বিটকয়েন। 

আভে – বিকেন্দ্রিকৃত ব্যাংক, যেখানে টাকা যারা জমা করবে, তারাই সুদ/ফি পুরাটা পাবে। 

ইউনিসোয়াপ – স্টক বা ক্রিপ্টো এক্সেঞ্জগুলা হয় মিডলম্যান। ক্রেতা কিনতে চান, বিক্রেতা বিক্রি করতে চান, তারা মিলিয়ে দেয়, বিনিময়ে কমিশন পায়। ইউনিসোয়াপ হচ্ছে, যেখানে ক্রেতা বিক্রেতার আদান প্রদান মিডলম্যান ছাড়াই হয়। 

কসমস – কিছু ব্লকচেইন প্লাটফর্ম মিলে ব্লকচেইনের একটা ইন্টারনেট করার চেষ্টা করছে। 

থেটা – বিকেন্দ্রিকৃত ভিডিও ডেলিভারি নেটওয়ার্ক। 

তেজোস – আরেকটি ব্লকচেইন স্মার্ট কন্ট্রাক্ট প্লাটফর্ম, তারা বেশি ইকো ফ্রেন্ডলি। বেশি এনার্জি লাগে, ফলে পরিবেশ দূষণ হয়, এটা ব্লকচেইনের বিরুদ্ধে বিশেষত মেইন প্লেয়ার বিটকয়েন ও ইথেরিয়ামের বিরুদ্ধে একটা মেজর সমালোচনা। 

ফাইলকয়েন – বিকেন্দ্রিকৃত ফাইল স্টোরেজ ব্যবস্থা। 

এভাল্যাঞ্চ – বিকেন্দ্রিকৃত গ্লোবাল এসেট বেচাকেনার প্লাটফর্ম হতে চাচ্ছে। যে কেউ বেচাকেনা করতে পারবে, স্মার্ট কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে। 

ডিসেন্ট্রাল্যান্ড – ইথেরিয়াম ব্লকচেইনে নির্মিত ভার্চুয়াল রিয়ালিটি গেইম। এর ন্যাটিভ টোকেন মানা। 

ডজকয়েন – ফান করে বানানো কয়েন, কিন্তু পরে জনপ্রিয়তা পায় মিম কয়েন হিশাবে। 

শিবা ইনু কয়েন – মিম কয়েন, ডজকয়েনের সাফল্য দেখে বানানো, ডজ কয়েন কিলার হিশাবে পরিচিত। তারা বলছে, এটি বিকেন্দ্রিকৃত কম্যুনিটি বিল্ডিং এর এক্সপেরিমেন্ট। 

সোলানা – ইথেরিয়ামের প্রতিদ্বন্ধী ব্লকচেইন প্লাটফর্ম, ইথেরিয়ামের চাইতে দ্রুত। 

আইসিপি – পৃথিবীর নানা প্রান্তের স্বাধীন ডেটা সেন্টার সংযুক্ত করে একটা ক্লাউড সিস্টেম – বিকেন্দ্রিকৃত ইন্টারনেট ও গ্লোবাল কম্পুটিং সিস্টেম তৈরি করতে কাজ করছে। 

এইরকম নানা ধরণের উদ্যোগ শুরু হয়েছে, চলছে। এদের বেশীরভাগেই ব্যর্থ হবে। উদ্যোগ ব্যর্থ হলে এর ন্যাটিভ কয়েনও ব্যর্থ। যেমন কারদানো ফেইল করলে এডাও ফেইল। 

ক্রিপ্টো এসেটকে তাই তারা কী করতে চাচ্ছে, এর পটেনশিয়াল ক্যামন, এটা করার সামর্থ্য, ম্যানেজমেন্ট, টাকা তাদের আছে কি না, ইত্যাদি দেখে বুঝতে হবে। 

আবার সব প্লাটফর্ম একইরকম না, কেউ পুরা বিকেন্দ্রিকৃত, কেউ আংশিক, কেউ আবার সেন্ট্রালাইজড। 

ক্রিপ্টো এসেটের মার্কেট দাম সব সময় ভেতরের প্রযুক্তির বিচারে হয় না, যেহেতু মার্কেটের দাম আরও অনেক জিনিশের উপর নির্ভর করে। যার অনেকটা জুড়ে আছে ক্রেতাদের সাইকোলজি, বড় বড় ক্রেতাদের বেচা কেনা। যেমন মার্কেট ক্যাপে সবচাইতে দামী দুইটা কয়েন ডজকয়েন ও শিবাইনুকয়েন, দুইটাই মিম কয়েন। এদের ভেতরের কোন ভ্যালু নাই, দাম বেড়েছে মানুষের আগ্রহের কারণে। 

1 thought on “ওয়েব থ্রি, ক্রিপ্টোকারেন্সি ও ব্লকচেইন ”

  1. বিটকয়েন ও ব্লকচেইন গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনছে। কিন্তু এর কম্পিউটিং ও মাইনিং ব্যবস্থা নাকি প্রচুর শক্তির প্রয়োজন করে। যখন সারাবিশ্বে এর ব্যাপক ব্যবহার হবে তখন কি পরিবেশে মারত্মক প্রভাব ফেলবে না?

Leave a Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

×
গুরুত্বপূর্ণ
Scroll to Top
বই মডেলিং