এই লেখা স্পেসিফিক একটা বিষয়ের কম্পাউন্ড ইফেক্ট নিয়ে। যেটি সাধারণত বুঝা যায় না। কিন্তু সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ।
মানুষের জীবনে কম্পাউন্ডিং ইফেক্ট কাজ করে।
অর্থাৎ, কিছু খুবই ছোট ছোট কাজ, যেগুলার দৃশ্যত কোন প্রভাব আছে বলে মনে হয় না। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে করে গেলে খুবই বিশাল পরিবর্তনের কারণ হয়। পজেটিভ কিংবা নেগেটিভ। যেমন, দৈনিক ২০ মিনিট মেডিটেশন এক বছর করে গেলে এর ফল হবে মারাত্মক। দৈনিক ৫ টা সিগারেট এক বছর খেয়ে গেলে তারো ফল হবে মারাত্মক। এক মারাত্মক ভালো, যা ক্লিয়ার চিন্তায় সাহায্য করবে। আরেক মারাত্মক খারাপ।
আপনার লাইফ এখন যে অবস্থায় আছে, এটি অনেক ছোট ছোট কাজের ফল।
কম্পাউন্ডিং ইফেক্ট বুঝা একটা লাইফ স্কিল।
এবং মানুষে মানুষে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কম্পাউন্ড ইফেক্টের গুরুত্ব বুঝা সবচাইতে বড় লাইফ স্কিল।
ধরা যাক, আপনার একজন ক্লোজ বন্ধু আছে। তার সাথে আপনি অনেকদিন ধরে চলে আসছেন। তার সম্পর্কে আপনি জানেন। বুদ্ধিবৃত্তিক আদান প্রদান হয় আপনাদের। আপনারা যৌথভাবে অনেক কাজ করেছেন।
এই বন্ধুর সাথে আপনার যেকোন প্রজেক্ট শুরু করা সহজ।
এমনকী চুক্তিরো দরকার পড়বে না অনেক ক্ষেত্রে। কারণ আপনারা পরস্পরকে দীর্ঘদিনে জেনেছেন। দীর্ঘদিনের মাধ্যমে আস্তে আস্তে সম্পর্ক তৈরি করেছেন।
সম্পর্কের একটা মূল জায়গা হলো বিশ্বাস। আপনাদের পরস্পরের উপর বিশ্বাস আছে। অতএব, আপনাদের পক্ষে যেকোন কাজ করা সহজ।
এমনকী, আপনি বহুলাংশে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন এসব বন্ধুদের নিয়ে, যে এরা আপনার পক্ষে থাকবে।
মানুষের সকল সম্পর্কতেই কম্পাউন্ড ইফেক্ট কাজ করবে। যদি আপনি সম্পর্ককে কম্পাউন্ডিং করেন।
কম্পাউন্ডিং এর আরেকটা ব্যাপার, ফলাফল প্রতিদিন দেখা যায় না। অনেকদিন পরে হিউজভাবে ভিজিবল হয়।
তাই আপনি যখন সম্পর্কতে (যেকোন ধরণের মানুষে মানুষে সম্পর্ক) ইনভেস্ট করে যান, আপনি আসলে কম্পাউন্ডিং করছে সম্পর্ককে। এটি আপনার লাইফ সহজ করবে।