মুরাদুল ইসলাম » ব্লগ » নারীরে আটকাইতে চান?

নারীরে আটকাইতে চান?

ফেসবুকে দেখা যাচ্ছে ভাইরাল প্রশ্ন, নারী কীসে আটকায়। উদাহরণ হিশাবে বিল গেটসের টাকা, জেফ বেজোসের টাকা, ট্রুডোর ক্ষমতা বা ঋত্বিকের বডি কোন কিছুতেই তাদের নারীরা আটকাইলেন না, এইটা দেখাইয়া এই আফসোস বা একটা ফান হিশাবেই বলা হইতেছে। এর উহ্য মেসেজ, কোন কিছু দিয়াই নারীর মন ভরাইতে পারবেন না। এই ইনার মেসেজ নিয়াই কিছুটা গভীরে যাওয়া যাক।

মনোগ্যামাস দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক বিয়েরে কেন্দ্র করে এটা বলা হচ্ছে, এর সাথে প্রেমও পড়ে। এবং যেই সমাজের বিচ্ছেদের ঘটনাগুলি এখানে আসছে সেগুলি পশ্চিমা শিক্ষিত সমাজ। ঋত্বিকেরটাও এবং আমাদের দেশেও শিক্ষিত, অপেক্ষাকৃত অবস্থাপন্ন শ্রেণীর সমাজরে পশ্চিমা ভ্যালু প্রভাবিত সমাজ ধরা যায়। তাই প্রথমে দেখা দরকার ঐ শিক্ষিত পশ্চিমা সমাজে বিয়া নামক দীর্ঘস্থায়ী মনোগ্যামাস সম্পর্কের উদ্দেশ্য এখন কী দাড়াইছে।

আমেরিকার ক্ষেত্রে বিবাহগুলি কিভাবে পরিবর্তিত হয়েছে তা সমাজবিজ্ঞানী এন্ড্রু চার্লিন এবং ইতিহাসবিদ স্টিফানি কুন্টজ এভাবে দেখেনঃ

১। প্রাতিষ্ঠানিক বিবাহ

১৮৮৫ এর আগ পর্যন্ত এই অবস্থা চলমান ছিল কৃষিভিত্তিক সমাজে। বিয়ের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল খাদ্য উৎপাদন, আশ্রয়, নিরাপত্তা ইত্যাদি।

২। ভালোবাসা ভিত্তিক বিবাহ

১৮৫০ থেকে ১৯৬৫ এর সময়কাল। এ সময় বিয়ের উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায় ভালোবাসা দেয়া, পাওয়া এবং দারুণ যৌনজীবন। তখন আমেরিকান সমাজ গ্রামীন থেকে শহুরে হচ্ছে, দেশের সম্পদ বাড়ছে। মানুষের তখন ভালোবাসার আকাঙ্খা তৈরী হয়।

৩।  আত্ম-প্রকাশমূলক বিবাহ

১৯৬৫ এর পর থেকে আমেরিকান সমাজে এই ধরনের বিবাহ বিদ্যমান। এখানে বিবাহের উদ্দেশ্য আত্মোউন্নয়ন, নিজেকে আবিষ্কার করা, আত্মসম্মান বা সেলফ ইস্টিম ইত্যাদি। ব্যক্তিস্বাতন্ত্রবাদ হোক, কনজিউমারিজমের বিস্তার হোক বা সামাজিক অন্য কোন পরিবর্তনের জন্যই হোক না কেন, মানুষ বিয়েকে ব্যক্তিগত উন্নয়নের মাধ্যম হিসেবেই দেখছে।

সাইকোলজিস্ট আব্রাহাম মসলোর ক্লাসিক হায়ারার্কি অব নীডস [] এর মতো আমেরিকান সমাজে বিবাহের এই পরিবর্তন। মসলো’র তত্ত্বমতে, প্রথমে মানুষের ফিজিওজিক্যাল প্রয়োজনগুলি মেটাতে হয়, এগুলির মধ্যে আছে খাদ্য বস্ত্র আশ্রয় ইত্যাদি।

এরপরে মানুষ চায় নিরাপত্তা, এরপর বন্ধুত্ব, পারিবারিক সম্পর্ক, ভালোবাসা ইত্যাদি।

এরপর আত্মসম্মান বা সেলফ ইস্টিম, এবং অতঃপর সেলফ-একচুয়ালাইজেশন। এর একটি পূরণ হলে অন্যটির চাহিদা তৈরী হয়। বর্তমানে আমেরিকান সমাজে বিবাহের উদ্দেশ্য মসলোর শেষ স্তরটিতে আছে, আগেরগুলি তার এমনিতেই পূর্ন তাই। সাইকোলজির অধ্যাপক এলি ফিংকেল এমনই মনে করেন।

