মানুষ কি র্যাশনাল প্রাণী? ক্লাসিক্যালি ধরে নেয়া হইত, মানুষ তার জন্য যেটা ভালো সেটা র্যাশনালি পছন্দ করতে পারে। কিন্তু এটা আসলে সত্য নয়। দেখা যায় মানুষের বিভিন্ন ধরণের মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপার থাকে, যেগুলার কারণে সে তার জন্য যেটা ভালো সেটা পছন্দ করতে পারে না। এমনকী জানলেও পারে না।
দস্তয়েফস্কির দ্য নোটস ফ্রম আন্ডার গ্রাউন্ড উপন্যাসটা যখন প্রকাশিত হয় তখন র্যাশনালিজম, এবং ইউটিলিটারিয়ান ইউটোপিয়ান মতামতের জনপ্রিয়তা ছিল রাশিয়ার বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজে। মানুষ যুক্তি দিয়ে তার জন্য যেটা ভালো সেটা পছন্দ করতে পারে, এবং এইভাবে যখন সকল মানুষ সিদ্ধান্ত নিবে, তখন একটা স্বর্গরাজ্য বা ভালো সমৃদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠা হবে। এবং এই যাত্রায় সমস্যা হলো, পুরনো ধর্মীয় প্রথা, সংস্কার, কুসংস্কার, অযৌক্তিক আচার ইত্যাদি।
দস্তয়েফস্কি তার আন্ডারগ্রাউন্ড ম্যানের নোটে একজন মানুষের মনোজগৎ দেখালেন। তিনি জনপ্রিয় যুক্তি কেন্দ্রিক সমাজ নির্মানের আদর্শের সমালোচনা করলেন। তিনি দেখাতে চাইলেন, একজন মানুষ যুক্তি দিয়ে চলে না। তারে আপনে সব দেন, সকল সুখ, আনন্দ, আরাম কিন্তু দেখবেন সে অকৃতজ্ঞের মত এমন কিছু করবে যে নিজেরে ও আপনারে বিনাশ করে দিবে।
আন্ডারগ্রাউন্ড ম্যান একজন সরকারী কর্মকর্তা ছিল। সে নিজেরে অন্য সবার চাইতে বেটার মনে করে। সে ওভার কনশাস চরিত্র। সব কিছু নিয়াই চিন্তা করে। অন্য মানুষরে মনে করে চিন্তাহীন প্রাণী।
সে তার আদর্শ, তার চিন্তা দিয়ে জগত পরিচালিত হোক চায়। কিন্তু বুঝতে পারে এটা হবে না। কারণ সে জানে, সে একটা লুজার।
উপন্যাসের প্রথম অংশ বিভিন্ন বিষয়ে তার মতামত, নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে সে এগুলা বলে। এই অংশ বিরক্তিকর। লেখক এই অংশকে বিরক্তিকরই করতে চেয়েছেন। এই অংশ পড়তে গিয়ে আপনার নিজের সাথে মিলতে পারে, মনে হতে পারে যে আপনি এভাবে ভাবেন। এমন মিললে অবাক হবেন না, এটা একটা নার্সিসিস্টের সাইকোলজি। খেয়াল করবেন, তার সম্পর্কে তার লেখায় এত কিছু পড়েও আপনি সে কে তা জানতে পারবেন না।
