আর্ট কেন দরকারী

এপ্রিল ১৭, ১৯৬৯। নিক্সন তার ফার্স্ট টার্ম ক্ষমতার তিনমাসে। ভিয়েতনাম যুদ্ধ চলছে। ২৫০ মিলিয়ন ডলার তখন অনেক টাকা। ফার্মি ল্যাব নির্মানের জন্য এ টাকা চাওয়ার পরে তাই প্রশ্ন উঠল। যারা খেতে পারছে না তাদের খাদ্য দেয়া হোক, যারা বস্ত্রহীন তাদের বস্ত্র দেয়া হোক; কারণ ছাড়াই এমন অর্থ ব্যয় কেন হবে; এমন সব প্রশ্ন উঠেছিল।

বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি গবেষণার জন্য, এই টাকা দেয়া যৌক্তিক কি না তা নিয়ে তদন্ত বসল।

যারা এর প্রস্তাব করেছিলেন, তাদের কথা এটি হবে পৃথিবীর সবচাইতে বড় এটম স্ম্যাশার।

সিনেটর প্যাস্টরের উপর দায়িত্ব পড়ল তদন্তের। তিনি একপর্যায়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন বিজ্ঞানী, শিল্পী ও আর্কিটেক্ট ডক্টর উইলসনকে।

সিনেটর প্যাস্টরঃ আপনারা যে এক্সিলারেটর বানাতে চাচ্ছেন তাতে সেনাবাহিনীর কোন উপকার হবে কি?

ডক্টর উইলসনঃ না স্যার। কোন উপকারে লাগবে না।

সিনেটর প্যাস্টরঃ সেনাবাহিনীর কিছুতেই লাগবে না?

ডক্টর উইলসনঃ কিছুতেই না স্যার।

সিনেটর প্যাস্টরঃ তাহলে রাশার সাথে আমাদের প্রতিযোগীতায় এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে কি এই প্রজেক্ট?

ডক্টর উইলসনঃ কেবলমাত্র বড় সময় পরিসরে নিয়ে যেতে পারে, প্রযুক্তিগত উন্নয়নে। অন্যথায় রাশার সাথে প্রতিযোগীতায়  এগিয়ে যেতে আমাদের দেখতে হবেঃ আমরা কি ওদের চাইতে ভালো ছবি আঁকি, আমরা কি ওদের চাইতে ভালো ভাস্কর্য বানাই, আমরা কি ওদের চাইতে ভালো কবিতা লিখি। আমি বুঝাতে চাচ্ছি যেসব জিনিস আমরা প্রচুর সম্মান ও শ্রদ্ধার চোখে দেখি এবং ভালোবাসি। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এই প্রজেক্ট  দেশের সম্মানের জড়িত, কিন্তু দেশ রক্ষার সাথে সরাসরি জড়িত নয়; বরং আমাদের দেশকে রক্ষার করার মত দেশ হিসেবে তৈরী করতে সাহায্য করবে।

 

উইলসনের সাক্ষাৎকার নেয়ার পরে কমিটি টাকা দিতে মনস্থ হয়। উইলসনের এই উক্তি আর্টের প্রয়োজনীয়তা আমাদের বুঝতে সাহায্য করতে পারে। কোন দেশে সৃষ্টি হওয়া আর্ট একটা দেশকে প্রকৃত মূল্যবান করে তোলে। মানবজাতি সবচেয়ে বড় যে জিনিস তৈরী করতে পারে তাই হচ্ছে আর্ট।

আর্ট একটা দেশকে ওউর্থ ডিফেন্ডিং/ যাকে রক্ষা করার জন্য লড়া যায় এমন দেশ হিসেবে তৈরী করতে কাজ করে।

 

সংযুক্তিঃ

দ্য ট্রেইন ফিল্ম বিষয়ে।

আর্নস্ট ফিশারের মতে শিল্প কী।