এখন উদাহরণে উল্লিখিত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে, যেমন বিল গেটস, বেজোস, জাস্টিন ট্রুডো, ঋত্বিক, এদের সবার সাবেক স্ত্রীদের দিকে যদি দেখেন, তাদের কারোরই অন্ন বস্ত্র বা নিরাপত্তা পাওয়া বড় ইস্যু না। তারা সবাই শিক্ষিত, নিজেদের ব্যক্তিত্ব আছে, ফলে তাদের নিডের জায়গাগুলা মসলোর হায়ারার্কি অব নিডের উপরের দিকে। সেইখানে কিছু না পাইলে তারা এই মনোগ্যামাস সম্পর্ক থেকে বের হয়ে যাবার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতেই পারেন।

যারা মসলোর হায়ারার্কি অব নীডের নিচেরগুলাতে অবস্থান করেন ও এইগুলা দিয়াই দুনিয়া দেখেন, তাদের কাছে উপরেরগুলা দিয়া বুঝা সহজ হয় না।

এখানে জাস্টিন ট্রুডোর বাপ মায়ের বিচ্ছেদের সময়, প্রধানমন্ত্রীর অফিস যে বিবৃতি দিয়েছিল, তার একাংশ তুলে ধরছি। উল্লেখ্য কানাডায় প্রধানমন্ত্রী থাকা কালে আগে বিচ্ছেদ হইছিল জাস্টিন ট্রুডোর মা বাপের, সেটা ১৯৮৩ সালে।

“মার্গারেট প্রধানমন্ত্রীর বউ হিশাবে প্রাপ্ত সব সুবিধাদি থেকে সরে গেছেন, এবং এখন স্বাধীন কেরিয়ারের জন্য বিচ্ছেদ চান। পিয়েরে দুঃখের সাথে এটি গ্রহণ করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করছেন যাতে এই সিদ্ধান্ত তাদের আগামীদিনের সম্পর্ক ভালো করে।”

সম্ভবত, ওই সময়ের সমাজ বাস্তবতায় এইরকম বিবৃতি দেয়া সম্ভব ছিল। এখন বিবৃতিগুলা পলিটিক্যালি কারেক্ট হয়ে আসে।

এভলুশন এবং নারী পুরুষ সম্পর্কের বায়োলজি থেকে যদি দেখেন, দ্য রেড কুইন বুকে দেয়া ম্যাট রিডলির ব্যাখ্যাটা আনতে হয়। অনেক প্রাণী প্রজাতি আছে, যেমন কুত্তা বিলাই ইত্যাদি অন্যান্য, যাদের ক্ষেত্রে পুরুষ সন্তান লালন পালনে কোন ইনভেস্ট করে না। এসব ক্ষেত্রে তাদের নারীরা পুরুষটির কত সম্পদ আছে, সে অন্য কোন নারীর সাথে প্রেম করে কি না অর্থাৎ লয়াল কি না, বা সন্তান জন্ম নিলে দেখাশোনা করবে কি না, এগুলি দেখে না। কেবল দেখে এর জিন ভালো আছে কি না। সেই সিগন্যাল তার শারীরিক নানা ফিচার, আচরণ ইত্যাদি থেকে পায়। এখানে নারীটির একমাত্র উদ্দেশ্য থাকে তার সন্তানের জন্য ভালো জিন নেওয়া, এবং প্রজাতির ধারাটা এইভাবে টিকে থাকে।

মানুষেরা প্যারেন্টাল ইনভেস্টমেন্টে অবস্থান করে মাঝামাঝি জায়গায়। মাঝামাঝি এই ত্রিশঙ্কু দশায় থাকার অর্থ হলো, পুরুষেরা তার উৎপাদিত সন্তান লালন পালনে ইনভেস্ট করে কিন্তু সব সময় করে না।

এবং নারীদের চাইতে অনেক অনেক কম করে।

এদিকে মানুষের বাচ্চার লালন পালনের জন্য অনেক ইনভেস্টমেন্ট দরকার হয় পিতা মাতার। পিতার ইনভেস্টমেন্ট ছাড়া সন্তান টিকানো কঠিন।

নারীরা নিশ্চিত করতে চায় তার সঙ্গী সন্তানদের রিসোর্স, শ্রম, ইমোশনাল কেয়ার সব দিয়া লালন পালনে সাহায্য করবে। এবং যেহেতু এটা পুরুষেরা সব সময় করতে চায় না, তাই নারীদের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি হলো পুরুষদের নিয়ন্ত্রণ করা ও সেগুলি আদায় করে নেয়া।

পুরুষ সঙ্গীদের নারীর এই নিয়ন্ত্রণ করা এতো স্বাভাবিক যে, এর অনেক কিছুই সমাজে সহজ হিশেবে দেখা হয়।