নার্সিসিস্ট মনে করে এক মহা ক্ষমতাধর তারে সব সময় দেখতেছে, সে যেন সর্বদা এক ক্যামেরার সামনে। আন্ডারগ্রাউন্ড ম্যান পাঠকরে এই ক্যামেরা হিসেবে দেখে। যেই ক্যামেরা জানে তার ভেতরে কী হচ্ছে। তাই সে এক লাইনে এক কথা বলে। পরের লাইনে আবার কথাটারে ঠিক করে। কারণ সে মনে করে, পাঠক নামক ঈশ্বর তার মনের খবর ধরে ফেলছে।
উপন্যাসের দ্বিতীয় অংশ উপন্যাসের মত। এখানে তিনটা ঘটনা আছে। প্রথম ঘটনায়, একজন অফিসারের প্রতি আন্ডারগ্রাউন্ড ম্যান যে রিসেন্টিমেন্ট ফিল করে, ওই লোকের সামনে তার ইনফিরিয়র ফীল করা, তার সমকক্ষ হতে চাওয়ার বেদনা, এইসব আছে। আন্ডারগ্রাউন্ড ম্যান ওই লোকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে কত কিছু করে। ওই লোক যেখানে হাঁটে ওই জায়গায় গিয়ে হাঁটে। টাকা ধার করে দামী পোশাক কিনে। কিন্তু ওই লোক তারে দেখেও না। আন্ডারগ্রাউন্ড ম্যান মরমে মরে যায়। তার রিসেন্টিমেন্ট বাড়ে। কিন্তু সে সত্যিকার অর্থে কিছু করতে পারে না।
অবশেষে একদিন সে তার প্রতিশোধ নিতে পারে। প্রতিশোধটা আপনার কাছে হাস্যকর মনে হতে পারে। সে একদিন লোকটার সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পাশাপাশি হাঁটে। এই তার রিভেঞ্জ। এতেই তার আনন্দ।
আপনি পড়তে গেলে অবাক হতে পারেন, কেন আন্ডারগ্রাউন্ড ম্যান এইরকম করে। কেন সে কোন এক্ট করে না, কোন একশন নেয় না। তার লাইফে এমনিতেও কিন্তু কোন একশন নেই। সে তার এক আত্মীয়ের সম্পত্তি পেয়েছে, সেগুলি নিয়ে একটা আন্ডারগ্রাউন্ড রুমে থাকে। আর চিন্তা করে।
ওই অফিসার, যার সাথে তার এত প্রতিযোগিতা, তার সামনে দাঁড়ানোর সাহস তার নাই। সে মনে মনে ধারণা করে নেয় লোকটা তারে উপেক্ষা করছে, তাই কসরত করে যায় তার দৃষ্টি আকর্ষনের।
তার এই ধার করে দামী কাপড় কেনা বা ওই রাস্তায় গিয়ে হাঁটা, দৃষ্টি আকর্ষনের এত হাস্যকর প্রচেষ্টা, এইগুলার রূপকে আপনি কি আধুনিক মানুষদের মিল পান না? বা আপনার? ফেইসবুকে যা করেন প্রায়শই?
দ্বিতীয় ঘটনা, আন্ডারগ্রাউন্ড ম্যান তার স্কুলের সহপাঠীদের দেখতে পারে না। তাদের সে হিংসা করে, এবং তাদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পুষে রাখে। কিন্তু আবার যেচে তাদের পার্টিতে যায়। ওইখানে গিয়ে সবাইকে ট্রল করতে যায়, নিজের রিসেন্টিমেন্ট সামলাতে পারে না। নাজেহাল হয়। পরে আবার ওদেরই একজনের কাছে টাকা ধার চেয়ে নেয়।
এই পর্যন্ত এসে আপনি করুণা ফিল করতে পারেন এই লোকের অবস্থার প্রতি। সে কেন এইরকম?