এখান থেকে আবার বলা যায়, এভলুশনারি এই ভিউ পয়েন্ট থেকে, যেসব নারীর পুরুষদের কন্ট্রোল করার টেকনিক ভালো জানা ছিল, তারা ভালো সঙ্গী পেয়েছে, এবং তাদের সন্তানেরা ভালো ভাবে বড় হয়েছে। কারণ তারা তার সঙ্গীকে লয়াল রাখা, রিসোর্স ও সময় ইত্যাদি দিয়া সন্তানরে হেল্প করা, ইত্যাদি করাতে বাধ্য করতে পেরেছিল। এখন এই মায়ের সন্তানেরাও স্বাভাবিক ভাবে তার জেনেটিক উত্তরাধিকার বহন করবে। ফলে, মানুষদের মধ্যে কনট্রোল করার ক্ষমতা দিনে দিনে বেড়েছে, এবং ম্যানিপুলেশন, পারসুয়েশন ইত্যাদির অনেক টেকনিক সহজ ও স্বাভাবিক হিশাবেই সমাজে এখন গৃহীত হয়।

মানুষের নারী ও পুরুষদের মধ্যে সেক্সুয়াল মার্কেটে নারীদের চাহিদা অনেক বেশী থাকে পুরুষের চাইতে। এক জোড়া প্রেমিক প্রেমিকা যদি প্রতিযোগিতায় নামে তারা একদিনে কতজন লোকরে কনভিন্স করতে পারবে নিজের সাথে সেক্স করতে, তাহলে নারী অবলীলায় পুরুষটিকে হারিয়ে দিবে। দেখা যাবে নারীটি হয়ত দশজন আগ্রহী সঙ্গী পেয়ে গেছে সেক্সের জন্য, পুরুষ দুইটাও পায় নাই।

দেখবেন, একজন নারী আমাদের ফেসবুক সমাজে যত মেসেজ পায়, পুরুষ তার ১০ ভাগের এক ভাগও পায় না।

এই সেক্সুয়াল মার্কেটের এডভান্টেজ ব্যবহার করেই নারীরা পুরুষদের কন্ট্রোল করার ভিত্তি স্থাপন করে।

প্রতিটা সম্পর্কে দেখা যাবে, নারী নিজেরে পুরুষটির জন্য পুরস্কার হিশাবে নিজেরে দেখাতে চায়। যে, আমি না হলে কেউ তোমার ঘর করতো না, ইত্যাদি খুব কমন কথা। এর উহ্য মেসেজ, তুমি আমারে পাইয়া লাকি। এখন এই যে তোমার লাক, তুমি একটা বড় পুরস্কার পাইলা, এর জন্য তোমারে কাজ করতে হবে। তোমারে ডিজার্ভিং হইতে হবে।

এই যে নারী নিজেরে পুরস্কার হিশাবে নিজেরে ফ্রেম করতে পারে, এটা সেক্সুয়াল মার্কেটে তার চাহিদার জন্যই। এভলুশনারি দিক থেকে, পুরুষদের তাড়না থাকে যত বেশী নারীর সাথে সেক্স করা। সেইক্ষেত্রে, স্বাভাবিক ভাবেই যেকোন নারীর প্রতি অনেক আগ্রহী পুরুষ থাকবে সেক্স করার জন্য।

এটারে একটা অকশনের মত দেখতে পারেন। নারীরা হইতেছে চাহিদার বস্তু, এবং পুরুষেরা গিয়া গিয়া বিভিন্ন সিগন্যাল পাঠায়, বিড করে। একজন নারী জানতেছে ও দেখতেছে যে সে অনেক বিড পাইতেছে, সে তখন এটারে ব্যবহার করে লং টার্ম সঙ্গীরে দেখায় যে, দেখো আমার কত চাহিদা, তুমি আমারে পাইয়া লাকি। পুরুষেরা এটা সরাসরি মানে না, কিন্তু কার্যত মেনে নেয়।

মেনে নিলে সে চাপ অনুভব করবে এই পুরস্কারের জন্য নিজেরে যোগ্য করে তোলার। তারে এর জন্য কিছু কাজ করতে হবে, যেইটা টার্ম সঙ্গী নারী বলবে।

এইভাবেই শুরু হয় পুরুষরে ডমেস্টিকেট করার প্রক্রিয়া।

এইটা নারী পুরুষ সম্পর্কের পাওয়ার ডায়নামিকস/ ক্ষমতা সম্পর্ক বুঝার প্রথম ধাপ।

পুরুষ সঙ্গীরে ডমেস্টিকেট করতে সাধারণত নারীরা তার সঙ্গীরে সমালোচনা করে, ব্লেইম করে, বিভিন্ন টাস্ক করতে দেয়। একেবারে সিম্পল কোন টাস্ক হইতে পারে। কিন্তু তার কাছে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ এমনভাবে উপস্থাপন করে।