তৃতীয় গল্পটা ভেরি ভেরি ইন্টারেস্টিং।
আন্ডারগ্রাউন্ড ম্যান এক পতিতা লিজার কাছে যায় ঘটনাক্রমে। লিজার সাথে সে অনেক মানবিক, আন্তরিক প্রেমময় কথা বলে। লিজার পরিবারের গল্প শুনতে চায়, ব্যাখ্যা করে। সে লিজাকে নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখায়। লিজাকে তার ঠিকানা দেয়।
পরে দেখা যায়, আন্ডারগ্রাউন্ড ম্যান দূর্ব্যবহার করছে তার গৃহকর্মীর সাথে। সে গৃহকর্মীকে সময়মত টাকা দিতে চায় না, ঘুরাইতে চায়। এই সময়ে লিজা তার বাসায় চলে আসে। তখন আন্ডারগ্রাউন্ড ম্যান লিজাকে গ্রহণ করে না। সে একদিকে তার মিজারেবল অবস্থা লিজা দেখে ফেললো এ নিয়ে লজ্জা পায়, অন্যদিকে তার কোন ইচ্ছা ছিল না লিজাকে মুক্ত করার। ওইগুলা লিজাকে সে বলেছিল এমনি, এক ধরণের প্রতিশোধ নিতে। তার স্কুলের সহপাঠীদের সাথে সে পারে নি, অপমানিত হয়েছে। এর শোধ সে অন্যখানে নিতে চেয়েছে। লিজাকে অপমান করেই সে তাড়িয়ে দেয়।
আন্ডারগ্রাউন্ড ম্যান সেই নার্সিসিস্ট লুজার, যার কারো উপকার করার কোন ক্ষমতা নেই। এই অক্ষমতা ঢাকতে সে দুনিয়া বদলাইতে চায়, সে তার আদর্শ দুনিয়ায় চাপাইতে চায় মনে মনে। তার না পারা তীব্র বিদ্বেষ হিসেবে জমা হতে থাকে, এই বিদ্বেষ অন্য সবার প্রতি।
রেনে জিরার্দের আলাপে আন্ডারগ্রাউন্ড ম্যানের এই বাস্তবতা হবে তার মিমেটিক ডেজায়ারের জন্য। সে ওই অফিসার বা তার সহপাঠীদের মত হইতে পারে না, তাদের অনুকরণ করতে চায়, কিন্তু এটা সে স্বীকার করতে চায় না নিজের কাছে। তাদের মত হইতে না পারা নিজের মধ্যে একটা লুজার মনোভাব জাগ্রত করে। এই লুজার মনোভাব তারে আত্মপীড়াতে রাখে, যা বিদ্বেষে রূপ নেয়। ঐ অফিসার বা তার স্কুলের সহপাঠীরা তারে অপমান করেছে বলে সে মনে করে, কিন্তু তার মিমেটিক আকর্ষন তাদের কাছেই তারে টেনে নেয়। অন্যদিকে কেউ তারে প্রেম মমতা দিলে সে নিতে পারে না। তার সাথে দুর্ব্যবহার করে।
এই জায়গাটা আপনার সাথে হয়ত রিলেট করবেন, এইভাবে যে আপনি চাইবেন না আপনার বয়ফ্রেন্ড আন্ডারগ্রাউন্ড ম্যানের মত হোক? হইলে আপনি যখন মমতা প্রেম দিতে যাবেন, সে আপনার সাথে খারাপ আচরণ করবে, কিন্তু অন্য জায়গায়, যেখানে সে অপমানিত হয়, ওইখানে গিয়ে পড়ে থাকতে চাইবে। অপমানিত হয়ে ফিরে আসবে, আর আপনার সাথে দূর্ব্যবহার করবে। ভয়ংকর এক অবস্থা! আন্ডারগ্রাউন্ড ম্যানের নোটবুক পড়ে দেখেন, আপনার বয়ফ্রেন্ড কি এইভাবেই কথা বলে? বা ছেলে যারা আছেন, গার্লফ্রেন্ডরে বইটা পড়াইয়া দেখেন, আপনার সাথে মিল পায় কি না। পাইলে আপনাদের অনেক কিছু ফিক্স করা জরুরী, যদি ফিক্স হবার মত অবস্থা থাকে।
নীতশে দস্তয়েফস্কির প্রথম যে বইটা পড়েন, তা আন্ডারগ্রাউন্ড ম্যান।। নীতশের রিসেন্টিমেন্ট কনসেপ্ট তার দর্শনের মূল স্তম্ভ। এই রিসেন্টিমেন্টের অসাধারণ এক প্রদর্শনী আন্ডারগ্রাউন্ড ম্যান উপন্যাস, ফলে নীতশের বইটাকে ভালো লাগাই ছিল স্বাভাবিক।
স্লেইভদের যখন ঈর্ষা হয়, স্লেইভরা যখন দূর্ব্যবহারের স্বীকার হয় তখন তারা কী করে? তারা তো একশন নিতে পারে না। এই ক্ষমতা তাদের নেই। ফলে তাদের মধ্যে রিসেন্টিমেন্ট জমা হয়। তারা অন্যভাবে এইটারে প্রকাশ করে, কুৎসা, কূটালাপ বা ইভেন অন্য কোন ক্রিয়েটিভ মাধ্যম। এই আলাপে তারা নানা মতাদর্শ, আইডিয়া ব্যবহার করতে পারে। আন্ডারগ্রাউন্ড ম্যান সবার চাইতে নিজেরে বেশি বুদ্ধিমান মনে করে আবার মিজারেবলও মনে করে। আন্ডারগ্রাউন্ড ম্যানের মিজারেবল প্যাথেটিক সেলফ আমরা দেখতে পারি যেহেতু তার নোট আমরা পড়তেছি, এবং সে যথাসম্ভব সৎভাবেই লিখেছে, কিন্তু ফেসবুক ট্রল বা হনু বুদ্ধিজীবীদেরটা আমাদের দেখা হবে না, তাদের অবস্থাটা তারাই ফীল করে যাবে প্রতিনিয়ত। দস্তয়েফস্কি আমাদের সেই অস্তিত্বের দোজখ দেখাইছেন।
দস্তয়েফস্কি এই অদ্ভুত উপন্যাস কেন লেখলেন? বা এই মনোজাগতিক উপস্থাপন কেমনে করতে পারলেন? দেখা যায়, ইয়াং বয়েসে তিনিও এইরকম র্যাডিক্যাল যুক্তিবাদী আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন যার জন্য জেলও খেটেছেন, আন্ডারগ্রাউন্ড ম্যান যেই রকম সরকারী জব করত, একইরকম জবে তিনিও ছিলেন। সম্ভবত, দস্তয়েফস্কি নিজেও একসময় প্রায় একই ধরণের অবস্থা অনুভব করেছিলেন। পরে তার উত্তরণ হয়। হয়ত তিনি বুঝতে পারছিলেন যে, বিভিন্ন আইডিয়ায় মত্ত থেকে নিজের আত্ম-আকাঙ্খারে দিয়া সমাজ নির্মানের প্রাণপণ ভুয়া চেষ্টাটা আলটিমেটলি মিজারেবল ডিপ্রেশনে নিয়া যায়। তার চাইতে বেটার, লাওতসু যা গুঢ়ার্থে বলে গেছিলেন, কিছুই কইরো না তাইলে কিছুই না করা থাকবে না। অর্থাৎ, নিজের জীবন যাপন করো, নিজের জীবনই তোমার আবাসস্থল, অন্যদেরটা না, এবং জীবন দিনশেষে একশনের সমষ্টি, ওভার সেলফ কনশাস চিন্তা না। সম্ভবত এই কারণে দস্তয়েফস্কিকে অস্তিত্ববাদী বলা হয়, তিনি আন্ডারগ্রাউন্ড ম্যানে অস্তিত্বের ডিজ্যাস্টার কেমনে হয় তা দেখাইছেন।