বিশেষত সম্পর্ক যখন স্থায়ী হয়ে যায়, যেমন প্রেম বা বিয়ে হয়ে যায়, তখন এই টাস্কের সংখ্যা বেড়ে যায়। খেয়াল করে সব প্রেমের নাটক সিনেমাগুলা দেইখেন। নায়িকার দেয়া টাস্কগুলা দেখতে পারবেন।

এখন পুরুষ যত টাস্কটা করবে, তত এইটা হবে নিয়ম। এটা তার এখন থেকে করতেই হবে। না করলে সিচুয়েশন এমন হবে, যে একটা নর্ম সে ভেঙ্গে দিছে, তারে ইমোশনাল ড্রামার মধ্যে পড়তে হবে। সে একটা কগনিটিভ ডিজোন্যান্সে পড়ে যাবে এই টাস্ক করা নিয়া। করতে করতে তার নিজের কাছেও একসময় এটা করা উচিত হিশেবে গৃহীত হবে।

নারীরা ইমোশনাল আউটব্রাস্ট ব্যবহার করে কন্ট্রোল করতে। এটা হতে পারে সমালোচনা বা ব্লেইমিং এর অংশ হিশাবে। এই জায়গাতে আসে বিভিন্ন ধরণের ড্রামা ও ইমোশনাল গেইম। প্রেমের কেচ্ছা কাহিনীতে এসব অনেক দেখা যায়, বাস্তবে প্রচুর।

আরেকটা গুরুত্বপূর্ন কন্ট্রোলিং মেকানিজম হচ্ছে, শেইমিং করা। তুমি আসল পুরুষ না, এই মেসেজ নানা ভাবে দিতে থাকবে। এখন আসল পুরুষ হইতে পুরুষটি ওই কাজ করতে যাবে। প্রতিটা রোমান্টিক সম্পর্কে নারীর এই পাওয়ার থাকে পুরুষটিকে বলার, সে তারে সেক্সুয়ালি খুশি করতে পারে না। অর্থাৎ ইম্পটেন্সির শেইম। বা বলতে পারে অলস, অসফল, দূর্বল ইত্যাদি। এর প্রভাব মারাত্মক, কারণ সমাজও একই সুরে কথা বলে। একজন ব্যক্তি নানা কারণে তার কাজে অসফল হইতে পারে কিন্তু, অসফল হইলে সমস্ত পক্ষ থেকে ব্লেইম তার দিকেই আসে।

অন্যদের তুলনা কইরাও বলতে পারে নারী। একটা ভাইরাল রীল ছিল এমন, এক পুরুষ বলছে, তার বউয়ের কাছে সেরা পুরুষ অমুক, সেরা স্বামী তমুক ইত্যাদি। দুইজন স্বামী স্ত্রী ফান করতেই এটা বানাইছিলেন। কিন্তু এটা কমন, নারীরা এটা প্রায়ই শোনাইয়া থাকেন সঙ্গীদের। এটা আরেক ধরণের শেইমিং।

এখন ধরা যাক, একজন পুরুষরে তার নারী সঙ্গী বলতেছে তুমি উইক, অমুক সবল, অমুক ফেমিলির জন্য এতোটা বাড়ি করছে, তুমি কী করলা?

এই পুরুষ বাস্তবে দেখবে ঠিকই অমুক ব্যক্তি ঐটা করছে। সমাজও তারে একই মেসেজ দিবে। ফলে এই শেইমিং এর প্রভাব হয় মারাত্মক, সে তার পুরুষত্বের শক্তি একত্র করে চায় ওইটা করতে, যোগ্য হইতে।

এই নারী পুরুষ সম্পর্কের পাওয়ার ডায়নামিক্সে যদি সমস্যা হয়, এবং নারী সঙ্গী বুঝতে পারে এখানে তার হচ্ছে না, সে এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যেতে পারে।

এই আলোচনাটা হইল, শুধুমাত্র চেহারা, খ্যাতি বা টাকা পয়সাই যে একমাত্র জিনিশ না সম্পর্ক টিকাইয়া রাখতে, এইদিকে দেখানো।

একইসাথে নারী পুরুষ মনোগ্যামাস সম্পর্ক ও এর ক্ষমতা কেন্দ্রিক গতি প্রকৃতিরেও আলোচনায় আনা।

এখন একটা ফান করে লেখা শেষ করি।

মূল প্রশ্নে যাই, নারীরে আটকাইতে চান? আপনার সাহস আছে বলা যায়। আটকাইতে গিয়া একসময় না আবার দেখতে পান নিজেই আটকাইয়া আছেন।

নারী আটকে না, আটকায়।

Leave a Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

×
গুরুত্বপূর্ণ
Scroll to Top
বই মডেলিং