নার্সিসিজমরে ব্যাখ্যায় গ্র্যান্ডিওসিটি, বা নিজেকে অনেক বড় কিছু যারা বলে, এইদিকে বেশি ফোকাস করা হয়। কিন্তু এইটাই নার্সিসিজম না। আন্ডারগ্রাউন্ড ম্যানের নোটে একটা জিনিশ খেয়াল করবেন, তার কোন অপরাধবোধ নাই। তার অপরাধবোধ তীব্রভাবে প্রতিস্থাপিত হইছে শেইম বা লজ্জা দ্বারা। তারে যে মানুষ রিকগনাইজ করে না, এই লজ্জাতেই তার ওভার কনশাস সেলফ শেষ হয়ে যায়, এটাই নার্সিসিজম। তার আয় কম, সামাজিক মর্যাদা কম এই নিয়ে তার দুঃখ। একজন প্রকৃত নার্সিসিস্টের মত সে মনে করে, সে যেমনে তার লাইফরে কল্পণা করে বা আশা করে, ওইরকম তার লাইফ যাচ্ছে না। ফলে সমস্ত কিছুর উপরে তার হতাশা তৈরি হয়, এবং এই হতাশা নার্সিসিস্টের প্রধান বৈশিষ্ট্য। এখন কেউ যদি বলেন, আন্ডারগ্রাউন্ড ম্যান তো সেলফ-লোদিং করে, নিজের লুজার অবস্থারে স্বীকার করে, আবার নিজেরে অন্যদের চাইতে বেশি বুদ্ধিমান ভাবে, এই কন্ট্রাডিকশন, এবং এই যে নিজের লুজার অবস্থারে স্বীকার করা, এটা কীভাবে নার্সিসিজম হয়? এর উত্তরে নীতশের কথায় যাইতে হয়, নীতশে বলছিলেন, যে নিজেরে ঘৃণা করে সে নিজেরে যে ঘৃণা করতে পারে এইজন্য কিন্তু নিজেরে রেসপেক্টও করে। অর্থাৎ, আন্ডারগ্রাউন্ড ম্যানের আত্মঘৃণা, সেলফ লোদিং এর উপস্থাপন, তার নিজেরে বড় করে দেখানোরই উপায়, যেইখানে সে পাঠকরে বলতেছে, দেখো আমার কিন্তু এই বুদ্ধি আছে, আমি ব্যাপারটারে ধরতে পারতেছি। এই লাইনে আগাইয়া বলা যায়, মানুষের প্রকাশ্য সব সেলফ ক্রিটিসিজম, তথাকথিত ‘সৎ’ বায়োগ্রাফীমূলক লেখায় যা থাকে, ভুয়া। কারণ এইসব সেলফ ক্রিটিসিজমের আরেকটা লেয়ার থাকে, যেটা সেলফ প্রেইজের, যেখানে পাঠকরে বলা হয় যে, দেখো আমি নিজের এই ভুল ধরতে পারতেছি, আমি সৎ এবং বুদ্ধিমান।
নার্সিসিজমের প্রধান বৈশিষ্ট্য ভালোবাসতে না পারা। আন্ডারগ্রাউন্ড ম্যানে আবেগের অভাব নাই, বুদ্ধির অভাব নাই, যুক্তির অভাব নাই। সে প্রায় সব কিছুই বিশ্লেষণ করে, যুক্তি দেয়, সারা বই জুড়ে লজ্জা ঘৃণা হিংসা বিদ্বেষের মত আবেগ দেখাইয়া যায়। কিন্তু লক্ষ করবেন, সে কাউরেই ভালোবাসে না। ভালোবাসতে পারে না।
খেয়াল করলে দেখবেন, আন্ডারগ্রাউন্ড ম্যানের সাথে কেউ খারাপ ব্যবহার করে নাই। তার সহকর্মী তারে ধার দেয়, সহপাঠীরা তারে সহ্য করে ও সুযোগ দেয়, এক আত্মীয় তারে সম্পত্তি দিয়ে গেছে যার দ্বারা জীবন যাপন করতে পারে, লিজা তারে প্রেম বা মমতা দিছে, বিশ্বাস করছে, তার গৃহকর্মীও তার বাজে আচরণের উত্তরে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায় না। কিন্তু তবুও আন্ডারগ্রাউন্ড তার সেলফ লোদিং, এবং রিসেন্টিম্যান্টের দুনিয়ায় আটকা থাকে। সে কাউরে ভালোবাসতে পারে না।